ট্রাম্পের আশা, বিশ্বকাপে খেলার জন্য হলেও রাশিয়া যুদ্ধ থামাবে
Published: 7th, May 2025 GMT
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে তিন বছরের বেশি সময় ধরে। নানা আলোচনা, উদ্যোগের পরও যুদ্ধ আপাতত থামার কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে না। এই যুদ্ধ শুরু করে রুশরা আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকেও নিষিদ্ধ হয়েছে।
২০১৮ বিশ্বকাপের স্বাগতিকেরা নেই ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলকে ‘টোপ’ বানিয়ে রাশিয়াকে যুদ্ধ থেকে বিরত করা যেতে পারে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকেই রাশিয়ার জাতীয় ফুটবল দলকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা ও উয়েফা। স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে হতে যাওয়া ২০২৬ বিশ্বকাপে থাকছে না রাশিয়া।
২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রথম মিটিংয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেন ট্রাম্প। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। রাশিয়া যে ফুটবলে এখন নিষিদ্ধ, সেটি ট্রাম্প প্রথম জেনেছেন এই মিটিংয়েই।
আমরা চাই, তারা (রাশিয়া–ইউক্রেন) থামুক। প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার তরুণ মারা যাচ্ছে—এটা অবিশ্বাস্য।ডোনাল্ড ট্রাম্পসংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা জানতাম না, সত্যি? (রাশিয়া নিষিদ্ধ)।’ ইনফান্তিনো বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্য। তারা আপাতত নিষিদ্ধ, তবে আমরা আশা করি, শান্তি ফিরে আসবে, যাতে রাশিয়াকে আবার ফুটবলে ফেরানো যায়।’
এরপর ট্রাম্প বলেন, ‘এটা তো সম্ভব। এটা তো একটা ভালো প্রণোদনা হতে পারে, তা–ই না? আমরা চাই, তারা থামুক। প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার তরুণ মারা যাচ্ছে—এটা অবিশ্বাস্য।’
আরও পড়ুনএগোতে এগোতে মিরাজ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডার২ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়েই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও শপথ নেওয়ার পাঁচ মাস পরও এমন কোনো ইঙ্গিত মিলছে না। এমন অবস্থাতেই ট্রাম্পের কাছ থেকে এসেছে এমন প্রস্তাব।
গত মাসে উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফেরিনও আশ্বাস দিয়েছেন, যুদ্ধ শেষেই রাশিয়া ফিরবে ফুটবলে ‘যখন যুদ্ধ শেষ হবে, তখন (রাশিয়া) আবার ফিরবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সমর্থকদের আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, খেলা দেখতে আসা দর্শকদের নিজেদের দেশে ফিরতে হবে।রাশিয়া ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে হারের পর থেকে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেনি। দলটি এরপর ১৬টি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে ১১টিতে জিতেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের ১০৪টি ম্যাচের মধ্যে ৭৮টিই ম্যাচ আয়োজন করবে। এর মধ্যে আছে ফাইনালও। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসননীতি ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক উত্তেজনা আন্তর্জাতিক দর্শকদের আগমন ব্যাপকভাবে ব্যাহত করতে পারে বলে সতর্ক করেছে ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম ফোরাম ইনস্টিটিউট। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এসবে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না। টাস্কফোর্সের বৈঠকে উপস্থিত থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সমর্থকদের আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, খেলা দেখতে আসা দর্শকদের নিজেদের দেশে ফিরতে হবে।
আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি: পিএসএল ও আইপিএলের ভাগ্যে কী আছে১ ঘণ্টা আগেভ্যান্স বলেন, ‘আমি জানি, আমরা দর্শক পাব, সম্ভবত ১০০টি দেশের কাছাকাছি। আমরা চাই, তারা আসুক। আমরা চাই, তারা উদ্যাপন করুক। আমরা চাই, তারা খেলা দেখুক। কিন্তু সময় শেষ হলে, তাদের বাড়ি ফিরে যেতে হবে।’
আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প র ইউক র ন ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত
২০২৬ সালে রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের সম্ভাব্য তারিখের কথা জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, আগামী ২০ মার্চ (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে পারে।
আল জারওয়ান বলেন, ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দেখা যেতে পারে। তবে সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, রোজা পালন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুরু হতে পারে এবং চলতে পারে ৩০ দিন।
যদি রোজা ৩০ দিন পূর্ণ হয়, যেমনটা ধারণা করা হচ্ছে; তবে আরব আমিরাতের সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ঈদের ছুটিতে পবিত্র রমজানের ৩০তম দিনটি যুক্ত হবে। ফলে দেশটির বাসিন্দারা চার দিনের ছুটি পেতে পারেন—১৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ মার্চ (রোববার) পর্যন্ত। এরপর ২৩ মার্চ (সোমবার) আবার অফিস শুরু হবে।
আল জারওয়ান বলেন, ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দেখা যেতে পারে। তবে সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, রোজা পালন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুরু হতে পারে এবং চলতে পারে ৩০ দিন।পবিত্র ঈদুল ফিতর ইসলামিক বর্ষপঞ্জির অন্যতম বড় উৎসব। ঈদের নামাজ দিয়ে এদিনের সূচনা হয়। এরপর দেশে–বিদেশে পরিবার–পরিজন নিয়ে সময় কাটানো, দান–খয়রাত করা ও নানা সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
যদি পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদদের হিসাবের সঙ্গে মিলে যায়, তবে প্রথম শাওয়াল, অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২৬ হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি, নির্ধারিত সময়ের কাছাকাছি গিয়ে।