বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দায়ের হওয়া মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে না– হাইকোর্টের এমন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ‘নো অর্ডার’ দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১৫ মে আপিল বিভাগের বেঞ্চে দিন ধার্য করা হয়েছে।

৯ এপ্রিল ডিএমপির এক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসংক্রান্ত রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা বেশি। এসব মামলায় এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।’

আদেশে, অনুমতি ছাড়া কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.

জসিম উদ্দিন হাইকোর্টে একটি রিট করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে অনেককে ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে। এমনকি অনেক মামলায় বাদী নিজেই মামলার বিষয়ে জানেন না– এমন অভিযোগও রয়েছে। এসব মামলা ঘিরে আসামিদের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ডিএমপি কর্তৃপক্ষ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অনুমতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩২৬

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা ও রাজশাহীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দুজন যথাক্রমে মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হলো।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) ৩২৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১৮। এ বিভাগের জেলা বরগুনায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৫।

এবার রাজধানীর বাইরে, বিশেষ করে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এ বিভাগের বরগুনা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ সংক্রমণ হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।

দক্ষিণের জেলা বরগুনা পৌরসভার ৩১ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। পৌর এলাকার চেয়ে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা অনেক খারাপ। সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের ৭৬ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। পৌর শহরের দুটি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে প্রতি ১০ বাড়ির মধ্যে ৮টিতে।

আরও পড়ুনটাকা নয়, ডেঙ্গুমৃত্যু পর্যালোচনা হচ্ছে না সদিচ্ছার অভাবে৯ ঘণ্টা আগে

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষক দল ১৭ থেকে ১৯ জুন জরিপটি করে। এরপর রোববার প্রতিষ্ঠানটি জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেয়।

বেশি হলে সে এলাকাকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বরগুনা পৌর শহরের দুটি ওয়ার্ডে সংক্রমণে হার ৮০, যা ডব্লিউএইচও নির্ধারিত সীমার আট গুণ বেশি।

শুধু চলতি বছরই নয়, গত বছরও বরগুনায় ডেঙ্গুর উচ্চ সংক্রমণ ছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাইরে, বরগুনা ছিল দেশের চতুর্থ বৃহৎ ডেঙ্গু সংক্রমণের এলাকা। এ জেলায় গত বছর ২ হাজার ৪৩৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বরিশাল বিভাগে এটি ছিল সর্বোচ্চ সংক্রমণ।

আরও পড়ুনকার ‘গুনা’য় বরগুনা এখন ডেঙ্গুর ‘রাজধানী’৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ