বৈষম্যবিরোধী মামলা: আসামি গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি লাগবে না
Published: 7th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দায়ের হওয়া মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে না– হাইকোর্টের এমন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ‘নো অর্ডার’ দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১৫ মে আপিল বিভাগের বেঞ্চে দিন ধার্য করা হয়েছে।
৯ এপ্রিল ডিএমপির এক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসংক্রান্ত রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা বেশি। এসব মামলায় এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।’
আদেশে, অনুমতি ছাড়া কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে অনেককে ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে। এমনকি অনেক মামলায় বাদী নিজেই মামলার বিষয়ে জানেন না– এমন অভিযোগও রয়েছে। এসব মামলা ঘিরে আসামিদের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ডিএমপি কর্তৃপক্ষ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অনুমতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে