জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাইয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল খুনিদের বিচার এবং মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি ফ্যাসিস্ট ও খুনী আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আসামীদের জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতিকে চোখের সামনে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। বিচার প্রশ্নে সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে।’
তিনি লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে উঠবো না।’
সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাহিদ লেখেন, সবাই চলে আসুন। জুলাইয়ে সকল শক্তি, সকল শহীদ পরিবার ও আহতদের আহ্বান জানাই রাজপথে নেমে আসুন। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম আওয় ম ল গ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি চেষ্টায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের স্বীকারোক্তি
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করলে দোষ স্বীকার করে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন। শ্রীনগর আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলো পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার টিলা গ্রামের মো. কামাল ওরফে সিএনজি কামাল, একই উপজেলার নয়া ভাঙ্গুনি গ্রামের মো. ইসমাঈল সরদার, মাদারীপুরের কালকিনির আওলিয়ার চর গ্রামের রমজান বেপারি, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার উত্তাল চাকামায়া গ্রামের রাসেল মোল্লা ও মাদারীপুর সদরের আদিতাপুর গ্রামের মো. লিমন মাতব্বর।
পুলিশ তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে পরিহিত পোশাক ও তিনটি ছেন দা উদ্ধার করেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপারে কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসূল আলম সরকার। তিনি বলেন, ৫ মে রাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন গ্রামের রবিউল আলমের প্রতিবেশী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ সময় রবিউল নিজের গাড়িতে তাঁকে চিকিৎসার জন্য চারজনসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ২টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় রাস্তার ওপর কিছু ছনের আঁটি দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড পান। গাড়ি থামাতেই পাশ থেকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র (ছেন দা) নিয়ে ছয়জন আক্রমণ করতে ছুটে আসে।
চালক বুঝতে পেরে পেছনে যাওয়া শুরু করলে ডাকাত দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে গাড়ির দিকে ধাওয়া করে। ধরতে ব্যর্থ হলে অস্ত্র ছুড়ে মারে তারা। এ ঘটনার ভিডিও ক্যামেরায় রেকর্ড হলে পরে গণমাধ্যমে প্রচার হয়। পুলিশ সুপার বলেন, জেলা পুলিশ ঘটনাটি জানার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।