দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। হামলা-পাল্টা হামলায় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে তারা ‘নিজেদের বিষয়’ মনে করছে না।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এমন মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার (৯ মে) এ খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবাল।

ভ্যান্স বলেন, “ওয়াশিংটন চায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হোক। মূলত এটা আমাদের কোনো বিষয় নয়।’’

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যা করতে পারি তা হলো— উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য কিছুটা উৎসাহিত করা। তবে আমরা এমন কোনো যুদ্ধে জড়াব না, যা আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং যেখানে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’’

আন্তর্জাতিক সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়ানো উচিত নয়- এমন অবস্থান আগেই জানিয়েছিলেন ভ্যান্স। তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমরা সরাসরি কোনো ভূমিকা নিচ্ছি না। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’’

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বুধবার (৮ মে) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমি দুই দেশকেই ভালোভাবে চিনি। তারা নিজেদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করুক, সংঘাত বন্ধ হোক।’’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘আমি যদি কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি, অবশ্যই পাশে থাকব।’’

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে এই সংঘাত খুব দ্রুত শেষ হবে।

ঢাকা/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাইনি, প্রয়োজনও নেই: ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা

ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইরান জানিয়েছে, তারা এখনও যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পায়নি এবং তাদের কাছে এমন কোনো প্রস্তাবের প্রয়োজনও নেই। তেহরানের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা সিএনএনকে এ কথা জানিয়েছেন। 

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য আমাদের কাছে প্রতারণার অংশ। এর মাধ্যমে তারা ইরানে হামলার যুক্তি দাঁড় করাতে চায়। এই মুহূর্তে শত্রু পক্ষ ইরানের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। আর ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা আরও জোরদার করার চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমরা শত্রুর মিথ্যা কথায় কান দিচ্ছি না। 

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই যুদ্ধবিরতি চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে। তবে দুই পক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। খবর-আল জাজিরা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার জবাবে কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ অবস্থায় সংঘাত আরও চরমে পৌঁছার আশঙ্কার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিরসনে একটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরও এই যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরান একমত হয়েছে ১২ ঘন্টার জন্য একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি (আনুমানিক ৬ ঘন্টার মধ্যে) মেনে চলার জন্য। যুদ্ধবিরতির সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষের প্রতি শান্তিপূর্ণ ও শ্রদ্ধাশীল থাকবে। এ যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি, এবং কখনও হবেও না! ঈশ্বর ইসরায়েলকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর ইরানকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন। ঈশ্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করুন এবং ঈশ্বর বিশ্বকে আশীর্বাদ করুন! 

সম্পর্কিত নিবন্ধ