রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর অঘোষিত ‘বডিগার্ড’ কাউসার আহমেদ বাবু (৩৭) গ্রেপ্তার হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তানোর থানা পুলিশের একটি দল।

গ্রেপ্তার বাবু তানোর পৌরসভার আমশো মহল্লার বাসিন্দা, বাবার নাম মৃত মফিজ উদ্দিন। তিনি একসময় বিডিআরের সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এবং পরে তিনি চাকরিচ্যুত হন। এরপর এলাকায় ফিরে তৎকালীন সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগীতে পরিণত হন। স্থানীয়ভাবে তিনি ফারুক চৌধুরীর ‘বডিগার্ড’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, “বাবু সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর গানম্যান বা বডিগার্ড ছিলেন কি না, তা আমি জানি না। তবে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

বাবুর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি এলাকায় ফেরার খবর পাওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

ঢাকা/কেয়া/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: সাভারে বিএনপির আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করার পর ঢাকার ধামরাইয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া এলাকায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে মিছিল করেন তারা। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। 

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এ রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে: নাহিদ 

শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘‘আমরা মনে করি এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এ বিচারকার্যের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা সেই মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যে ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য আমরা ১৫-১৬ বছর অপেক্ষা করেছি। আমরা শুধু এ রায়েই ক্ষান্ত হবো না।’’  অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে রায় কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি। 

পরে তারা সাধারণ জনগণের কাছে মিষ্টি বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাসুদ আল শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইমান আলী, ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এতে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ