বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেছেন, মোংলা বন্দরের সঙ্গে নেপালের সরাসরি রেল যোগাযোগ নেই। সে কারণে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে হলে নেপালের ব্যবসায়ীদের ব্যয় বেশি হয়। সে কারণে তারা আগ্রহী হয় না। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর ও আন্তঃদেশীয় রেলপথের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক করিডোর গড়ে উঠবে। এতে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চললের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।

তিনি শুক্রবার রাতে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে ‘নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট অন নেপাল-বাংলাদেশ কো-অপারেশন : ডায়নামিকস অব ট্রেড ট্যুরিজম অ্যান্ড কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই রয়েছে চমৎকার প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে।

তিনি জানান, গত বছর প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করেছেন। এ বছর প্রায় প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে মেডিকেল পড়ে।

অনুষ্ঠানে খুলনার ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, মোংলা বন্দর ও রেলপথ ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব। তারা সুন্দরবনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।

আয়োজকরা জানান, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো.

জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর আবির ইমতিয়াজ, খুলনা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী সৈয়দ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানিকারক, ট্যুর ও ট্রাভেল অপারেটররা উপস্থিত ছিলেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো পড়ুন:

টানা বৃষ্টিতে সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড, ঘনীভূত হতে পারে লঘুচাপ 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে স্থল গভীর নিম্নচাপটি উপকূলীয় ওড়িশা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে আজ দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

এদিকে, আজ ভোর ৬টার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায়। ঢাকার আকাশ মেঘে ঢেকে আছে। 

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ