প্রায় ১২ ঘণ্টা পর পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ একটি কোচ ভাঙ্গা জংশনে লাইনচ্যুত হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল।

আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে রেললাইন চ্যুত হওয়ার ঘটনায় পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এ তথ্য নিশ্চিত করে রেলের পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তা হাচিনা খাতুন জানান, শুক্রবার রাত থেকে লাইনচ্যুত কোচ দুটি উদ্ধারে দুটি ক্রেন এনে লাইন সচল করা হয়। পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সিগনাল পরিবর্তন করেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ভাঙ্গা জংশনের সহকারী রেল স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ জানান, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশনে লাইনচ্যুত হয়। এরপর আজ শনিবার ভোর থেকে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন উদ্ধার ও লাইনের ত্রুটিগুলোর সমাধান করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকেই জাহানাবাদ এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, নকশিকাঁথা ট্রেনটি তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে ভাঙ্গা রেল জংশন অতিক্রম করে। বর্তমানে বামনকান্দা জংশনে রেল চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ভাঙ্গা বামনকান্দা রেল ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুজ্জামান সিকদার বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। কিছু যাত্রী রাতেই সড়কপথে তাদের গন্তব্যে রওনা দেয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইনচ য ত

এছাড়াও পড়ুন:

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কী আদৌ হবে, হাওলাদারের প্রশ্ন

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চরম অনৈক্য এর কারণে নির্বাচন নিয়ে রয়েছে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

তিনি বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষ এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আদৌ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা। সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এই সংশয় ও অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে।”

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি

ব্যালট ছাপাতে কেপিএম থেকে ৯১৪ মেট্রিক টন কাগজ কিনছে ইসি

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। কোনো কারণে যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে নির্বাচনের পর দেশ আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।”

অতীতের রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে আজ সর্বক্ষেত্রে অনৈক্য বিরাজমান মন্তব্য করে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “আমাদের ওই ধরনের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে; না হলে বিশ্ব দরবারে জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।”

তিনি বলেন, “রাজনীতিতে মতের পার্থক্য থাকতে পারে, অবস্থানগত দূরত্ব থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিহিংসা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা বিশ্বাস করি গণতান্ত্রিক চর্চায় ও নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায়।”

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক ফকরুল আহসান শাহজাদা, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদার, নাসির উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল আরেফিন মাসুম, আব্দুস সাত্তার, আলমগীর হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, অ্যাডভোকেট আল মামুন প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ