১২ ঘণ্টা পর দক্ষিণবঙ্গে রেল চলাচল স্বাভাবিক, পয়েন্টম্যান বরখাস্ত
Published: 10th, May 2025 GMT
প্রায় ১২ ঘণ্টা পর পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ একটি কোচ ভাঙ্গা জংশনে লাইনচ্যুত হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল।
আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে রেললাইন চ্যুত হওয়ার ঘটনায় পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রেলের পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তা হাচিনা খাতুন জানান, শুক্রবার রাত থেকে লাইনচ্যুত কোচ দুটি উদ্ধারে দুটি ক্রেন এনে লাইন সচল করা হয়। পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলামের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সিগনাল পরিবর্তন করেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভাঙ্গা জংশনের সহকারী রেল স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ জানান, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশনে লাইনচ্যুত হয়। এরপর আজ শনিবার ভোর থেকে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন উদ্ধার ও লাইনের ত্রুটিগুলোর সমাধান করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকেই জাহানাবাদ এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, নকশিকাঁথা ট্রেনটি তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে ভাঙ্গা রেল জংশন অতিক্রম করে। বর্তমানে বামনকান্দা জংশনে রেল চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ভাঙ্গা বামনকান্দা রেল ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুজ্জামান সিকদার বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। কিছু যাত্রী রাতেই সড়কপথে তাদের গন্তব্যে রওনা দেয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইনচ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে শেখপাড়া বাজার ঘুরে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সমাবেশ করেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘চব্বিশের বাংলায়, সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি, ইবি কর্মকর্তা বরখাস্ত
ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইবিতে সাংবাদিককে হেনস্তা
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এসএম সুইটের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, তলাবায়ে আরাবিয়ার সাধারণ সম্পাদক শামিমসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।
এসএম সুইট বলেন, “জুলাই আন্দোলন যেভাবে ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের চালাতে হয়েছে, তেমনি আরেকটি আন্দোলন চালাতে হচ্ছে। যা আমাদের আবার ধৈর্যের সঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে। আমরা দেখছি, কিছু চাওয়া-পাওয়া, বোঝা-পোড়ার কারণে আওয়ামী প্রশ্নে অনেকে নমনীয়তা দেখাচ্ছে। আশা করি জুলাই আন্দোলনে তারা যেভাবে কাঁধে কাধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছে, সেই কাজটিই করবে। আসলে ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে, শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।”
তিনি বলেন, “জুলাই গণহত্যা চালিয়ে তারা তাদের বেঁচে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাই ইন্টেরিমকে অতিদ্রুত আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে। আমাদের দাবি আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে। জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী