ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেছেন, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, আমাদের এই পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে গাছ লাগানো আমাদের জন্য কতটা জরুরী। গাছ যদি না থাকে আমরা কিন্তু অক্সিজেন পাবো না। অক্সিজেন না পেলে ২ মিনিটের বেশি আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবো না। কাজেই আমি মনে করি যে, গাছ লাগানো একটা ইবাদতের মতো। 

নিজের প্রয়োজনে সমাজের প্রয়োজনে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজনে আমাদের গাছ লাগাতে হবে। নারায়ণগঞ্জে অনেক নদী ছিল, খাল ছিল। খালগুলো উদ্ধার করতে হবে যাতে করে নারায়ণগঞ্জের মানুষ জলাবদ্ধতা না পায়। 

নারায়ণগঞ্জকে রক্ষা করতে হলে নদীকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমানে শীতলক্ষ্যা নদীর মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আশা করছি, নারায়ণগঞ্জবাসী জেলা প্রশাসককে সহযোগিতা করবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ সংগ্রামী। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নেয়া ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন  ‘নারায়ণগঞ্জ হবে সবুজে ঘেরা, প্রাচ্যের ড্যান্ডি হবে বিশ্ব সেরা’ স্লোগানকে সামনে রেখে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

এদিন সকালে এই কর্মসূচি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালীর আয়োজন করা হয়। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জের ১৪ টি জায়গায় ১০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়। 

মাদক প্রসঙ্গে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ান আহ্বান জানিয়ে শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, যারা মাদকসেবী তাদের রেকর্ড যদি আপনারা পর্যালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন প্রত্যেকের শুরুটা হয়েছে সিগারেট দিয়ে।

আমাদের শিশুদের যদি আমরা তামাক থেকে দূরে রাখতে পারি। তাহলে আমরা আশা করতে পারি, ভবিষ্যতে আমরা তাদের মাদক থেকে দূরে রাখতে পারবো। সেই বিষয়ে অভিভাবকদের একটু সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানাবো। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো.

নুর কুতুবুল আলম, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এফ এম মুশিউর রহমান ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। 

 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশীদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির এই নোটিশে তাঁকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত নোটিশটি মামুন রশীদকে পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকেও সম্প্রতি আপনি এমন কিছু কার্যক্রমে জড়িয়েছেন, যা সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি দলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং তা দলীয় আদর্শ, শৃঙ্খলা ও নীতিমালার পরিপন্থী। আপনার এ ধরনের অবস্থানকে সংগঠনের বিরুদ্ধে কার্যত বিরুদ্ধাচরণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। কেন আপনার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ১৯ মের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মামুন রশীদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে শোকজের কপি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি হার্ডকপিও তাঁর হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যা পাওয়ার পর গঠনতন্ত্র অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে মামুন রশীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কী অভিযোগ রয়েছে, তা নোটিশে উল্লেখ করা হয়নি। দলীয় একটি সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমদ স্থানীয় একটি মসজিদে গেলে কিছু ব্যক্তি তাঁকে মারধর করে মামুন রশীদের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে মামুন রশীদ তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আফসারকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মামুন রশীদকে কারণ দর্শানো হয়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মামুন রশীদ বলেন, ‘আফসার উদ্দিন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এলাকার মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। তাঁর ভাই আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সহপাঠী। সেই প্রভাব ব্যবহার করে এলাকাবাসীর ওপর অত্যাচার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মামলাও আছে। এলাকাবাসী আফসারকে ধরে আমার বাড়িতে নিয়ে আসে। আমি তাঁকে একটি কক্ষে রেখে রক্ষা করেছি।’

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় আফসার উদ্দিন তাঁর ওপর নানাভাবে হয়রানি করেছেন বলেও দাবি করেন মামুন রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমাকে কোনো সভা করতে দেওয়া হয়নি। আমার ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ, কাল শোক
  • নির্বাচনের সাড়ে ৩ বছর পর জামায়াত নেতা চেয়ারম্যান 
  • নানকের স্ত্রী-কন্যাসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
  • সাম্যের মৃত্যুতে মর্মাহত ঢাবি প্রশাসন  
  • ঢাবিতে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি চালু
  • ফাজিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯৩ শতাংশ
  • হঠাৎ ছুটিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার
  • ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিআইসিজি প্রধানের সাক্ষাৎ
  • চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ঢাবির সমঝোতা
  • কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ