পাকিস্তানে ভারতের হামলা মানেই যেন বলিউডে সিনেমা নির্মাণের মহোৎসব। পেহেলগামে হামলার ১৫ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। এ অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযান শুরু হতে না হতেই বলিউডে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সিনেমা বানানোর হিড়িক। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১৫টি প্রযোজনা সংস্থা ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সিনেমার নিবন্ধন করেছে। এ খবর চাউর হতেই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। বিতর্কের মুখে সিনেমা বানাতে চাওয়া উত্তম মাহেশ্বরী এবার ক্ষমা চাইলেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের

‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হওয়ার দুই দিনের মধ্যই অভিযান নিয়ে সিনেমার পোস্টার প্রকাশ করে নিকি ভিকি ভাগনানি ফিল্মস ও দ্য কনটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার। যে ছবির পরিচালনা করবেন উত্তম মাহেশ্বরী ও নিতিন কুমার গুপ্তা।

পাকিস্তানে ভারতের সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে আওয়ামী লীগ নেতা তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনের ২ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে এসব সম্পত্তি আত্মসাত করেন তারা। শুধু তাই নয় বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবে মামলা দিয়ে হয়রানিও করেছেন ওই নেতারা।

বুধবার (১৪ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মামাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ পাক্কারোড এলাকা বাসিন্দা শাহ আল মোমেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহ আল মোমেন অভিযোগ করেন, ২০১২ সালে তার মা মোমেনা বেগমের মৃত্যুর পর থেকেই  মামাদের মধ্যে শুরু হয় সম্পত্তি নিয়ে টানাটানি। মেঝো মামা খাজা রহমতউল্লাহ  ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা, বড়  মামা খাজা আহসানুল্লাহ ও খাজা অলিউল্লাহ মাসুদ  সাবেক বিদ্যুত মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠজন।  মেজ মামা খাজা রহমতুল্লাহর স্ত্রী   নাদিয়া বেগম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  উপদেষ্টা এস এ মালেকের কন্যা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, মামারা তিন ভাই মা সহ খালারা চার বোন, মামা নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সেই প্রভাব খাটিয় মা ও খালাদের ওয়ারিশ সম্পত্তি জাল সনদ করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় ।

আমার মায়ের নামে থাকা নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর, নয়ামাটি এবং দেওভোগে  প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয় আমাদেও দুই ভাই একবোনকে । অভিযুক্তরা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালি নেতা হওয়ায় বিগত ৫ ই আগস্ট এর আগে আমারা   ন্যায়বিচার পাইনি। ভেবেছিলাম ৫ আগস্ট এর পর সঠিক বিচার পাবো।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বিভা হাসানকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওয়ারিশের জাল সনদ তৈরি করেছেন এবং ওই সনদের মাধ্যমে জমি অন্যতম বিক্রি করে দিয়েছেন এই মামারা।   

জাল সনদের বিষয়ে আদালতে মামলা করলে আদালত সিআইডিকে তদন্ত দেয়  তদন্ত সিআইডি  প্রমাণ পায যে, জাল ওয়ারিশ সনদদের মাধ্যমে আমার মায়ের সম্পত্তি আত্মসাৎ করা হয়েছে।   আত্মসাৎ এর  প্রমাণের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা মামার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। 
জাল সনদ কান্ড  পারিবারিকভাবে বা সামাজিকভাবে সমঝোতা করে দেবেন এমন আশ্বাসে জামিন নিয়ে  আওয়ামী লীগ নেতা মামা  মুঠোফোনে খাজা অলিউল্লাহ মাসুদ আমাকে  হত্যার হুমকি দেয়। সম্পত্তি ফেরতসহ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানান তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ