পাকিস্তানে ভারতের হামলা মানেই যেন বলিউডে সিনেমা নির্মাণের মহোৎসব। পেহেলগামে হামলার ১৫ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। এ অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযান শুরু হতে না হতেই বলিউডে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সিনেমা বানানোর হিড়িক। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১৫টি প্রযোজনা সংস্থা ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সিনেমার নিবন্ধন করেছে। এ খবর চাউর হতেই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। বিতর্কের মুখে সিনেমা বানাতে চাওয়া উত্তম মাহেশ্বরী এবার ক্ষমা চাইলেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের

‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হওয়ার দুই দিনের মধ্যই অভিযান নিয়ে সিনেমার পোস্টার প্রকাশ করে নিকি ভিকি ভাগনানি ফিল্মস ও দ্য কনটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার। যে ছবির পরিচালনা করবেন উত্তম মাহেশ্বরী ও নিতিন কুমার গুপ্তা।

পাকিস্তানে ভারতের সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কলকাতায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের কলকাতার নগর দায়রা আদালত। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে বুধবার তাঁদের এ সাজা দেওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন মাওলানা ইউসুফ শেখ, মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ রুবেল, জবিরুল ইসলাম ও আনোয়ার হুসেন। রুবেল, জবিরুল ও আনোয়ার বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। আবদুল কালাম নামের এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বিচার ভবনের মুখ্য কৌঁসুলি দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, এই সন্ত্রাসীদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার আরজি জানানো হয়েছিল। বিচারক পাঁচ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফ, শহিদুল, রুবেল, জবিরুল ও আবদুল কালাম আগে থেকেই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা খাটছিলেন। খাগড়াগড় তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের (এসটিএফ) হাত থেকে তাঁদের হেফাজতে নিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।

এসটিএফ সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট, বনগাঁ ও আসাম থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, জাল পরিচয়পত্র ও জিহাদি কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা।

সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেছেন, ছয়জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছিল। রুবেল, জবিরুল ও আনোয়ারের বিরুদ্ধে ফরেনার্স আইনেও মামলা করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ