নাটোরে কোরআন বিরোধী প্রস্তাব বাতিল দাবিতে হেফাজতের মহাসমাবেশ
Published: 12th, May 2025 GMT
নাটোরে সংস্কার কমিশনের নারীদের কোরআন বিরোধী প্রস্তাব বাতিল করে সংবিধানে কোরআনের পূর্ণআস্থা পুনর্বহাল ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নাটোর জেলা হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) বিকেলে শহরের ভবানীগঞ্জ মোড় এলাকায় হেফাজতে ইসলাম নাটোর জেলার উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ মাদানীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শায়খ মুফতি হারুন ইজহার।
আরো পড়ুন:
সামাজিক মাধ্যমে আ.
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি
বক্তারা বলেন, ‘‘দেশের স্বার্থে যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে আলেমরা রক্ত দিতে দ্বিধাবোধ করেননি। আবারো যদি ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস করার স্পর্ধা দেখায় তাহলে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়ে রুখে দিবো।’’
তারা আরো বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লবের কমিশন গঠন করলেন কিন্তু শাপলা চত্বরে গণহত্যার কোনো কমিশন গঠন করা হলো না। ফ্যাসিস্ট আওয়াসী লীগ আমলে কোনো ব্যক্তি স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি। আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, গণহত্যাকারী হাসিনাসহ তার দোসরদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।’’
বক্তারা বলেন, ‘‘সংস্কার কমিশনের নারীদের কোরআন বিরোধী প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। সংবিধানে বহুত্ববাদের পরিবর্তে আল্লাহর উপর পূর্ণআস্থা পুনর্বহাল করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়াসী লীগের আমলে শাপলা চত্বরসহ সকল গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’’
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলাম ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল মাহমুদ হাবীবী, নাটোর জেলা হেফাজত ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ,সাংগাঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জাজ নাইম, সদর থানা সভাপতি আহম্মদ মোস্তফাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ইসল ম র ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর ইনকিলাব মঞ্চের তিন প্রস্তাব
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী এ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।
এই তিন প্রস্তাব হলো প্রথমত দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা। প্রথম ট্রাইব্যুনাল ব্যক্তির বিচার করবে। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল দলের বিচার করবে। দ্বিতীয়ত, অনেক আওয়ামী লীগের সমর্থক রয়েছে, যারা কোনো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয়। এদের নিয়ে অনেকে মামলা–বাণিজ্য করে। এদের জন্য একটা ‘তওবা কমিশন’ গঠন করার মাধ্যমে তাদের দায়মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত, আগামী ৩৬ জুলাইয়ের (৫ আগস্ট) মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান করা।
এ সময় শরিফ ওসমান হাদী সরকারের প্রতি এক সপ্তাহের মধ্যে ৫০ হাজার নতুন পুলিশ নিয়োগের আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, ‘বিসিএসে এত বছর যত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সব আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সুপারিশে হয়েছে। সেই আওয়ামী পুলিশরা কি এখন আওয়ামী লীগকে ধরবে? বাংলাদেশে এত যুবক বেকার। আপনারা এই ১০ মাসে নতুন করে পুলিশ নিয়োগ দিলে অনেক যুবকের কর্মসংস্থান হতো। আমি সরকারকে বলব, আপনারা এক সপ্তাহের মধ্যে ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দিন।’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ১০ মাস পরে হওয়ার কথা ছিল না উল্লেখ করে ইনকিলাব মঞ্চের এই নেতা বলেন, ‘এটা তো তাদের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই করার কথা ছিল।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মনে কইরেন না আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় আমরা আমাদের অন্যান্য দাবি ভুলে যাব। আপনাদের অতি দ্রুত গণহত্যার বিচার শুরু করতে হবে। শুধু জুলাই গণহত্যা নয়, একই সঙ্গে পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার শুরু করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ব্যাপারে শরিফ ওসমান হাদী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটা ধারা ছিল, এই ট্রাইব্যুনাল যেকোনো দলেরও বিচার করতে পারবে। কিন্তু গতকাল বলা হলো এটা আগে আইনে ছিল না, আইন সংশোধন করে নতুন করে তা যুক্ত করা হলো। কিন্তু এটা তো পূর্বের আইনে ছিল। তাহলে আমাদের প্রশ্ন হলো কোন উপদেষ্টা এই আইন বাদ দিয়েছেন?’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই মে মাসে যখন জনতা আন্দোলনে নামল, তখন আপনারা বলছেন, এই মে মাসেই দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল করবেন। তাহলে এত দিন সেটা করেন নাই কেন?’
শরিফ ওসমান হাদী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এই প্রজ্ঞাপনে (লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন) জাতীয় পার্টির নাম নাই কেন? তারা কি দুধে ধোয়া? তারা কি বিনা ভোটে এমপি হন নাই? আওয়ামী লীগের শরিক ১৪–দলীয় জোটের নাম নাই কেন?’