আসন্ন আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ের জন্য চূড়ান্ত দল প্রকাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। ঐতিহাসিক লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে প্রোটিয়ারা, সেই লক্ষ্যে তারা মূলত অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত খেলোয়াড়দের নিয়েই গঠন করেছে চূড়ান্ত স্কোয়াড।

দীর্ঘ দিন পর টেস্ট দলে ফিরেছেন ডানহাতি পেসার লুঙ্গি এনগিদি। চোটের কারণে একাধিক সিরিজে অনুপস্থিত থাকলেও, সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি লিগে তার পারফরম্যান্স আবার জাতীয় দলে ফেরার পথ করে দেয়। ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে উঠে এনগিদিকে এবার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চেও জায়গা দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লিগ পর্বে সেরা পারফরমারদের একটি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৯.

৪৪ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে থেকে ফাইনালে উঠেছে। দলের অধিনায়কত্বে থাকবেন টেম্বা বাভুমা, যিনি নেতৃত্ব দিয়ে টেস্টে ধারাবাহিক সাফল্যের ছাপ রেখেছেন।

আরো পড়ুন:

শিরোপা ধরে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা

ফাইনালে ভারত না থাকায় ক্ষতি ৬৩ কোটি

শেষ টেস্ট সিরিজে থাকা স্কোয়াড থেকে দুইটি পরিবর্তন এনেছে প্রোটিয়ারা। বাদ পড়েছেন কুয়েনা মাফাখা এবং ম্যাথিউ ব্রিটজ, যাদের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন অভিজ্ঞ এনগিদি।

প্রধান কোচ শুকরি কনরাড জানিয়েছেন, “এই ফাইনাল আমাদের জন্য শুধু একটি ম্যাচ নয়, বরং দীর্ঘ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। আমরা লাল বলের ক্রিকেটে যেভাবে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি, তারই স্বীকৃতি এই জায়গা।”

তিনি আরও যোগ করেন, “লর্ডসের পরিস্থিতি মাথায় রেখেই আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল বেছে নিয়েছি। যারা সুযোগ পেয়েছে, তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে এটি অর্জন করেছে।”

দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড:
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, এইডেন মার্করাম, উইয়ান মুল্ডার, মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজ, লুঙ্গি এনগিডি, কর্বিন বশ, কাইল ভেরাইনি, ডেভিড বেডিংহ্যাম, ট্রিস্টান স্টাবস, রায়ান রিকেলটন, সেনুরান মুথুসামি, ডেন প্যাটারসন।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজের মাত, বুমরার ঘাত আর তাসকিনের ভাবনা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটা অদ্ভুত জায়গা। বলা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই সামাজিক না। যদি সেখানে কখনো নায়ক হন, আপনাকে খলনায়ক হওয়ার অপেক্ষাতেও থাকতে হবে।

ভালোবাসা পেলে ঘৃণাও যে পাবেনই, অবধারিত। ভারতীয় পেসার যশপ্রীত বুমরার কথা ভাবুন। ভারতের ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে অনেক ভারতীয় সমর্থকের কাছে তিনি ছিলেন সবেধন নীলমণি। সিরিজ শেষে? তিনিই নাকি প্রতারক!

সিরিজ শুরুর আগেই বুমরা জানিয়েছিলেন, তিনি ইংল্যান্ড সফরে তিনটি টেস্ট খেলবেন। নিজে নিজে তো আর সিদ্ধান্ত নেননি! টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত। তখন বুমরাকে নিয়ে কোনো সমালোচনা হয়নি।

বুমরা হঠাৎ করে অনেকের চোখে খারাপ হয়ে গেলেন তাঁর সতীর্থ মোহাম্মদ সিরাজ সিরিজের পাঁচটি টেস্ট খেলায়। ‘অ্যান্ডারসন–টেন্ডুলকার ট্রফির’ সব টেস্টেই নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন সিরিজ। আর তাঁর হাত ধরেই ওভাল টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করেছে ভারত।

এসবের পরই বুমরা হয়ে গেলেন চোখের বালি। সিরাজ পারলে বুমরা কেন নন!
তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় কয়েক দিন আগেই যাঁকে সর্বকালের সেরা বলে দাবি করা হলো, সেখানে বুমরার নামই এখন ট্রল ট্রেন্ডিংয়ে। পারফরম্যান্স নিয়ে কিন্তু এখনো প্রশ্ন নেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে বুমরা ৫ ইনিংস বোলিং করে নিয়েছেন ১৪ উইকেট, যা সিরিজের চতুর্থ সর্বোচ্চ।

আমি আশা করি, ভারতীয় ক্রিকেটের অভিধান থেকে “ওয়ার্ক লোড” শব্দটা চিরতরে বাদ যাবে। আমি অনেক দিন ধরেই এটা বলে আসছি।সুনীল গাভাস্কার

প্রশ্ন বুমরার নিবেদন নিয়ে। অনেকেরই দাবি, ‘ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট’ বলে যে কথাটা বলা হয়, সেটা আদতে কিছুই নয়। মোক্ষম উদাহরণ তো সিরাজই। ২০১৮ সালে অভিষেকের পর থেকে যার ওয়ার্ক লোড নিয়ে কখনো কোনো কথাই হয়নি। সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ৪৭টি স্পেলে বোলিং করেছেন সিরাজ, যেখানে প্রতিটি বলেরই গতি ঘণ্টায় ১৩১ কিলোমিটারের বেশি। সিরাজের এমন পারফরম্যান্স বুমরাকেই শুধু না, ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’ কথাটাকেও যেন চাপে ফেলে দিয়েছে!

আর এই পালে হাওয়া দিয়েছেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারও। তাঁর ভাষ্য, ‘আমি আশা করি, ভারতীয় ক্রিকেটের অভিধান থেকে “ওয়ার্ক লোড” শব্দটা চিরতরে বাদ যাবে। আমি অনেক দিন ধরেই এটা বলে আসছি। আমার মনে হয়, আমাদের সবার মাথায় রাখা উচিত—এই “ওয়ার্ক লোড” আসলে যতটা মানসিক ব্যাপার, ততটা শারীরিক নয়।’

ভারতের হয়ে ৭৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সন্দীপ প্যাটেল তো গত পরশু সরাসরি বুমরাকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘আমি ভাবছি, কীভাবে বিসিসিআই এসব মেনে নিচ্ছে। ফিজিও কি অধিনায়ক ও প্রধান কোচের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

তাহলে নির্বাচকদের কথার কী হবে? আমরা কি ধরে নেব, এখন থেকে দল নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে ফিজিও বসবে? সিদ্ধান্তও কি সে নেবে? আমি দেখেছি সুনীল গাভাস্কারকে ম্যাচের পাঁচ দিনই ব্যাট করতে, কপিল দেবকে টেস্ট ম্যাচের অধিকাংশ দিন বল করতে। এমনকি আমাদের নেটেও বল করত। তারা কখনো বিরতি চাননি, অভিযোগ করেননি, আর তাদের ক্যারিয়ার ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছে।’

ভারতের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বুমরা ও সিরাজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোনালদোর জোড়া গোল, তবুও হারল আল-নাসর
  • ৭৫০ কোটিতে লিভারপুল ছেড়ে আল-হিলালে নুনেজ
  • সিরাজের মাত, বুমরার ঘাত আর তাসকিনের ভাবনা