‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদনের শুনানি ১৯ মে
Published: 14th, May 2025 GMT
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৯ মে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক আজ বুধবার এদিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’–এ প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আদেশ জারি করে। প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো.
নগদে প্রশাসক নিয়োগসংক্রান্ত গত বছরের ২১ আগস্টের আদেশ এবং এ নিয়ে হাইকোর্টের ১৬ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে মো. শাফায়েত আলম আপিল বিভাগে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ৭ মে চেম্বার আদালত প্রশাসক নিয়োগসংক্রান্ত আদেশ এবং এ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এ সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে (নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম) নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ অবস্থায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার আবেদন করে, যা আজ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় ৩১১ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল এবং বি এম ইলিয়াস কচি শুনানিতে ছিলেন।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি প্রথম আলোকে বলেন, নগদে প্রশাসক নিয়োগসংক্রান্ত গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া এ–সংক্রান্ত রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এর মধ্যে শুধু প্রশাসক নিয়োগসংক্রান্ত গত বছরের ২১ আগস্টের আদেশ স্থগিতের অংশটুকু প্রত্যাহার চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই আবেদন করে। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি ১৯ মে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বান্ধবীর ছবি তুলেছিলেন ভাই। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে ভাইকে বাঁচাতে উল্টো বান্ধবীর নামে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তানিয়া হক নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও চুরির ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজকোর্টের সামনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল।
পাবনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের আদালত ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা সানিমুনকে জামিন দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, “আমার মক্কেল ইফফাত মোকাররমা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতায় পেশায় নিয়োজিত। তিনি একজন সম্মানিত লোক। মামলার বাদীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে ঘোরাঘুরির পর যখন রাত্রীযাপন করছিলেন সেই সময়ে বাদীর ভাই ইফফাত মোকাররমার ছবি তুলেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান এবং ছবিগুলো দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন সকালে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে ইফফাত মোকাররমা ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে জিডি করেন। কিন্তু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ইফফাত মোকাররমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী।”
তিনি আরো বলেন, “বাদী তানিয়া হক উল্লেখ করেছেন ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে যা তিনি তার শরীরে পড়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুড়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিনের ঘোরাঘুরির ছবিতে তার শরীরে কোনো স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। এছাড়াও ঘটনার দুইদিনের মাথায় যেভাবে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায় কোনো তদন্ত ছাড়াই থানা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।”
ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলার নূন্যতম প্রমাণ নেই। আমি যে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্রদের সামনে দাঁড়াবো সেই অবস্থাও তারা আমাকে রাখেনি। আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে মামলার বাদীর তানিয়া হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “উনি (আইনজীবী) উনার মক্কেলের জন্য এসব কথা বলতেই পারেন। উনার মক্কেলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে এবং আইনানুগভাবেই মামলা দায়ের হয়েছে, যা এখনও তদন্ত চলছে।”
ঢাকা/শাহীন/এস