Samakal:
2025-07-01@15:14:01 GMT

লেনদেন ফের ৩০০ কোটির নিচে

Published: 15th, May 2025 GMT

লেনদেন ফের ৩০০ কোটির নিচে

দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। দর পতন অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমায় লেনদেন ক্রমাগত কমছে। গতকাল বুধবার ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকার শেয়ার, যা গত ২৯ এপ্রিলের পর এটাই সর্বনিম্ন লেনদেন।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৫ মে এ বাজারে ৫৮৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। সে তুলনায় গতকালের লেনদেন অর্ধেকে নেমেছে। অবশ্য ওই দিন ব্লক মার্কেটে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। গতকাল ব্লক মার্কেটে কেনাবেচা হয়েছে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার।

লেনদেন কমার কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, ক্রমাগত দর পতন বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কার্যক্রম থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের উদ্যোগ নিয়ে সর্বশেষ যে আশা তৈরি হয়েছিল, তাও হতাশায় রূপ নিয়েছে।

এর সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিকল্পনায় থাকায়, তার ফলাফল নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ আছে। বিশেষত তালিকাভুক্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল বিধায়, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলোর বিষয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। এরও প্রভাব আছে শেয়ারদরে।

গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৭টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ২৬৯টির এবং অপরির্তিত থেকেছে ৩২টির। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২১টি দর হারিয়েছে।

ডিএসইর খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কাগজ ও ছাপাখানা ছাড়া গতকাল বাকি সব খাতের সিংহভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে। বড় খাতগুলোর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের দেড় শতাংশ, বীমা খাতের সোয়া ১ শতাংশ এবং বস্ত্র খাতের সোয়া ১ শতাংশের বেশি দর পতন হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক কোম্পানির খাতগুলোর মধ্যে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের আড়াই শতাংশ, সিমেন্ট এবং সিরামিক খাতের শেয়ারগুলো গড়ে দেড় শতাংশের ওপর দর হারিয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল সর্বাধিক সোয়া ৪৪ কোটি টাকার লেনদেন কমার পরও ব্যাংক খাতের লেনদেন ছিল খাতওয়ারি লেনদেনের সর্বোচ্চ। যার পরিমাণ ছিল মাত্র ৫৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ১২ কোটি টাকার লেনদেন কমে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের লেনদেন ৩২ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় নেমেছে।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গতকাল তালিকাভুক্ত ৩৯৩ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হলেও এর মধ্যে শীর্ষ ২০ কোম্পানির ১৩০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোটের ৪৪ শতাংশের বেশি। আবার এর মধ্যে একক কোম্পানি হিসেবে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানি বিচ হ্যাচারির সর্বাধিক পৌনে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র র ল নদ ন ল নদ ন ক আর থ ক গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

আইনজীবী হত্যা: চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র 

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মাহফুজুর রহমান।

অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

সাবেক স্ত্রীকে খুনের পর মেয়েকে দলিল বুঝিয়ে দিয়ে আত্মহনন

জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন: প্রধান উপদেষ্টা

গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে চিন্ময়ের জামিন নিয়ে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন ওই ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। পরে মোট ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন, যাদের মধ্যে ২১ জন এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে জানায় পুলিশ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিপন দাস বঁটি ও চন্দন দাস কিরিচ দিয়ে কোপ দেন, এরপর দলবদ্ধভাবে ১৫-২০ জন মিলে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, চিন্ময় দাসের উসকানি ও নেতৃত্বেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তাই তাকেও আসামি করা হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে আরো একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ