Samakal:
2025-08-17@00:29:00 GMT

লেনদেন ফের ৩০০ কোটির নিচে

Published: 15th, May 2025 GMT

লেনদেন ফের ৩০০ কোটির নিচে

দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। দর পতন অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমায় লেনদেন ক্রমাগত কমছে। গতকাল বুধবার ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকার শেয়ার, যা গত ২৯ এপ্রিলের পর এটাই সর্বনিম্ন লেনদেন।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৫ মে এ বাজারে ৫৮৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। সে তুলনায় গতকালের লেনদেন অর্ধেকে নেমেছে। অবশ্য ওই দিন ব্লক মার্কেটে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। গতকাল ব্লক মার্কেটে কেনাবেচা হয়েছে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার।

লেনদেন কমার কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, ক্রমাগত দর পতন বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কার্যক্রম থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের উদ্যোগ নিয়ে সর্বশেষ যে আশা তৈরি হয়েছিল, তাও হতাশায় রূপ নিয়েছে।

এর সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিকল্পনায় থাকায়, তার ফলাফল নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ আছে। বিশেষত তালিকাভুক্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল বিধায়, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলোর বিষয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। এরও প্রভাব আছে শেয়ারদরে।

গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৭টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ২৬৯টির এবং অপরির্তিত থেকেছে ৩২টির। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২১টি দর হারিয়েছে।

ডিএসইর খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কাগজ ও ছাপাখানা ছাড়া গতকাল বাকি সব খাতের সিংহভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে। বড় খাতগুলোর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের দেড় শতাংশ, বীমা খাতের সোয়া ১ শতাংশ এবং বস্ত্র খাতের সোয়া ১ শতাংশের বেশি দর পতন হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক কোম্পানির খাতগুলোর মধ্যে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের আড়াই শতাংশ, সিমেন্ট এবং সিরামিক খাতের শেয়ারগুলো গড়ে দেড় শতাংশের ওপর দর হারিয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল সর্বাধিক সোয়া ৪৪ কোটি টাকার লেনদেন কমার পরও ব্যাংক খাতের লেনদেন ছিল খাতওয়ারি লেনদেনের সর্বোচ্চ। যার পরিমাণ ছিল মাত্র ৫৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ১২ কোটি টাকার লেনদেন কমে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের লেনদেন ৩২ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় নেমেছে।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গতকাল তালিকাভুক্ত ৩৯৩ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হলেও এর মধ্যে শীর্ষ ২০ কোম্পানির ১৩০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোটের ৪৪ শতাংশের বেশি। আবার এর মধ্যে একক কোম্পানি হিসেবে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানি বিচ হ্যাচারির সর্বাধিক পৌনে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র র ল নদ ন ল নদ ন ক আর থ ক গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামীকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এতে ইউরোপের কয়েকজন নেতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের বরাত নিউইয়র্ক টাইমস এই খবর জানিয়েছে।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেন ট্রাম্প। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠককে ট্রাম্প “উষ্ণ” বলে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে পুতিনের মতো বৈঠকে “খোলামেলা” ও “গঠনমূলক” আলোচনা হয়েছে।

ট্রাম্প ও পুতিনের প্রত্যাশা, তাঁদের এই বৈঠক ইউক্রেন সংঘাত সমাধানে অগ্রগতি আনতে পারবে।

বৈঠকের পরের দিন গতকাল শনিবার সূত্রের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প সোমবার জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বৈঠকে ‘ইউরোপীয় নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ তবে ইউরোপের কোন কোন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

শনিবার সকালে জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে এক পোস্টে জানানা, সোমবার তিনি ওয়াশিংটনে যাবেন। পরে ট্রাম্পও তা নিশ্চিত করেছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সম্ভবত জেলেনস্কির কাছে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। প্রস্তাবে ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দনবাস অঞ্চলের যেসব এলাকা রাশিয়া বিল পাস করে নিজেদের বলে ঘোষণা করেছেন, কিয়েভকে তা মেনে নিতে হবে। এমনকি দনবাসের যেসব এলাকা এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু রাশিয়া নিজের বলে ঘোষণা করেছে, তা-ও মস্কোর বলে স্বীকার করে নিতে হবে।

প্রতিবেদনটি বলছে, ইউক্রেন এসব শর্ত মেনে নিলে অন্যান্য সীমান্তে চলমান সংঘাত বন্ধ করবে রাশিয়া।

কিন্তু এরই মধ্যে জেলেনস্কি বারবার বলেছেন, রাশিয়ার কাছে কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া হবে না। হারানো সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করা হবে।

ট্রাম্প ও পুতিনের আলাস্কা বৈঠকের পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে তাঁরা ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সঙ্গে ইউরোপের সহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকে বসার ব্যাপারে নিজেদের প্রস্তুতির’ কথা জানান।

আলাস্কা বৈঠকের পর ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছিলেন, পুতিন, ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এখনো আলোচনা করেনি।

গত বৃহস্পতিবার ফক্স বিজনেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছিলেন, ইউক্রেনের ইউরোপীয় সমর্থকদের “কাজ দেখাতে” না পারলে “চুপ থাকা” উচিত। ইউক্রেন সংঘাত বন্ধের সমাধান খোঁজে বের করতে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনের কাছে ইউরোপের দাবি-দাওয়া হাজির করা বন্ধ করতে হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ