শেয়ারবাজারে পৌনে ৫ বছরে সর্বনিম্নে সূচক
Published: 15th, May 2025 GMT
দর পতনের পুরোনো বৃত্তে শেয়ারবাজার। টানা তৃতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবারও তালিকাভুক্ত সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৭৮১ পয়েন্টে নেমেছে। সূচকের এ অবস্থান ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট বা পৌনে পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন। দর পতন ঘনীভূত হওয়ায় লেনদেনও ৩০০ কোটি টাকার নিচেই অবস্থান করছে।
যদিও আজ দিনের শুরুতে বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধি নিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছিল। লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় দুই শতাধিক শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে ভর করে ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৪৮৫৬ পয়েন্টে উঠেছিল। তবে এরপর ক্রমাগত দরপতনে লেনদেন শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৭৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৭৭৯ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমেছিল।
গত আগস্টে সরকার বদলের পর প্রথম চার কর্মদিবসে বড় উত্থান হয়েছিল শেয়ারদর, সূচক ও লেনদেনে। তবে এর পর থেকে ক্রমাগত দর পতন হচ্ছে।
তবে দ্রুতই প্রবাসীদের পাঠানো রেকর্ড রেমিট্যান্স আয় এবং রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধি ডলারসংকট অনেকটা প্রশমিত করার পাশাপাশি দেশের চলতি হিসাবে স্বস্তিকর অবস্থায় পৌঁছেছে। এর প্রতিফলন শেয়ারবাজারে নেই।
সবশেষ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠক থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে স্বল্পমেয়াদি কোনো পদক্ষেপ না থাকায় হতাশা আরও বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এমনটা জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা।
দিনের লেনদেন শেষের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৭টির কেনা-বেচা হয়েছে, যার মাত্র ৪০টির দর বেড়েছে। বিপরীতে ২৮৫ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে, অপরিবর্তিত ৩২টির দর। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩১টিই দর হারিয়েছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আজ সব খাতেরই সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। যেখানে ৩ শতাংশের ওপর ১১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে, তার বিপরীতে সম হারে দর হারিয়েছে ৮০টি।
এদিকে গতকালও ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন তিনশ কোটি টাকার নিচেই ছিল। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৯৭ কোটি টাকার শেয়ার, যা বুধবারের তুলনায় আড়াই কোটি টাকা বেশি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দর হ র য় ছ শ য় রব জ র ল নদ ন অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
শেয়ারবাজারে পৌনে ৫ বছরে সর্বনিম্নে সূচক
দর পতনের পুরোনো বৃত্তে শেয়ারবাজার। টানা তৃতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবারও তালিকাভুক্ত সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৭৮১ পয়েন্টে নেমেছে। সূচকের এ অবস্থান ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট বা পৌনে পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন। দর পতন ঘনীভূত হওয়ায় লেনদেনও ৩০০ কোটি টাকার নিচেই অবস্থান করছে।
যদিও আজ দিনের শুরুতে বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধি নিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছিল। লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় দুই শতাধিক শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে ভর করে ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৪৮৫৬ পয়েন্টে উঠেছিল। তবে এরপর ক্রমাগত দরপতনে লেনদেন শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৭৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৭৭৯ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমেছিল।
গত আগস্টে সরকার বদলের পর প্রথম চার কর্মদিবসে বড় উত্থান হয়েছিল শেয়ারদর, সূচক ও লেনদেনে। তবে এর পর থেকে ক্রমাগত দর পতন হচ্ছে।
তবে দ্রুতই প্রবাসীদের পাঠানো রেকর্ড রেমিট্যান্স আয় এবং রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধি ডলারসংকট অনেকটা প্রশমিত করার পাশাপাশি দেশের চলতি হিসাবে স্বস্তিকর অবস্থায় পৌঁছেছে। এর প্রতিফলন শেয়ারবাজারে নেই।
সবশেষ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠক থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে স্বল্পমেয়াদি কোনো পদক্ষেপ না থাকায় হতাশা আরও বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এমনটা জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা।
দিনের লেনদেন শেষের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৭টির কেনা-বেচা হয়েছে, যার মাত্র ৪০টির দর বেড়েছে। বিপরীতে ২৮৫ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে, অপরিবর্তিত ৩২টির দর। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩১টিই দর হারিয়েছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আজ সব খাতেরই সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। যেখানে ৩ শতাংশের ওপর ১১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে, তার বিপরীতে সম হারে দর হারিয়েছে ৮০টি।
এদিকে গতকালও ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন তিনশ কোটি টাকার নিচেই ছিল। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ২৯৭ কোটি টাকার শেয়ার, যা বুধবারের তুলনায় আড়াই কোটি টাকা বেশি।