দেশের কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের মধ্যে বর্তমানে ব্যাংক ঋণের আওতায় রয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ। এ অবস্থায় আরও বেশি উদ্যোক্তাকে ঋণের আওতায় আনার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিগ্রস্ত সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে বিশেষ মডেল কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি। বৃহস্পতিবার ঢাকার এক হোটেলে এ বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 
এসমএই ফাউন্ডেশন জানায়, কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো.

মুসফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মো. কুতুব। বক্তব্য দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দায়ারাত্নে, এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম হাসান সাত্তার প্রমুখ। 
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সম্ভাব্য ঝুঁকিগ্রস্ত সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ‘ব্লেন্ডেড ফাইন্যান্স’ সুবিধা প্রবর্তনের লক্ষ্যে একটি মডেল কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং ইউএনডিপি। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জলবায়ু-সংবেদনশীল অঞ্চল পরিদর্শনের মাধ্যমে বাস্তব পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করা হয়েছে এবং অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এসএমই

এছাড়াও পড়ুন:

এসএমই ফাউন্ডেশন দিয়েছে ১৪০টি প্রস্তাব

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে নীতি সহায়তা প্রয়োজন। এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ইতোমধ্যে ১৪০টি প্রস্তাব দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ সভা ও কর্মশালা থেকে পাওয়া বিভিন্ন সুপারিশ ও পরামর্শ পর্যালোচনা করে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 
মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘এসএমই-বান্ধব বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৫-২৬’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সহযোগিতায় এ সভার আয়োজন করা হয়। 

মূল প্রবন্ধে এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এসএমই-বান্ধব বাজেটে প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন ৩৪টি অ্যাসোসিয়েশন ও পাঁচটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ সভা ও কর্মশালা আয়োজন করে। সেখান থেকে তিন শতাধিক প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে মূসকের ৩১টি, আয়করের ৩৫টি এবং শুল্ক সংক্রান্ত ৬৭টিসহ প্রায় ১৪০টি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে এনবিআরে দেওয়া  হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে আরও বেশি উদ্যোক্তাকে ঋণের আওতায় আনা, এসএমই নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং এসএমই খাত ও উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাজেটে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। আগামী অর্থবছরের বাজেটে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ। ইআরএফের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ফেমিনিস্ট গ্রিন অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড’ পেল তিন প্রতিষ্ঠান
  • এসএমই ফাউন্ডেশন দিয়েছে ১৪০টি প্রস্তাব
  • বাজেট: এসএমই ফাউন্ডেশনের ১৪০ প্রস্তাবনা
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মাননা পেলেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নারী উদ্যোক্তা