‘ফেমিনিস্ট গ্রিন অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড’ পেল তিন প্রতিষ্ঠান
Published: 15th, May 2025 GMT
দেশে প্রথমবারের মতো ‘ফেমিনিস্ট গ্রিন অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ দেওয়া হয়েছে। নারীবাদী সবুজ জলবায়ু রূপান্তরে অবদান রাখা ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তা এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি ও উৎসাহিত করতে এ আয়োজন করে একশনএইড বাংলাদেশ।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। দুটি এসএমই প্রতিষ্ঠান এবং একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এসএমই বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিসের (সিডিপি) আওতাধীন তৃপ্তি বুটিক হাউস ও ইকোলেরি বাংলাদেশ। আর করপোরেট বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে আমান স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কূটনীতিবিদ, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা অংশ নেন।
এবার পুরস্কারের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরুর পর চলতি বছরের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২৭টি আবেদন জমা পড়ে। এরপর বিচারকদের যাচাই-বাছাইয়ের পর তিনটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
বিচারক প্যানেল ছিলেন উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, সাপোর্টের কান্ট্রি ম্যানেজার সুরাইয়া আক্তার, ই-কুরিয়ার লিমিটেডের সিইও বিপ্লব ঘোষ রাহুল ও একশনএইড ইন্টারন্যাশনালের আইএইচএআরটির গ্লোবাল রেজিলিয়েন্স অ্যাডভাইজার তানজির হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ফারাহ্ কবির বলেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রথম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে ন্যায্য ও নারীবাদী রূপান্তরে এসএমই ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই পুরস্কার একটি ন্যায্য, টেকসই অর্থনীতি ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক পদক্ষেপ হয়ে থাকবে।’
অনুষ্ঠানে নারীবাদী সবুজ রূপান্তরের গুরুত্ব এবং এ ক্ষেত্রে এসএমই উদ্যোক্তা ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা তুলে ধরেন বিচারকমণ্ডলীর সদস্য নাসরিন ফাতেমা আউয়াল।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে লোকসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে মনোজ্ঞ জাজ সংগীত পরিবেশন করা হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এএআইবিএসের এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার এবং একশনএইড অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড চেয়ার বেলিন্ডা মরিসে, বোর্ড ডিরেক্টর ক্রিস্টিনা স্টেফানোভা প্রমুখ।
এএআইবিএস চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এসএমই ফাউন্ডেশন দিয়েছে ১৪০টি প্রস্তাব
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে নীতি সহায়তা প্রয়োজন। এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ইতোমধ্যে ১৪০টি প্রস্তাব দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ সভা ও কর্মশালা থেকে পাওয়া বিভিন্ন সুপারিশ ও পরামর্শ পর্যালোচনা করে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘এসএমই-বান্ধব বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৫-২৬’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সহযোগিতায় এ সভার আয়োজন করা হয়।
মূল প্রবন্ধে এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এসএমই-বান্ধব বাজেটে প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন ৩৪টি অ্যাসোসিয়েশন ও পাঁচটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ সভা ও কর্মশালা আয়োজন করে। সেখান থেকে তিন শতাধিক প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে মূসকের ৩১টি, আয়করের ৩৫টি এবং শুল্ক সংক্রান্ত ৬৭টিসহ প্রায় ১৪০টি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে এনবিআরে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে আরও বেশি উদ্যোক্তাকে ঋণের আওতায় আনা, এসএমই নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং এসএমই খাত ও উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাজেটে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। আগামী অর্থবছরের বাজেটে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ। ইআরএফের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।