দেশে প্রথমবারের মতো ‘ফেমিনিস্ট গ্রিন অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ দেওয়া হয়েছে। নারীবাদী সবুজ জলবায়ু রূপান্তরে অবদান রাখা ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তা এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি ও উৎসাহিত করতে এ আয়োজন করে একশনএইড বাংলাদেশ।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। দুটি এসএমই প্রতিষ্ঠান এবং একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এসএমই বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিসের (সিডিপি) আওতাধীন তৃপ্তি বুটিক হাউস ও ইকোলেরি বাংলাদেশ। আর করপোরেট বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে আমান স্পিনিং মিলস লিমিটেড।

একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কূটনীতিবিদ, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা অংশ নেন।

এবার পুরস্কারের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরুর পর চলতি বছরের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২৭টি আবেদন জমা পড়ে। এরপর বিচারকদের যাচাই-বাছাইয়ের পর তিনটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

বিচারক প্যানেল ছিলেন উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, সাপোর্টের কান্ট্রি ম্যানেজার সুরাইয়া আক্তার, ই-কুরিয়ার লিমিটেডের সিইও বিপ্লব ঘোষ রাহুল ও একশনএইড ইন্টারন্যাশনালের আইএইচএআরটির গ্লোবাল রেজিলিয়েন্স অ্যাডভাইজার তানজির হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ফারাহ্ কবির বলেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রথম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে ন্যায্য ও নারীবাদী রূপান্তরে এসএমই ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই পুরস্কার একটি ন্যায্য, টেকসই অর্থনীতি ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক পদক্ষেপ হয়ে থাকবে।’

অনুষ্ঠানে নারীবাদী সবুজ রূপান্তরের গুরুত্ব এবং এ ক্ষেত্রে এসএমই উদ্যোক্তা ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা তুলে ধরেন বিচারকমণ্ডলীর সদস্য নাসরিন ফাতেমা আউয়াল।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে লোকসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে মনোজ্ঞ জাজ সংগীত পরিবেশন করা হয়।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এএআইবিএসের এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার এবং একশনএইড অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড চেয়ার বেলিন্ডা মরিসে, বোর্ড ডিরেক্টর ক্রিস্টিনা স্টেফানোভা প্রমুখ।

এএআইবিএস চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে পরামর্শ সভা

সাতক্ষীরায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়দের চাহিদা নিরুপনে নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৫ শীর্ষক উপজেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডো এর আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিষেক

নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপিসহ ২ দল

সিডো সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর শফিক-উ-দ্দৌলা সাগর, টিআইবি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি হেনরী সরদার, একশনএইড প্রতিনিধি সুইট খান, ইয়ূথ সভাপতি  সাকিব হাসান, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাতক্ষীরা জেলার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা অনেক শোচনীয়। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রাস্তা-ঘাটের সংস্কার খুব জরুরি। সুন্দরবন কেন্দ্রিক টেকসই ইকোটুরিজম প্রতিষ্ঠা, সুন্দরবনের পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ ও পর্যটন বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ইকোটুরিজম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা জেলার শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা সুবিধা দেবে।

তারা বলেন, রেল সংযোজন সাতক্ষীরা জেলা দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার। সাতক্ষীরাকে দেশের রেল নেটওয়ার্কে অন্তভুক্ত করতে হবে, যা জেলা ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকায় দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া সাতক্ষীরায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, সীমান্তে মাদক প্রতিরোধে প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারী ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি, স্থলবন্দরকে পূর্নাঙ্গ বন্দরে রুপান্তর, সাতক্ষীরার ভোমরাকে একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কার্যকর পৌরসভার ব্যবস্থাপনা, সুন্দরবন বাঁচাতে জীবশ্ম জ্বালানীকে পরিবর্তে নবায়ন যোগ্য জ্বালানী সংযোজন, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষি ব্যবস্থাপনা, সবুজ উদ্যোক্তা তৈরির জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণাগার তৈরি, প্রাণ সায়ের খালের দুই ধার সৌন্দর্যবর্ধন, যুবদের মুক্ত চিন্তা, উন্নয়ন ভাবনা ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য শিক্ষালয় কেন্দ্রিক যুববান্ধব স্পেস তৈরি ও কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন বক্তারা।

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরায় নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে পরামর্শ সভা