অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েকদিন বাদে ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। পাকিস্তান অবশ্য আগেই ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছিল। আর এবার আরেকটি ফাইটার জেট ভূপাতিত করা কথা জানানোর পর ভূপাতিত ভারতীয় যুদ্ধবিমানের সংখ্যা দাঁড়াল ৬টিতে।

বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিশ্চিত করেছেন যে- পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) কাশ্মীরের পামপুর এলাকায় গত ৬-৭ মে রাতে ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান—মিরাজ ২০০০ ভূপাতিত করেছে। এ নিয়ে মোট ছয়টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবি করল পাকিস্তান।

বৃহস্পতিবার কামরায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি অপারেশনাল ঘাঁটি পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, এই ঘটনা আমাদের বিমান বাহিনীর অসাধারণ দক্ষতা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ এদিন পাইলট, প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদসহ সামনের সারির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের পেশাদারিত্ব ও নিখুঁত দক্ষতার গভীর প্রশংসা করেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সংযম দেখিয়েছে, কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের নিখুঁত ও দ্রুত জবাব শত্রুর সামরিক অবকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে— দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছপা হবে না।

তিনি আরও বলেন, “সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখা যেভাবে সচেতনতা ও সাহসিকতা দেখিয়েছে, তাতে পুরো জাতি গর্বিত। সেনাপ্রধানের যোগ্য নেতৃত্বে তারা আবারও প্রমাণ করেছে যে— পাকিস্তানের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য।”

এর আগে সংঘাতের সময় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানেরে সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় ভূপাতিত হওয়া ভারতীয় বিমানগুলোর মধ্যে তিনটি রাফাল ফাইটার জেট, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান। আর এবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেটও ধ্বংসের কথা জানাল পাকিস্তান।

ভারত অবশ্য পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় যুদ্ধবিমান হারানো নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। দেশটি যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়ে কিছু উল্লেখ না করে বলেছে, ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের অংশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ম ন ভ প ত ত কর র শ হব জ

এছাড়াও পড়ুন:

‘আ-আম জনতা পার্টি’ কেন ‘আম জনগণ পার্টি’ হলো, জানালেন রফিকুল আমীন

‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’র নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি’ রাখার কারণ জানালেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। তিনি আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বলেন, নাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং এক তরুণ নেতার অনুরোধ রাখতেই দলের নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রফিকুল আমীন বলেন, ‘আমজনতা পার্টি নামটা আমি ২০২২ সাল থেকেই পোষণ করে আসছি, তখন আমি জেলে ছিলাম। এটি ছিল আমার স্বপ্নের নাম। পরবর্তীকালে আমি যখন বেরিয়ে দেখলাম যে আরেক গ্রুপ যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলন করেছে, তাদের একটা গ্রুপ ‘আম জনতার দল’ নামে দল করেছে। আমি মনে করেছিলাম পার্টি ও দলের মধ্যে পার্থক্য আছে, যেমন ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রসমাজ—সবখানেই ‘ছাত্র’ আছে, পার্থক্য ‘‘পার্টি’’ ‘‘দলে।”তো এইখানে তার হচ্ছে আম জনতা দল, আমার হচ্ছে আমজনতার পার্টি। এটা আর সমস্যা হবে না।’

কিন্তু ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’ নাম ঘোষণার পর ওই ‘আমজনতার দলের’ নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে দলের নাম পরিবর্তনের অনুরোধ করেন উল্লেখ করে রফিকুল আমীন বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেন, আপনি আমার বড় ভাইয়ের মতো, আমি আপনার বিরুদ্ধে যেতে চাই না; কিন্তু যদি নাম না বদলান, তাহলে চুপ থাকব না।’ এরপর আমজনতার দলের ওই নেতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে নিজের দলের নামের আংশিক পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন বিতর্কিত এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না রাজনীতির শুরুতেই বিভ্রান্তি বা বিরোধ তৈরি হোক। রাজনীতি হওয়া উচিত মানুষের কল্যাণে, প্রতিহিংসা নয়।’

ডেসটিনির গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আমীন বলেন, ‘ডেসটিনি ২০০০ আমার মেয়ের মতো। আমাকে দায়িত্বে ফিরিয়ে দিলে গ্রাহকদের সব টাকা ফেরত দেব। কোম্পানির কাছে সেই পরিমাণ অর্থ রয়েছে।’

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান রফিকুল আমীন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় করা একটি মামলায় রায়ের পর সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় মুক্তি পান তিনি। এরপর গত ১৭ এপ্রিল তাঁর নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আ-আম জনতা পার্টি’ কেন ‘আম জনগণ পার্টি’ হলো, জানালেন রফিকুল আমীন