তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় মেরিন ও শীপ বিল্ডিং ডিপ্লোমা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ডাকে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় সকাল বন্দর মেরিন ইনস্টিটিউট এর ক্যাম্পাসে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন তারা। 

এসময়ে বক্তব্যে বক্তারা বলেন - আমরা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজী নারায়নগঞ্জ এর মেরিন ও শীপ বিল্ডিং ডিপ্লোমা বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ। আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিসমূহ-বিশেষ করে সিডিসি (Continuous Discharge Certificate) প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।

তারা আরও বলেন - আমরা আগামী ১৮ মে রবিবার সম্পূর্ণ ক্লাস বর্জন কর্মসূচী পালন করবো। ১৮ মে  রবিবারের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা আগামী ১৯ মে রোজ সোমবার থেকে পূর্ণ শাট-ডাউন কর্মসূচী পালন করবো। 

এই কর্মসূচিতে আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো ছাত্রসমাজের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, কোনোরূপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা নয়। আমরা সবসময় ইনস্টিটিউটের নিয়মশৃঙ্খলা বজায় রাখার অঙ্গীকার করছি।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিদিন বাড়ছে যমুনার পানি

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্রতিদিনই যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। দুই সপ্তাহ ধরে ধীরগতিতে বাড়লেও গত ৪৮ ঘণ্টায় দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে যমুনার পানি বিপৎসীমার কাছে চলে এসেছে। 

যমুনায় পানি বাড়ার কারণে সিরাজগঞ্জের ফুলজোড়, করতোয়া, হুড়া সাগরসহ অন্যান্য নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। চরাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তবে, এবার সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ (হার্ড পয়েন্টে) যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪৭ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.৯০ মিটার)। এ পয়েন্টে শুক্রবার ২২ ও বৃহস্পতিবার ২৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ছে।

অপরদিকে, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ০৪ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)। এ পয়েন্টে আগের দুই দিন পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ২৪ ও ২২ সেন্টিমিটার।

সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাটাঙ্গা গ্রামের কৃষক সামছুল শেখ বলেছেন, কয়েকদিন ধরে পানি বাড়তে থাকায় চরাঞ্চলের আবাদি জমি তলিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। নিচু এলাকার জনবসতি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। রোপা আমন ধান, সবজি, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেছেন, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনায় প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ফলে, চরাঞ্চলের নিচু জমিগুলো তলিয়ে গেছে। কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে, পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি গেলেও অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই।

ঢাকা/অদিত্য/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ