পূর্ণ চন্দ্রের দিনে ডাহুক লুকায়ে রাখি
Published: 20th, May 2025 GMT
রাতের গল্প বলি
রাত্রি এই বাঁশির সুরের রাত্রি
গলার মালার পুঁতি নুয়ে
কোন স্তন নেমে ছড়ায়ে থাকল
ধুলো
যেন প্রবেশ করবে
রুহের ঢল হয়ে স্পষ্ট কোনো কিনারায়
এই রাত্রি যিনি যামিনী
তিনি নিশি
গলে অন্ধকারে
যেন উপস্থিতি নাই কোনো অন্ধকার নাই
এল, অপরিকল্পিত রাত্রি
এল প্রতিদিন
আমি এলেম তবে ঘনিষ্ঠ পায়ে
ক্ষীরে লয়ে
তারা ঝিকিমিকি কথা
বাঁশির শরীরের ভেতর নাই রাখি নাই আলো
দিবসের স্মৃতি সেও জটিল অত্যন্ত
এই তিথিতে রাত্রি এই ধীর ক্ষয় একহারা
রাত্রি
পূর্ণ চন্দ্রের দিনে ডাহুক লুকায়ে রাখি
সাভেরাভোর থেকে জাগি
সকাল যেন ধীরে বহে
পানির উপর থেকে মিলায়মান ধোঁয়া আর
বনের পশুর রাত্রি দিন
মাছের খেলায় যেন প্রফুল্ল শব্দ কোনো
ওই উঁকি দেয় ছোট্টো কচ্ছপ
এত সকালের কাঁচকির ঢেউ
মাছরাঙা উড়ে এসে চকিতে
সাজনার ডাল থেকে
রং পড়ে
পেয়ারার গাছ হতে
হলো সুমিষ্ট রাত পাড়ি
কড়ই পাতার চিত্রালি শব্দে ডেকে
ঘুম ক্ষয়ে আসছে সচল শ্রান্তি
বসব কিছুদিন
ঘাসের ভিতর এই লুকোনো হাওয়া
যাক বয়ে যাক
পাতায় ঢেকে দিয়ে গাছের গাব
ডুমুরের পাতায় সূর্যরশ্মি
হাসতে লাগি প্রাতঃচনমন এই ভারী কম্পাস
লোহা যেন পদতলে
সকালবেলা আর
লোহার মতো সুরেলা বাজতে বাজতে
নমি ঠান্ডা গা
খুব ধীরে যে বহে গেল
তা নহে বোধকরি
এই সকালবেলা, ‘ও ঘুঘু পাখি’
ধীরতম কম্পন কোনো কম্পাসের ভিতর
লয়ে লোহার সিন্দুকের ভিতর যেন বসছো লালাবাই
ওড টু দ্য নর্থ উইন্ডএখন দিবসের বাতাস অপরূপ
কী যে বলতে হয়!
সন্ধ্যার পরে
নয়টার কাছাকাছি—
ওকে লাগছে যেন অপরিচিত কোনো জায়গা
পরিচয়হীনতা বড় মিঠে খিলখিল
দিবসে যে ডুবে থাকে বৃহৎ নীলে
রাতে, যায় পৌঁছে যায় পরিচিতির বাইরে
মেহগনির পাতায় কেঁপে
প্রিয় চেনা শরীরেরা—
যেন চিনি না শতদল
মাটিতে গবাক্ষেরা—
নেচে নেচে অদৃশ্য করছে ছায়া
যেন জলসম্বন্ধীয়,
পড়ছে মৃদুভাষী—অনর্গল,
বাদুড় ঘুরে এসে পরিচিতের সঙ্গে হয় পরিচিত
সূক্ষ্ম কোনো বসে থাকার ভেতর
আলো স্থির
সূক্ষ্ম হাঁটার ভেতরে
শব্দেরা স্থির
বাতাস, এই আঁকাবাঁকা বাতাস, যুক্ত করো তাদের
মুহূর্ত যতই সরতে থাকুক
ইঁদুরটার সাঁতার যে ওই অল্পটুকুই দেখতে পারা গেল, বেশ।
পেটে মাটি নিয়ে স্রোতস্বিনী হে,
রচনা করো সকলের সুগভীর সাধ
চৈত্রের টেলিরেকর্ডারদুপুর গড়িয়ে এলে
এই জলরাশি ঈষৎ থম ধরে থাকে
হাসিখুশিমাখা সকালগুলি থেকে কতকটা ভিন্ন
অপরিচিতই বলা যাবে
মেহগনির নূতন পাতা বলে ওঠে অচেনা কথা
সব শিশু নবতর শিশু ওহো
বাদাম পাতার সবুজ থেকে এই রং
চপলা কাকের দেহে
কত পাখি, আহা পাখির দিন!
কু-র-রর-বক্
চিক-চিক্-টি-ডি
টিড-টিড
গোঁয়াও-গোঁয়াও-গোঁয়াও
সাদা ফুলের ধোঁয়া রে
লাজুক টেলিরেকর্ডার মুখ খুলে আছে
প্রজাপতির দেশে দাও খাদ্য দাও
সূর্য নরম হয়ে দ্যাখো পানিকে নিয়ে যাচ্ছে অনন্তের দিকে
নাও খাও পানি
পানিকে সরতে দিলে সেও অনন্তের লোভে প্রাণীকূলকে বেঁধে ফেলবে
তারচেয়ে খেয়ে নিজেকে নিয়ে খেলা ফলপ্রসূ
ছোট বাতাসগুলি আছে আর একমাত্র সচেতন
অবচেতনা বলে কোনো কিছু ওদের নেই
মুহূর্তে মুহূর্তে ওরাই নাড়ে জগৎসম্ভার—
পৃথিবীর অশরীরী চাদর;
শরীর নিঃসন্দেহে চেতনাবৎ ওগো শরীর
হালকা তুলার চেয়েও মিহি পুঞ্জ
ওর সূক্ষ্ম জলকণা বাতাস ধরে
এই এখানেই ওর জলদগম্ভীর স্নায়ু—
প্রকট অবচেতনা-আর;
ছড়াতেছে অনির্ণেয় শান্তি!
—চারিদিকে মৌল সম্ভার,
যথা, মাটিতে মাটি
ফুল কোনো বৃন্তপথে;
নিদ্রিত আছে এই দুর্ধর্ষ অভিযানে
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর চ ত
এছাড়াও পড়ুন:
আইফোন থেকে স্যাটেলাইটে জরুরি বিপদবার্তা পাঠিয়ে জীবন বাঁচালেন এক পর্বতারোহী
বিপদে পড়লে প্রযুক্তি যে জীবন রক্ষা করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা তার উদাহরণ। সম্প্রতি দুর্গম এক পর্বত থেকে নামার সময় ১০ হাজার ফুট উঁচুতে আহত হন এক পর্বতারোহী। সে সময় ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এরপর আইফোনের স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধা কাজে লাগিয়ে জরুরি বিপদবার্তা পাঠান তিনি। আইফোন থেকে পাঠানো জরুরি বিপদবার্তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর অবস্থানের তথ্য যুক্ত থাকায় উদ্ধারকারীরা সহজে তাঁকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। ফলে প্রাণে বেঁচে যান সেই পর্বতারোহী।
৫৩ বছর বয়সী ওই পর্বতারোহী স্নোমাস পর্বতশৃঙ্গে অভিযান চালাচ্ছিলেন। সফলভাবে শৃঙ্গে পৌঁছানোর পর তিনি নিচে নামার জন্য ‘গ্লাইডিং’ নামের একধরনের কৌশল অবলম্বন করেন। এ পদ্ধতিতে সাধারণত পর্বতারোহীরা নিয়ন্ত্রিতভাবে ও দ্রুত নিচে নামেন। কিন্তু নামার সময় একটি দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। গুরুতর আঘাতের কারণে তিনি আর চলাফেরা করতে পারছিলেন না। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন দেখা যায়, ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। এমন এক পরিস্থিতিতে আইফোনের স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধার মাধ্যমে তিনি স্যাটেলাইট সংযোগ ব্যবহার করে পরিবারের একজন সদস্যকে বার্তা পাঠান। বার্তা পাওয়ার পরপরই দ্রুত উদ্ধারকারী দল সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী শহরে নিয়ে আসে।
অ্যাপল ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৪ সিরিজের মাধ্যমে স্যাটেলাইট এসওএস সুবিধা চালু করে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চল বা নেটওয়ার্কবিহীন স্থান থেকেও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরুরি বার্তা পাঠানো সম্ভব। গ্লোবাল স্টার নামের একটি স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান এই সেবা পরিচালনা করে থাকে।
সূত্র: নিউজ১৮