রাতের গল্প বলি

রাত্রি এই বাঁশির সুরের রাত্রি

গলার মালার পুঁতি নুয়ে

কোন স্তন নেমে ছড়ায়ে থাকল

ধুলো

যেন প্রবেশ করবে

রুহের ঢল হয়ে স্পষ্ট কোনো কিনারায়

এই রাত্রি যিনি যামিনী

তিনি নিশি

গলে অন্ধকারে

যেন উপস্থিতি নাই কোনো অন্ধকার নাই

এল, অপরিকল্পিত রাত্রি

এল প্রতিদিন

আমি এলেম তবে ঘনিষ্ঠ পায়ে

ক্ষীরে লয়ে

তারা ঝিকিমিকি কথা

বাঁশির শরীরের ভেতর নাই রাখি নাই আলো

দিবসের স্মৃতি সেও জটিল অত্যন্ত

এই তিথিতে রাত্রি এই ধীর ক্ষয় একহারা

রাত্রি

পূর্ণ চন্দ্রের দিনে ডাহুক লুকায়ে রাখি

সাভেরা

ভোর থেকে জাগি

সকাল যেন ধীরে বহে

পানির উপর থেকে মিলায়মান ধোঁয়া আর

বনের পশুর রাত্রি দিন

মাছের খেলায় যেন প্রফুল্ল শব্দ কোনো

ওই উঁকি দেয় ছোট্টো কচ্ছপ

এত সকালের কাঁচকির ঢেউ

মাছরাঙা উড়ে এসে চকিতে

সাজনার ডাল থেকে

রং পড়ে

পেয়ারার গাছ হতে

হলো সুমিষ্ট রাত পাড়ি

কড়ই পাতার চিত্রালি শব্দে ডেকে

ঘুম ক্ষয়ে আসছে সচল শ্রান্তি

বসব কিছুদিন

ঘাসের ভিতর এই লুকোনো হাওয়া

যাক বয়ে যাক

পাতায় ঢেকে দিয়ে গাছের গাব

ডুমুরের পাতায় সূর্যরশ্মি

হাসতে লাগি প্রাতঃচনমন এই ভারী কম্পাস

লোহা যেন পদতলে

সকালবেলা আর

লোহার মতো সুরেলা বাজতে বাজতে

নমি ঠান্ডা গা

খুব ধীরে যে বহে গেল

তা নহে বোধকরি

এই সকালবেলা, ‘ও ঘুঘু পাখি’

ধীরতম কম্পন কোনো কম্পাসের ভিতর

লয়ে লোহার সিন্দুকের ভিতর যেন বসছো লালাবাই

ওড টু দ্য নর্থ উইন্ড

এখন দিবসের বাতাস অপরূপ

কী যে বলতে হয়!

সন্ধ্যার পরে

নয়টার কাছাকাছি—

ওকে লাগছে যেন অপরিচিত কোনো জায়গা

পরিচয়হীনতা বড় মিঠে খিলখিল

দিবসে যে ডুবে থাকে বৃহৎ নীলে

রাতে, যায় পৌঁছে যায় পরিচিতির বাইরে

মেহগনির পাতায় কেঁপে

প্রিয় চেনা শরীরেরা—

যেন চিনি না শতদল

মাটিতে গবাক্ষেরা—

নেচে নেচে অদৃশ্য করছে ছায়া

‍যেন জলসম্বন্ধীয়,

পড়ছে মৃদুভাষী—অনর্গল,

বাদুড় ঘুরে এসে পরিচিতের সঙ্গে হয় পরিচিত

সূক্ষ্ম কোনো বসে থাকার ভেতর

আলো স্থির

সূক্ষ্ম হাঁটার ভেতরে

শব্দেরা স্থির

বাতাস, এই আঁকাবাঁকা বাতাস, যুক্ত করো তাদের

মুহূর্ত যতই সরতে থাকুক

ইঁদুরটার সাঁতার যে ওই অল্পটুকুই দেখতে পারা গেল, বেশ।

পেটে মাটি নিয়ে স্রোতস্বিনী হে,

রচনা করো সকলের সুগভীর সাধ

চৈত্রের টেলিরেকর্ডার

দুপুর গড়িয়ে এলে

এই জলরাশি ঈষৎ থম ধরে থাকে

হাসিখুশিমাখা সকালগুলি থেকে কতকটা ভিন্ন

অপরিচিতই বলা যাবে

মেহগনির নূতন পাতা বলে ওঠে অচেনা কথা

সব শিশু নবতর শিশু ওহো

বাদাম পাতার সবুজ থেকে এই রং

চপলা কাকের দেহে

কত পাখি, আহা পাখির দিন!

কু-র-রর-বক্

চিক-চিক্-টি-ডি

টিড-টিড

গোঁয়াও-গোঁয়াও-গোঁয়াও

সাদা ফুলের ধোঁয়া রে

লাজুক টেলিরেকর্ডার মুখ খুলে আছে

প্রজাপতির দেশে দাও খাদ্য দাও

সূর্য নরম হয়ে দ্যাখো পানিকে নিয়ে যাচ্ছে অনন্তের দিকে

নাও খাও পানি

পানিকে সরতে দিলে সেও অনন্তের লোভে প্রাণীকূলকে বেঁধে ফেলবে

তারচেয়ে খেয়ে নিজেকে নিয়ে খেলা ফলপ্রসূ

ছোট বাতাসগুলি আছে আর একমাত্র সচেতন

অবচেতনা বলে কোনো কিছু ওদের নেই

মুহূর্তে মুহূর্তে ওরাই নাড়ে জগৎসম্ভার—

পৃথিবীর অশরীরী চাদর;

শরীর নিঃসন্দেহে চেতনাবৎ ওগো শরীর

হালকা তুলার চেয়েও মিহি পুঞ্জ

ওর সূক্ষ্ম জলকণা বাতাস ধরে

এই এখানেই ওর জলদগম্ভীর স্নায়ু—

প্রকট অবচেতনা-আর;

ছড়াতেছে অনির্ণেয় শান্তি!

—চারিদিকে মৌল সম্ভার,

যথা, মাটিতে মাটি

ফুল কোনো বৃন্তপথে;

নিদ্রিত আছে এই দুর্ধর্ষ অভিযানে

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর চ ত

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেকে নিহত খুবি শিক্ষার্থী রিংকীর মরদেহ নেওয়া হবে গাইবান্ধা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সেশনাল ট্যুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকীর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তার বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে এদিন সকল ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সেশনাল ট্যুরের সময় রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকী নিহত হন। দুর্ঘটনায় নিহত রুবিনা আফসানা রিংকির মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনায় আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হচ্ছে ।”

তিনি বলেন, “এই শোকাবহ ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে মর্মাহত। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে, সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত আছেন। তিনি নিজে এবং সহকারী পরিচালকসহ কর্মকর্তারা খাগড়াছড়ি রওনা হয়েছেন।”

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে নিহত শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। 

এদিকে, সাজেকে শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের সেশনাল ট্যুর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার কাকলি রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ ৪র্থ বর্ষ টার্ম-২ এর সেশনাল ট্যুরে অংশগ্রহণরত অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। শিক্ষার্থীর এই অকাল মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে শোকাহত এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল দূরপাল্লার সেশনাল ট্যুর স্থগিত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের হাউসপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত রুবিনা আফসানা রিংকী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতরা সবাই একই বিভাগের শিক্ষার্থী।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ