পাশের জঙ্গলে হয়তো পাখি ডাকছে, অদূরে ক্ষীণ ধারায় বয়ে চলছে পাহাড়ি ঝরনা। শত শত বছর ধরে এভাবেই চলছিল চীনের ইউনান প্রদেশের একটি পাহাড়ি গ্রামের জীবনধারা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে প্রকৃতির এই ছন্দের পতন ঘটিয়েছে লোহালক্কড়ের শব্দ। এখন গ্রামটির নতুন পরিচয় সারা চীনে ছড়িয়ে পড়েছে।

গ্রামটিতে সাত বছর ধরে এক ব্যক্তি পুরোনো লোহা, মোটরসাইকেলের ফেলে দেওয়া ইঞ্জিন আর নির্মাণাধীন ভবনের ভাঙা কাঠামো জুড়ে দিয়ে তৈরি করে চলেছেন বিস্ময়কর সব গাড়ি। এসব গাড়ির কোনো কোনোটি পাহাড়ের উঁচু-নিচু রাস্তায় চলার উপযোগী। কোনোটি উভচর—জলে-স্থলে সমানভাবে চলতে পারে। কোনো কোনোটি দিয়ে অফিসে যেমন যাওয়া যায়, তেমনি আবার মাছও ধরা যায়।

এসব কর্মযজ্ঞের কান্ডারি ৪২ বছর বয়সী চীনের এক ব্যক্তি। তাঁর নাম গু ইউপেং, যিনি অনলাইনে ‘স্ট্রং পিগ’ নামে পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গাড়ির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনেকে তাঁকে ‘পাহাড়ি উদ্ভাবক’ বলে ডাকছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘চীনে প্রতিভার অভাব নেই। দরকার শুধু খুঁজে বের করা।’

নতুন একটি গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন গু ইউপেং.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ

ফেনীর দাগনভূঞায় তেলবাহী ট্যাংকার লরির সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থান এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বসুরহাট রোডের নতুন পোলের পাশে ভূঁইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবকের নাম সুজন চন্দ্র ভৌমিক (৪০)। তিনি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের প্রফুল্ল কুমার ভৌমিকের ছেলে। সুজন ভূঁইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী, ফিলিং স্টেশন ও পুলিশ সূত্র জানায়, সুজন রাতে কাজ শেষে দিনে একটি দোকান পরিচালনা করতেন। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন পাম্প ভবনের উত্তর পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা তেলের গাড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে সুজনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।

ফিলিং স্টেশনের মালিক আবুল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ‘সুজনের কাছে আমি প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি টাকা পেতাম। তিনি টাকা না দেওয়ায় ফিলিং স্টেশনের কাজে আসতে নিষেধ করেছিলাম। এরপরের বিষয়গুলো আমার জানা নেই।’

নিহত সুজনের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁর বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং মা ভারতে থাকেন। সুজন নোয়াখালীর বাড়িতে একাই থাকতেন।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ জানান, ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে—এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ