ভারতে অ্যাপলের পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি ফক্সকন থেকে কয়েক শ কর্মীকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে চীনের সি চিন পিং সরকার। ফলে ভারতে অ্যাপলের পণ্য উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা।

এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, ফক্সকনের তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের কারখানায় কর্মরত বেশির ভাগ কর্মীকে দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দিয়েছে চীন সরকার। এ খবর দুই মাস আগের। এখন পর্যন্ত ৩০০ কর্মী চীনে ফিরে গেছেন। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কর্মী ছিলেন। তাই এই পদক্ষেপের জেরে আইফোনের উৎপাদন ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

ভারতে তৈরি আইফোনের বড় অংশ দক্ষিণ ভারতের ফক্সকন কারখানায় সংযোজন করা হয়। টাটা গ্রুপের ইলেকট্রনিকস উৎপাদন শাখাও বড় সরবরাহকারী। টাটা গোষ্ঠী উইস্ট্রন করপোরেশন কিনে নিয়েছে। সেই সঙ্গে পেগাট্রন করপোরেশনের কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে।

এ বিষয়ে ফক্সকন বা অ্যাপলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের শুরুতে চীন সরকার মৌখিকভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্থানীয় সরকারগুলোকে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রযুক্তি স্থানান্তর ও যন্ত্রপাতি রপ্তানি সীমিত করার পরামর্শ দেয়। সম্ভবত অ্যাপলের উৎপাদন অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া ঠেকাতেই এই উদ্যোগ।

অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক এর আগে চীনা শ্রমিকদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন, চীনে অ্যাপলের উৎপাদন ঘাঁটি গড়ে তোলার এটাই মূল কারণ।

সংবাদে বলা হয়েছে, চীন থেকে কর্মী সরিয়ে নেওয়ার ফলে ভারতে স্থানীয় শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও চীন থেকে প্রযুক্তি স্থানান্তরের গতি কমে যেতে পারে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা এনডিটিভিকে বলেন, এ ঘটনায় ভারতে উৎপাদনের মানে তেমন প্রভাব পড়বে না, যদিও অ্যাসেম্বলি বা সংযোজন লাইনের কার্যকারিতায় কিছুটা ধীরগতি দেখা যেতে পারে।’

অ্যাপল আগামী বছরের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য নির্ধারিত সব আইফোনের সংযোজন ভারতে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে। ঠিক সে সময় এই ঘটনার সূত্রপাত। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের স্মার্টফোন উৎপাদন কেন্দ্র নেই। বেশির ভাগ আইফোন তৈরি হয় চীনে। ভারতে তৈরি হয় বছরে প্রায় ৪ কোটি ইউনিট—অ্যাপলের বার্ষিক মোট উৎপাদনের প্রায় ১৫ শতাংশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য পল র প সরক র আইফ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য

থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা সহায়তা হিসেবে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

ইবিতে কুরআন ও হিজাববিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের

অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একাডেমিক ও গবেষণামুখী শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা ও দোয়ার নিদর্শনস্বরূপ কিছু করতে পারায় আমরা আনন্দিত। আমরা থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি খুব শিগগিরই পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালু করব।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়ন ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে প্রশাসন অব্যাহতভাবে কাজ করছে। গবেষণার সুযোগ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে।”

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “গবেষণার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের থিসিসে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের অনুদান প্রদান একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। অনুদানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে।”

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় প্রতিটি থিসিস শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ১২৪ টাকা করে অনুদান পাবেন। এ অর্থ শুধু গবেষণাসংক্রান্ত কাজে ব্যয়যোগ্য এবং ‘থিসিস শিক্ষার্থীদের বৃত্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রতিটি অনুষদ থেকে দুজন করে শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর থেকে পরিচয়পত্র বা প্রবেশপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ করতে পারবেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ