আমাদের চারপাশে তাকালেই দেখা যায়, বহু শিশু বয়সের তুলনায় ভারী বোঝা বইছে। কেউ চায়ের দোকানে কাজ করছে, কেউ রিকশার গ্যারেজে কেউবা নির্মাণস্থলে শ্রমিক হিসেবে দিন কাটাচ্ছে। এই কোমলমতি শিশুদের জন্য যেখানে থাকা উচিত ছিল বইয়ের জগৎ, খেলার মাঠ আর নির্মল শৈশব, সেখানে তারা দিন পার করছে অভাবের তাড়নায় এবং বড়দের অবহেলায়।
শিশুশ্রম শুধু একটি সামাজিক ব্যাধি নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার মতো। আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ এবং আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী এটি নিষিদ্ধ হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
এই বৈষম্য দূর করতে হলে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে। দরিদ্র পরিবারগুলোকে সহায়তা, প্রাথমিক শিক্ষায় সব শিশুর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং কঠোর নজরদারি ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমেই শিশুশ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি সম্ভব। আমরা যেন ভুলে না যাই, প্রতিটি শিশু এক একটি সম্ভাবনার নাম। তাদের হাতে কাজের ভার নয়, তুলে দিতে হবে স্বপ্ন গড়ার সরঞ্জাম।
সানজিদা আক্তার
শিক্ষার্থী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্মরণকালের ভালো নির্বাচন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার স্মরণকালের ভালো নির্বাচন করতে চায় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন মানে যে ভোটার ভোট দিতে যাবেন, সে ভোট দিতে পারবেন।
শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা এ সময় আরও বলেন, প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টার থাকতে পারবেন। সবার সামনে উন্মুক্তভাবে ভোট গণনা করা হবে। যে নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাকেই আমরা স্বাগত জানাব।
তিনি বলেন, আপনারা এমন লোককে নির্বাচিত করবেন যিনি উন্নয়ন প্রকল্পটা সঠিকভাবে ব্যয় করবেন, সঠিক প্রকল্পে ব্যয় করবেন। তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে তাকে পালিয়ে যেতে হয়। তিনি যেন থাকেন। পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারবেন। আশা করি আমরা একটা সফল নির্বাচন করতে সক্ষম হবো। আমাদের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটেছে, সেই বাধা কাটিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে পারবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক, জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমসহ অনেকেই। পরে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মাদারগঞ্জ সোলার প্ল্যান পরিদর্শনে যান।