আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে দেখতে চান আফিদা
Published: 4th, July 2025 GMT
গত ম্যাচেই মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শনিবার (৫ জুলাই) মুখোমুখি হবে তুর্কমেনিস্তানের। জয়-পরাজয়ের হিসাবের চেয়ে ম্যাচটি তাই হয়ে উঠেছে শুধুই নিয়মরক্ষার। তবে বাংলাদেশের ক্যাম্পে কোনোভাবেই গুরুত্ব হারায়নি এই ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে দলের সবাই ফুরফুরে মেজাজে আছে। অধিনায়ক আফিদা খন্দকার তো স্বপ্ন দেখছেন বিশ্বকাপে খেলার।
বাফুফের পাঠানো ভিডিওবার্তায় আফিদা বলেছেন, ‘আনন্দ তো বলে বোঝানোর মতো না, এতোটা আনন্দ। বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীদের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এশিয়া কাপে কোয়ালিফাই করেছে। এটা খুবই আনন্দের। আমরা গর্ব করছি যে দেশের মানুষ আমাদের এতো সমর্থন করেছে এটার জন্য। এজন্য খুবই ভালো লাগছে। দলের পরিস্থিতি খুব ভালো। সবাই ফুরফুরে মেজাজে আমরা আজ ট্রেনিং করেছি।’
তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য নিয়মরক্ষার। আফিদার স্বপ্ন আরও বড় কিছুর, ‘আগামীকাল আমাদের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচে সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সবাই যেভাবে আমাদের সমর্থন করছেন, সেভাবেই সমর্থন জারি রাখবেন। যেন আমরা সামনে আরও এগিয়ে যেতে পারি। দলকে আমি দেখতে চাই বিশ্বকাপের মঞ্চে। সামনে যেহেতু এই সুযোগটা আসছে, আমরা অবশ্যই এই সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন