যেভাবে সৌদির বাংলাবাজার জয় করল হাফিজুরের মুড়ি
Published: 4th, July 2025 GMT
সতেরো বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান নোয়াখালীর হাফিজুর রহমান। আর দশজন অভিবাসীর মতোই সীমিত আয় দিয়ে প্রবাসজীবন শুরু করেন তিনি। ভাগ্য বদলের যাত্রা নতুন দিকে মোড় নেয় দ্রুতই। বছর দুয়েকের মাঝে ভাতিজা মাহমুদের সহায়তায় হাফিজুর গড়ে তোলেন ছোট্ট একটি মুদি দোকান। দীর্ঘ ১৫ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর সেই দোকান আজ রূপ নিয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারশপে। উপমহাদেশীয় পণ্যের বড় সংগ্রহ থাকায় রিয়াদের বাংলাবাজারে অবস্থিত সুপারশপটি এরই মধ্যে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি অভিবাসীদের একটি পছন্দের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
ব্যবসা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাফিজুর লক্ষ্য করেন সৌদিতে বাংলাদেশি অনেক পণ্যের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ একেবারেই অপ্রতুল। তাই পর্যাপ্ত উপমহাদেশীয় ক্রেতা থাকা সত্ত্বেও তাঁর দোকানের তাক ভর্তি থাকত সৌদি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি পণ্যে।
বড় বাংলাদেশি ব্র্যান্ডগুলোর সৌদির বাজারে প্রবেশের আগে এটিই ছিল রিয়াদের এফএমসিজি বা ভোগ্যপণ্যের বাজারের চিত্র। সময়ের সঙ্গে শুধু বাংলাদেশের বড় কোম্পানিগুলোই এই বাজারে জায়গা করে নিতে পেরেছে। মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য চাহিদা সত্ত্বেও অনেকটাই অনুপস্থিত। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে হাফিজুর দেখতে পান রপ্তানিতে সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও জটিল রপ্তানি অবকাঠামোই এর পেছনে দায়ী।
এসব সমস্যা হাফিজুর আরও প্রকটভাবে অনুভব করেন যখন তিনি নিজেই বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে মুড়ি রপ্তানি করতে যান। রপ্তানি প্রক্রিয়ায় পদে পদে হোঁচট খেতে হয় তাঁকে। এলসি খোলা, বন্দরের কার্যক্রম, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সবকিছুই তাঁর কাছে এক দুর্বোধ্য জটিল প্রক্রিয়া বলে মনে হয়। হতাশ হয়ে পড়েন হাফিজুর। গল্পের মোড় ঘুরে যায় যখন হাফিজুর পরিচিত হন বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) সাপ্লাই চেইন প্ল্যাটফর্ম শপআপের সঙ্গে। মূলত বাংলাদেশের ভেতরে খাদ্যপণ্য, মুদি সামগ্রী ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে থাকলেও নিজেদের সরবরাহ সক্ষমতা সম্প্রতি দেশের সীমানার বাইরেও বিস্তৃত করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি। সৌদি আরবভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউশন ফার্ম ‘সারি’ শপআপের সঙ্গে একীভূত হয়ে গঠন করেছে সিল্ক, যার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন আন্তর্জাতিক ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল। শপআপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ চ্যানেল ব্যবহার করে অনেক বাংলাদেশি পণ্যই এখন পৌঁছে যাচ্ছে সরাসরি সৌদির বিভিন্ন দোকানে।
এ সুযোগ লুফে নেন হাফিজুর। শপআপের নতুন চ্যানেল ব্যবহার করে এলসিসহ অন্যান্য কাস্টমস ও রপ্তানিসংক্রান্ত জটিলতা ছাড়াই বিগত রমজানে ছয় কনটেইনার বোঝাই সাড়ে ১৯ টন মুড়ি সৌদি আরবে পৌঁছাতে সক্ষম হন তিনি। নোয়াখালী থেকে সংগৃহীত মুড়ি ব্র্যান্ডিং ও প্যাকেজিং করেন বড় ছেলে ‘আনাস’-এর নামে। সৌভাগ্যক্রমে খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাঁর মুড়ি। নিজের শপ ছাড়াও রিয়াদের অন্যান্য সুপারশপ ও মুদি দোকানেও শুরু করেন সরবরাহ।
হাফিজুর বলেন, ‘সৌদির বাজারে সব সময়ই বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা ছিল, কারণ এখানে প্রচুর বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। আমাদের মুড়ি এখানে জনপ্রিয় হয়েছে। আমি ভবিষ্যতে আরও পণ্য আনব যেন আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনেরা এখানে বসে দেশের স্বাদ পেতে পারেন। তিনি বলেন, ‘যখন প্রথম রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করি, কিছুই বুঝতাম না। অনেক হতাশ ছিলাম। শপআপ পুরো প্রক্রিয়া খুব সহজ করে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমার মতো অনেক ছোট ব্যবসায়ীর উপকার হবে এই সেবায়।’
মুড়ি বিক্রি করে জনপ্রিয়তা পেলেও এখন কেবল মুড়িতে সীমাবদ্ধ থাকতে চান না হাফিজুর। বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক ও মৌসুমি নানান পণ্য যেমন– পানপাতা, খেজুরের গুড়, দেশি ফল ইত্যাদিও সৌদির বাজারে আনতে চান তিনি। প্রবাসীদের মাঝে এসব পণ্যের চাহিদা থাকলেও পচনশীল হওয়ার কারণে এতদিন সেভাবে সৌদির বাজারে পৌঁছতে পারেনি। সারির আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইন নেটওয়ার্ক এখন সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছে হাফিজুরকে।
হাফিজুরের এ সফলতা শুধু বাংলাদেশি পণ্য মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করেনি, পাশাপাশি বিশ্ববাজারে আমাদের দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে উন্মোচন করেছে এক নতুন দিগন্ত। দেশের মাটিতে ফলানো কৃষকের কষ্টের ফসল যখন বিদেশের মাটিতে প্রবাসীর মুখে হাসি ফোটায়, তখন তা ব্যবসা ছাপিয়ে হয়ে ওঠে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি পণ্যের গর্বিত পথচলার গল্প।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শপআপ র সরবর হ প রক র প রব স
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাসের অপেক্ষা আর শেষ হয় না
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সুতার কারখানা করেছে লান্তাবুর গ্রুপ। কাজ শেষ হয়েছে ছয় মাস আগে। কিন্তু গ্যাস–সংযোগ না পাওয়ায় কারখানাটি এখনো চালু করা যায়নি। যদিও তারা গ্যাস–সংযোগের চাহিদাপত্র (ডিমান্ড নোট) পেয়েছে ২০২২ সালের নভেম্বরে।
লান্তাবুর অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সালমান প্রথম আলোকে বলেন, কারখানাটি চালু হলে দেড় হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু গ্যাসের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। ওদিকে ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হয়ে গেছে।
গ্যাস–সংযোগের অভাবে উৎপাদন শুরু করতে না পারা কারখানার উদাহরণ আরও আছে। পেট্রোবাংলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিতাসসহ ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছে শিল্প সংযোগের এক হাজারের বেশি আবেদন জমা আছে। এর মধ্যে চার শর বেশি গ্রাহক সব প্রক্রিয়া শেষ করে সংযোগের (প্রতিশ্রুত সংযোগ) অপেক্ষায় রয়েছে। মানে হলো, তারা গ্যাস–সংযোগের জন্য টাকাও জমা দিয়েছে। বাকি ৬০০ কারখানা আবেদন করেছে। তবে প্রতিশ্রুতি পায়নি।
যে চার শর বেশি গ্রাহক সব প্রক্রিয়া শেষ করে সংযোগের (প্রতিশ্রুত সংযোগ) অপেক্ষায় রয়েছে, তাদের কেউ নতুন কারখানা, কেউ সম্প্রসারিত কারখানা, কেউ লোড বৃদ্ধির (সরবরাহের পরিমাণ) আবেদনকারী।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয় শিল্পে গ্যাসের দাম। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গত ১৩ এপ্রিল নতুন সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় বিইআরসি।সমস্যাটি তৈরি হয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে। বিগত সরকার দেশে গ্যাস উত্তোলনে নজর না দিয়ে আমদানির পথে হেঁটেছে। ২০২২ সালের দিকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমতে থাকায় গ্যাস আমদানি কঠিন হয়ে পড়ে। বিশ্ববাজারে দামও ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। জ্বালানি খাতে আওয়ামী লীগ সরকার বিপুল দেনা তৈরি করেছিল, যা এখন অন্তর্বর্তী সরকার শোধ করছে। নতুন সরকার দেশে গ্যাস উত্তোলনে জোর দিয়েছে; কিন্তু সংকট দূর করা যায়নি। সব মিলিয়ে চলমান কারখানাগুলো যেমন সংকটে রয়েছে, তেমনি নতুন সংযোগ চাইলেই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে ভুগছে শিল্পকারখানাগুলো।
কুমিল্লার মাটিয়ারা এলাকায় রপ্তানিমুখী একটি প্লাস্টিক কারখানা করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। কারখানাটি উৎপাদনে এলেও পুরো সক্ষমতা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ক্যাপটিভ গ্যাস–সংযোগের জন্য পাইপলাইন বসানো, দুটি জেনারেটর বসানো—সবই শেষ। তবে গ্যাস–সংযোগের জন্য অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না। তাঁদের ভাষ্য, কারখানাটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অন্তত পাঁচ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের আশা। বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি থেকে তারা চাহিদাপত্র পেয়েছে ২০২১ সালের ২৩ জুন। এর বাইরে তিতাসের অধীন তাদের আরও একটি প্যাকেজিং কারখানায় গ্যাস–সংযোগের চাহিদাপত্র পেয়েছে। সেটিও এখন পর্যন্ত সংযোগ পায়নি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চাহিদাপত্র পেয়েছে তারা।
শিল্পগোষ্ঠীটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে দুটি কারখানায়। অথচ শেষ মুহূর্তে সংযোগ আটকে গেছে।
দাম বাড়ানোর আগে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। সংযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগ করানো—এটা প্রতারণা। নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সংযোগের অনুমোদন নিয়ে জটিলতা বাড়লে ঘুষ, দুর্নীতি বা বৈষম্য সৃষ্টির সুযোগ থাকে।ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলমদাম বেড়েছে, সংকট যায়নি
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গ্যাসের দাম বারবার বেড়েছে। কিন্তু সংকট কখনোই যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয় শিল্পে গ্যাসের দাম। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গত ১৩ এপ্রিল নতুন সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় বিইআরসি।
এদিকে গত জানুয়ারি থেকে নতুন সংযোগ দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ আছে। তবে সরকারের অগ্রাধিকারে আছে প্রতিশ্রুত সংযোগ। এসব গ্রাহক আবেদন করে গ্যাস কোম্পানির বোর্ড থেকে অনুমোদন পেয়েছেন। এরপর জামানতের টাকা জমা দিয়ে ডিমান্ড নোট (চাহিদাপত্র) নিয়েছেন। গত ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত যারা চাহিদাপত্র পেয়েছে, তাদের প্রতিশ্রুত গ্রাহকের তালিকায় রাখা হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ নির্দেশনা দেয়, গ্যাস–সংযোগের আবেদনগুলো তিন ভাগে ভাগ করতে—নতুন সংযোগ, লোড বৃদ্ধি ও প্রতিশ্রুত সংযোগ। ১৮ জুন পাঁচ সদস্যের একটি যাচাই কমিটি গঠিত হয় অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে। কমিটির কাজ আবেদন যাচাই করে অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করা; শিল্প স্থাপনের প্রস্তুতি পর্যালোচনা এবং মাঠপর্যায়ে পরিদর্শন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোম্পানি আইন অনুসারে সর্বোচ্চ ক্ষমতা বোর্ডের হাতে। তাই গ্যাস–সংযোগ দিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজনে গ্যাস–সংযোগ নিয়ে আলাদা বিধিমালা বা নীতিমালা করে দিতে পারে সরকার। যেসব কারখানা গ্যাস পেলেই সঙ্গে সঙ্গে কারখানা চালু করতে পারবে, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, সংযোগের অনুমোদন মন্ত্রণালয় দেবে না, কোম্পানির বোর্ড থেকেই হবে। তবে টাকার বিনিময়ে সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ আছে কোম্পানির বিরুদ্ধে। তাই সংযোগের যৌক্তিকতা ও অগ্রাধিকার বিবেচনা করে তালিকা তৈরিতে কাজ করছে কমিটি।
‘সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে’
বর্তমানে দেশে গড়ে ২৮০ থেকে ২৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, যেখানে চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। শিল্প খাতে যাচ্ছে ১২০ কোটির কিছু বেশি। এক হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিশ্রুত সংযোগগুলো দেওয়া হলে আরও ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে হবে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দাম বাড়ানোর আগে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। সংযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগ করানো—এটা প্রতারণা। নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সংযোগের অনুমোদন নিয়ে জটিলতা বাড়লে ঘুষ, দুর্নীতি বা বৈষম্য সৃষ্টির সুযোগ থাকে।