মার্ক জাকারবার্গের যে সিদ্ধান্ত সমালোচিত হলেও আজ মেটার সাফল্যের বড় কারণ
Published: 4th, July 2025 GMT
২০১২ সালে ফেসবুককে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। সে সময় কম্পিউটারের বদলে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার জনপ্রিয় হতে শুরু করায় অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, নতুন পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে ফেসবুকের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। ঠিক তখনই জাকারবার্গের নজরে পড়ে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ। সেসময় ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ শুধু আইফোনে ব্যবহার করা যেত। আর তাই দুই বছর আগে চালু হলেও কোনো আয় করতে পারছিল না ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ। কর্মিসংখ্যাও ছিল বেশ কম, মাত্র ১৩ জন। এরপরও ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে নতুন সম্ভাবনা খুঁজে পান জাকারবার্গ।
ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের ভবিষ্যৎ পর্যালোচনার পর জাকারবার্গ সরাসরি ইনস্টাগ্রামের সহপ্রতিষ্ঠাতা কেভিন সিসট্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর কোনো কর্মকর্তা বা আইনজীবীর মধ্যস্থতা ছাড়াই ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে ইনস্টাগ্রাম কিনে নেয় ফেসবুক। ইনস্টাগ্রাম কেনার ঘোষণা প্রচারের পরপরই প্রযুক্তি বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীদের অনেকে জাকারবার্গের নেওয়া সিদ্ধান্তকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ‘অপরিণামদর্শী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। একটি ছোট প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে কেনার যৌক্তিকতা নিয়েও সন্দিহান ছিলেন তাঁরা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রমাণ হয়েছে, ইনস্টাগ্রাম কেনার সিদ্ধান্ত ছিল জাকারবার্গের দূরদর্শিতার সেরা উদাহরণ। চুক্তির কিছুদিনের মধ্যেই ইনস্টাগ্রাম চালু করে অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ। প্রথম দিনেই অ্যাপটি ১০ লাখ বার ডাউনলোড করা হয়, যা তখনকার মানদণ্ডে ছিল অভাবনীয় সাফল্য।
আরও পড়ুন মার্ক জাকারবার্গের করা সবচেয়ে বড় ভুল কোনটি জানেন১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪জাকারবার্গের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল ইনস্টাগ্রামের স্বতন্ত্রতা ধরে রাখা। অধিগ্রহণের পরও কেভিন সিসট্রমকে প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্বে থাকতে দেন জাকারবার্গ। এতে ইনস্টাগ্রামের নিজস্বতা অটুট থাকে, যা অ্যাপটির জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ফলে ইনস্টাগ্রাম পরিণত হয় একটি বড় মাধ্যমে, যেখানে সাধারণ ব্যবহারকারীরাও হয়ে উঠেছেন কনটেন্ট নির্মাতা, ইনফ্লুয়েন্সার এবং উদ্যোক্তা।
আরও পড়ুনমার্ক জাকারবার্গ ঘন ঘন বৈঠকের বদলে যেভাবে প্রতিদিন কাজ করেন ১৬ মে ২০২৫বর্তমানে প্রতি মাসে ইনস্টাগ্রামের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি। ব্যবহারকারীর দিক থেকে এটি বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। মেটার সামগ্রিক বিজ্ঞাপন আয়ে ইনস্টাগ্রামের অবদানও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৪ সালে মেটার মোট বিজ্ঞাপনী আয়ের প্রায় ৪১.
সূত্র: নিউজ১৮
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনস ট গ র ম অ য প ম র ক জ ক রব র গ ইনস ট গ র ম র ইনস ট গ র ম ক জ ক রব র গ র ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর সিটিও পদে যোগ দিলেন আসিফুর রহমান
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন ড. মো. আসিফুর রহমান। বুধবার (২ জুলাই) তিনি ডিএসইতে কাজে যোগ দেন।
ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ড. রহমান বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে দীর্ঘদিন সফলতার সাথে কাজ করেছেন। তিনি ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আশা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ পিএলসির সিটিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্মার্ট সার্ভিস টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের ওভারসিজ অপারেশন্সের হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি আটটি কোম্পানি এবং অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব তৈরি করেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কিউশ্যু বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের সিস্টেম এলএসআই রিসার্স সেন্টার-এর রিসার্স ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনে তিনি আশা এবং আশা ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর আইটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সহযোগী অধ্যাপক, অ্যানজেলনেট টেকনোলজিস আইএনসি, (ইউএসএ) এর ঢাকা অফিসের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ইটিএসি ডেটা কম্পিউটারাইজেশন প্রজেক্টের অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামার ও এফএও আন্দ্রে মেয়ার ফেলোশিপ প্রজেক্টোর কম্পিউটার কনসালটেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ১৯৯৪ সালে বিএসসি, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি বুয়েট গ্রাজুয়েট ক্লাব লিমিটেড ও বুয়েট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।
তার ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটের ব্লক চেইন, এআই ও মেশিন লার্নিং এপ্লিকেশন্স এবং ফাইন্যান্সিং মডেলিং-এর জন্য হাই পারফরমেন্স কম্পিউটিং আর্কিটেকচার ও স্কেলেবল সিস্টেম দক্ষতা রয়েছে।
ঢাকা/এনটি/এসবি