সিলেটের কানাইঘাটে রাস্তা থেকে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে তুলে নিয়ে বালুর মাঠে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আসামিরা হলো– কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের উমাগড় গ্রামের নিখিল দাসের ছেলে শুভঙ্কর দাস, বীরদল কচুপাড়া গ্রামের ফরিদ আহমদের ছেলে বাবুল আহমদ ও চটি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ফাহাদ মিয়া।

কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল সমকালকে জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত বুধবার রাতে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় যান ওই তরুণী। পরদিন উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের কায়স্থ গ্রামের বালুর মাঠে স্থানীয়রা জামা-কাপড় ছেঁড়া অবস্থায় তাঁকে দেখতে পান। তাঁকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তিনজনের কথা জানান। তারা তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জড়িতদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল অনিবার্য এক রাজনৈতিক বিস্ফোরণ

২০২৪ সালের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে প্রায় দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে। এটি শুধু একটি সরকারের পতনের বার্ষিকী নয়, বরং একটি জাতির গণতান্ত্রিক চেতনার পুনর্জাগরণের স্মরণীয় দিন। এ গণ-অভ্যুত্থান ছিল সময়ের দাবি ও অনিবার্য এক রাজনৈতিক বিস্ফোরণ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বিদ্রোহ থেকে বিনির্মাণের এক বছর: জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা ও আমাদের দায়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক জুলাই মাসের চেতনা ধারণ ও উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে মাসব্যাপী সেমিনার সিরিজের প্রথম আয়োজন ছিল এটা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘এই দেশের ছাত্র-জনতা ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন। এ আন্দোলনের সময় আমরা জানতাম না ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হবে কি না।’

নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বিষয়টি একাডেমিকভাবে আলোচনা করা জরুরি। এ জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এটি শুধু একটি সরকারের পতনের বার্ষিকী নয়, বরং একটি জাতির গণতান্ত্রিক চেতনার পুনর্জাগরণের বার্ষিকী। বাংলাদেশের ইতিহাসে জনগণ বারবার সাহস, ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রমাণ দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থান—এই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতারই একটি অংশ চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান।

গণ-অভ্যুত্থানকে ‘অনিবার্য রাজনৈতিক বিস্ফোরণ’ অভিহিত করে কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়েছে। জুলাইয়ের গণজোয়ার ছিল এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ। এ অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক রূপান্তরের উদাহরণ হয়ে থাকবে। যুব নেতৃত্ব ছিল এ আন্দোলনের মূল চালিকা শক্তি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান। সেমিনার সঞ্চালনা করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রমিক দলের বহিষ্কৃত নেতার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
  • দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল অনিবার্য এক রাজনৈতিক বিস্ফোরণ
  • তজুমদ্দিনে ধর্ষণের নেপথ্যে সতীনের আক্রোশ: পুলিশ
  • তজুমদ্দিনে ধর্ষণের নেপথ্যে সতীনের আক্রোশ
  • ভোলায় স্বামীকে নির্যাতনের পর গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই আসামি গ্রেপ্তার
  • তজুমদ্দিনে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, কী ঘটেছিল সেদিন
  • ভোলায় দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্রদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার
  • ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার দেড় হাজার নারী-কন্যাশিশু