এ কে আজাদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
Published: 4th, July 2025 GMT
ফরিদপুর–৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের বাড়িতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের চড়াও হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে ফরিদপুর সাংগঠনিক মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফাসহ দলটি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ কে আজাদের ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে চড়াও হন স্থানীয় বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা। ওই বাড়িতে গোপন বৈঠক করছে আওয়ামী লীগ—এমন অভিযোগ এনে তাঁরা ওই বাড়িতে যান।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হামীম গ্রুপের ল্যান্ড হেড অফিসার মোহাম্মদ রাফিজুল খান (৪০) ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলার আবেদন জমা দেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ জনকে।
মামলার আবেদনটি গ্রহণ করেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার আহাদউজ্জামান। তিনি জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাইরে আছেন। তিনি এলে বিষয়টি তাঁকে জানানো হবে।
মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে তিনি হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের শহরের ঝিলটুলীর অফিস কাম বাসভবনে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো.
মামলার আবেদনে আরও বলা হয়, বাদী রাফিজুল আসামিদের গালাগাল শুনে কক্ষ থেকে বের হয়ে উঠানে আসার সঙ্গে সঙ্গে ১ নম্বর আসামি (গোলাম মোস্তফা) হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর স্যার এ কে আজাদ যেন ফরিদপুর না আসে। যদি আসে তাহলে তাঁকে হত্যা করে লাশ পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেব।’ আসামিরা হুমকি আরও দিয়ে বলেন, ‘এ কে আজাদের বাড়ি, ঘর, অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যা আছে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়েপুড়িয়ে ভস্ম করে দেব। জনসেবা করার স্বাদ মিটিয়ে দেব।’
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শাহরিয়ার হোসেন (৩৮), কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী (৫৬), ফরিদপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৫৫), মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম (৪৪), মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি ক্যাপ্টেন সোহাগ (৪০)।
এ বিষয়ে বিএনপির নেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ওই বাড়িতে আওয়ামী লীগের গোপন সভা হচ্ছে—এমন তথ্য পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। ওখানে আমি নিজে কিংবা আমার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা কেউ কোনো হুমকি দেননি। একটি ঢিলও ছোড়া হয়নি। কেউ থানায় অভিযোগ করতেই পারেন, তবে তা তাঁকে প্রমাণ করতে হবে।’
এ কে আজাদ হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্বত্বাধিকারী। তিনি ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এ কে আজাদকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ কে আজাদ।
মামলার আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. এম এ জলিল বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজ দ র ব ড় ব এনপ র ত কর ম ব যবস সদস য আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
স্মরণকালের ভালো নির্বাচন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার স্মরণকালের ভালো নির্বাচন করতে চায় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন মানে যে ভোটার ভোট দিতে যাবেন, সে ভোট দিতে পারবেন।
শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা এ সময় আরও বলেন, প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টার থাকতে পারবেন। সবার সামনে উন্মুক্তভাবে ভোট গণনা করা হবে। যে নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাকেই আমরা স্বাগত জানাব।
তিনি বলেন, আপনারা এমন লোককে নির্বাচিত করবেন যিনি উন্নয়ন প্রকল্পটা সঠিকভাবে ব্যয় করবেন, সঠিক প্রকল্পে ব্যয় করবেন। তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে তাকে পালিয়ে যেতে হয়। তিনি যেন থাকেন। পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারবেন। আশা করি আমরা একটা সফল নির্বাচন করতে সক্ষম হবো। আমাদের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটেছে, সেই বাধা কাটিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে পারবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক, জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমসহ অনেকেই। পরে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মাদারগঞ্জ সোলার প্ল্যান পরিদর্শনে যান।