আজ ইস্তানবুলে অবস্থিত তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশনের (টিএফএফ) সদর দপ্তরে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা  আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং টিএফএফ প্রেসিডেন্ট  ইব্রাহিম এথেম হাজি ওসমানওগলুর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৈঠকে দুই দেশ ফুটবলের উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছে। সেখানে উপদেষ্টা বাংলাদেশের ফুটবলের সাম্প্রতিক জাগরণ, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তি এবং একটি টেকসই ফুটবল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে তুর্কি ফুটবল দলের বিপুলসংখ্যক ভক্ত রয়েছে এবং এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-তুরস্ক প্রীতি ম্যাচ আয়োজন দুই দেশের জনগণের মধ্যে ক্রীড়া-সংশ্লিষ্ট বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে। 

টিএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রস্তাবটি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে জানান যে, সবকিছু অনুকূলে থাকলে আগামী আগস্ট মাসেই দুই দেশের নারী ফুটবল দলের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে পারে। একইসঙ্গে, তিনি বাংলাদেশের ফুটবল কাঠামো শক্তিশালী করতে কারিগরি সহায়তা, কোচ ও রেফারিদের প্রশিক্ষণ, ক্রীড়া চিকিৎসা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। 

আলোচনার এক পর্যায়ে উপদেষ্টা মুসলিম বিশ্বে তুরস্কের সাহসী ও মানবিক নেতৃত্ব, বিশেষত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ভূমিকার প্রশংসা করেন। বৈঠক শেষ উপদেষ্টা আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে অংশগ্রহণের জন্য টিএফএফ প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান। 

উভয়পক্ষ অভিমত প্রকাশ করেন, এই বৈঠক বাংলাদেশ-তুরস্ক ক্রীড়া সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আরও ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূভাবে যুক্ত করবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সহয গ ত উপদ ষ ট ট এফএফ ত রস ক ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ভুয়া ফুটবল দল গড়ে জাপানে আদম পাচার, পাকিস্তানে দালাল গ্রেপ্তার

পাকিস্তানে ফুটবল এজেন্ট পরিচয়ে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে অবৈধ অভিবাসীদের ফুটবল খেলোয়াড় সাজিয়ে জাপান পাঠাতেন ওয়াকাস আলী নামের ওই ব্যক্তি। তিনি শিয়ালকোটের পাসরুর শহরের বাসিন্দা। ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে আটক করেছে এফআইএর গুজরানওয়ালা জোন।

এফআইএ এর এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ওয়াকাস আলী ১৭ জন অভিবাসীর সঙ্গে যোগসাজশ করে বোয়াভিস্তা ফুটবল ক্লাবের আমন্ত্রণপত্র ব্যবহার করে জাপানের ১৫ দিনের ভিসা সংগ্রহ করেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ এর খবরে বলা হয়, সেই সিনিয়র কর্মকর্তা দাবি করেন, ওয়াকাস আলী পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) ভুয়া রেজিস্ট্রেশন, চিঠি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নকল অনাপত্তিপত্র ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুনকাশির সিরাপ খেয়ে নিষিদ্ধ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন এখন ফেরার অপেক্ষায়৪ ঘণ্টা আগে

সিনিয়র কর্মকর্তার ভাষ্য, প্রধান সন্দেহভাজন ওয়াকাস ‘গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল’ নামে একটি ভুয়া ক্লাব গড়ে তোলেন এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের কাছ থেকে তিনি ৪০ থেকে ৪৫ লাখ রুপি নিয়েছেন। ওই ব্যক্তিরা ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি জাপানে গিয়ে আর পাকিস্তানে ফেরেননি। এফআই-এর গুজরানওয়ালা জোনের পরিচালক মুহাম্মদ বিন আশরাফ ডনকে বলেন, সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

তদন্তে জানা গেছে, ওয়াকাস আলী একই ধরনের আরেকটি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৫ সালের ১৫ জুন তিনি জাপানে ২২ সদস্যের একটি ভুয়া ফুটবল দল পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে জাপানের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠায়। এরপর এফআইএ তদন্ত শুরু করে এবং ওয়াকাসকে গ্রেপ্তার করে মামলা রুজু করে।

আরও পড়ুনরেফারিকে মারধর, রাজশাহীকে জরিমানা, ৫ ফুটবলার ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ১৯ ঘণ্টা আগে

এফআইএ অফিশিয়ালদের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, জাপানের বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা সেই ২২ জনের সবাই ফুটবল কিট পরে নিজেদের পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) খেলোয়াড় দাবি করেছিলেন এবং সঙ্গে ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাল অনাপত্তিপত্র।

তবে জাপানের বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রতারণা ধরা পড়লে তাঁদের ফেরত পাঠায় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রশ্ন থেকে গেছে, এসব ‘ভুয়া’ খেলোয়াড় কীভাবে পাকিস্তানের বিমানবন্দর পেরোতে সক্ষম হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভুয়া ফুটবল দল গড়ে জাপানে আদম পাচার, পাকিস্তানে দালাল গ্রেপ্তার