ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলতে চান বাংলাদেশের মেয়েরা
Published: 4th, July 2025 GMT
বছরখানেক আগেও বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপই ছিল সবচেয়ে মর্যাদার প্রতিযোগিতা। তাঁরাই এখন ২০২৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় নারী বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখছেন!
আর সেই স্বপ্ন পূরণ খুব অসম্ভবও নয়। বাংলাদেশের মেয়েরা যে পৌঁছে গেছেন দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়ার সেরাদের মঞ্চে। আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ১২ দলের এএফসি এশিয়ান কাপের ২১তম আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ৮ দলের সুযোগ থাকবে ২০২৭ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলার। বাংলাদেশ সে সুযোগই কাজে লাগাতে চায়। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও সেটাই বলেছেন আজ বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায়, ‘সবাই যেভাবে আমাদের সমর্থন করছেন, সেভাবেই করবেন। আমরা যেন আরও এগিয়ে যেতে পারি, সবাই দোয়া করবেন। দলকে বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখতে চাই। যেহেতু আমাদের সামনে সুযোগটা এসেছে, আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব সেটা কাজে লাগাতে।’
আরও পড়ুননারী এশিয়ান কাপে ভালো করলে বিশ্বকাপের টিকিটও মিলতে পারে ঋতুপর্ণাদের০৩ জুলাই ২০২৫এক ম্যাচ হাতে রেখেই এশিয়ান কাপে বাছাই থেকে মূল পর্বের টিকিট কেটেছে বাংলাদেশ। তাই আগামীকাল তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছে কাগজে–কলমে আনুষ্ঠানিকতার। যদিও মেয়েরা শেষটা আরও সুন্দর চান। আজ ইয়াঙ্গুনে প্রস্তুতিতেও ছিল সেই প্রতিচ্ছবি। টানা দুই ঘণ্টার অনুশীলনের পরও নেই ক্লান্তির ছাপ। উল্টো উদ্যাপনের মেজাজে থাকা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বললেন তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটাও ভালোভাবে শেষ করার কথা, ‘দলের সবাই ফুরফুরে মেজাজে আছেন, আজ ভালোই অনুশীলন করলাম। আগামীকাল আমাদের শেষ ম্যাচ। ওই ম্যাচও ভালো করতে চাই।’
এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে আফঈদার বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
ঋতুপর্ণাদের সামনে বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি
ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল! প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ঋতুপর্ণাদের দলটি। অনেকেই বলছেন, এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম বড় সাফল্য। র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে সেই ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
বাছাইপর্বে গ্রুপ 'সি'র ম্যাচে মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। দুই অর্ধে জোড়া গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। এর আগে বাহরাইনকে হারিয়েই দারুণ সূচনা করেছিল মেয়েরা। এরপর বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হওয়ায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা।
নারী এশিয়ান কাপের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালে যাত্রা শুরু হলেও এবারই প্রথমবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। তারা হবে টুর্নামেন্টের ২৩তম দল। এরই মধ্যে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া, এবং তৃতীয় স্থান পাওয়া জাপান ছাড়াও একটি দল জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাকি আটটি দল উঠে আসবে বাছাইপর্ব থেকে।
২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, গোল্ড কোস্ট এবং পার্থের পাঁচটি ভেন্যুতে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্ট। ২৯ জুলাই সিডনিতে অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্বের ড্র। চূড়ান্ত ১২টি দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ গ্রুপে থাকলেও বাকিদের অবস্থান নির্ধারিত হবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে। সম্ভবত বাংলাদেশ থাকবে চতুর্থ পটে। গ্রুপ পর্ব শেষে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল এবং তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা দুটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। এখান থেকেই শুরু হবে বিশ্বকাপের টিকিটের লড়াই।
২০২৬ এশিয়ান কাপ শুধুই একটি টুর্নামেন্ট নয়, এটি ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ও ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্বও। ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে, যেখানে এশিয়া থেকে সরাসরি ৬টি দল অংশ নেবে। এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে ওঠা চারটি দল সরাসরি যাবে বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া চার দল খেলবে প্লে-ইন ম্যাচ। সেখান থেকে জেতা দুটি দলও বিশ্বকাপে যাবে। যারা হারবে, তাদের জন্য থাকবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের আরেকটি সুযোগ।
এছাড়াও, কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল সুযোগ পাবে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইপর্বে অংশ নেওয়ার। বাছাইয়ে দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পাবে অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ।