বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন জুয়েল বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষকদের একটা দাবিও পূরণ করেনি বরং তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে গত বছর ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে। এর কারণ মানহীন কারিকুলাম। এখান থেকে অবশ্যই ফিরে আসতে হবে।”

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

শামীম আল মামুন জুয়েল বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করলেই শিক্ষা থেকে বৈষম্য দূর হবে। ফলে শিক্ষার মান বাড়বে এবং জাতি এগিয়ে যাবে। শুধু উন্নয়ন দিয়ে দেশ চলে না। যদি উন্নয়ন দিয়ে দেশ চলতো তাহলে ফ্যাসিস্ট সরকার যেত না। উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে শিক্ষিত জাতি লাগবে।”

বাংলদেশ শিক্ষক সমিতির টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো.

আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল। প্রধান আলোচক ছিলেন বিটিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বেগম নুরুন্নাহার।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, বিটিএর উপদেষ্টা আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী ও মীর মনিরুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫ দিনে হিলি বন্দরে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি

গত ৩৫ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। 

প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার, কিছু ক্ষেত্রে ৫৪০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এসময় সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল।

হিলির খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, “ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫১ থেকে ৫২ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ কেজি হিসেবে। আশা করছি আগামীতে আরো কমবে।”

আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “২ শতাংশ শুল্কে আমরা চাল আনছি। ৫২০-৫৪০ ডলার দরে আমদানি হচ্ছে। এতে বাজারে দামের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে।”

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২৪২১টি ট্রাকে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল এসেছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ