আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সিএনজি চালকরা শুক্রবার ভোর ৬টায়  ধর্মঘট করে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেয়। পরে সাড়ে ১১টায় যৌথবাহিনীর আশ্বাসে ধর্মঘাট প্রত্যাহার করে সিএনজি চালকরা। 

এর অংশ হিসেবে আড়াইহাজার, রামচন্দ্রদী এবং গোপালদী এলাকার শতাধিক সিএনজি চালক তাদের গাড়ি বন্ধ রেখে সকাল থেকে রামচন্দ্রদী  এলাকায় সমবেত হন। এতে করে ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।

স্থানীয় সিএনজি চালক জিলানী ও নজরুল ইসলাম জানান, ফেরিঘাটে টোল প্রদানের পরও চাঁদাবাজরা প্রতিবার তাদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে।

অভিযোগ রয়েছে, এই চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিচ্ছেন হারুন নামে বিএনপির এক কর্মী । তার সাথে রয়েছে আরো ২/৩ জন। হারুণ বিএনপি নেতা ও বিশনন্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনে হামজালার অনুসারী। 

সিএনজি চালকরা জানান,  হারুনের নেতৃত্বে একটি চক্র নিয়মিতভাবে এই অবৈধ আদায় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ঘটনার খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যৌথবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চালকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা ৬ঘন্টা পর সাড়ে ১১টায় ধর্মঘাট প্রত্যাহার করে নেন।  

অভিযুক্ত হারুল বলেন, আমি চাদাঁবাজি করেনি। আমি গাড়ির সিরিয়াল ঠিক করে দিয়ে কস্ট করে টাকা নেই।  

বিশনন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মাসুদ বলেন, আমরা হারুনকে চিনি না। চাদাঁবাজির সাথে বিএনপির কোন সম্মপর্ক নেই। 

বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন হামজালা দেশের বাহিরে থাকায় তার বক্তব্য ন্ওেয়া সম্ভব হয়নি। 
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান,“চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।” 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স এনজ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

স্মরণকালের ভালো নির্বাচন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার স্মরণকালের ভালো নির্বাচন করতে চায় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন মানে যে ভোটার ভোট দিতে যাবেন, সে ভোট দিতে পারবেন।

শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্বালানি উপদেষ্টা এ সময় আরও বলেন, প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টার থাকতে পারবেন। সবার সামনে উন্মুক্তভাবে ভোট গণনা করা হবে। যে নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাকেই আমরা স্বাগত জানাব।

তিনি বলেন, আপনারা এমন লোককে নির্বাচিত করবেন যিনি উন্নয়ন প্রকল্পটা সঠিকভাবে ব্যয় করবেন, সঠিক প্রকল্পে ব্যয় করবেন। তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে তাকে পালিয়ে যেতে হয়। তিনি যেন থাকেন। পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারবেন। আশা করি আমরা একটা সফল নির্বাচন করতে সক্ষম হবো। আমাদের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটেছে, সেই বাধা কাটিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে পারবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক, জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমসহ অনেকেই। পরে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মাদারগঞ্জ সোলার প্ল্যান পরিদর্শনে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ