গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
Published: 20th, May 2025 GMT
কক্সবাজার ও যশোরে ১০ তলা বিশিষ্ট ২টি হাসপাতাল ভবন নির্মাণ ও কুমিল্লার পুলিশ লাইনের ভবণ নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয়ের ১টিসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মোট ৩ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৭৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৫ টাকা।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভা সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় ১০তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব ৫০০ বেডেড মেডিকেল কলেজ হসপিটাল অ্যান্ড এনসিলারী বিল্ডিং ইন যশোর, কক্সবাজার, পাবনা অ্যান্ড নোয়াখালী (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় ১০তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি দরপত্র জমা পড়ে।তার মধ্যে ২টি দরপ্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান দি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্ট লি.ঢাকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ টাকা।
সভায় যশোর জেলায় ১০তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব ৫০০ বেডেড মেডিকেল কলেজ হসপিটাল অ্যান্ড এনসিলারী বিল্ডিং ইন যশোর, কক্সবাজার, পাবনা অ্যান্ড নোয়াখালী (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় যশোর জেলায় ১০তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি দরপত্র জমা পড়ে। দাখিলকৃত ৩টি দরপ্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এইচএসএল এবং আরসিসিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৩১ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ১২৮ টাকা।
সভায়,‘কুমিল্লাস্থ পুলিশ লাইন এলাকায় ১৫তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লাস্থ পুলিশ লাইন এলাকায় ১৫তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ যৌথভাবে টিবিইএল, এসটিআই এবং টিইসি কাজ পায়। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৫ কোটি ৯৮ লাখ ১ হাজার ৬১ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় ফাউন্ডেশনের এর ড্রইং সংশোধন হওয়ায় টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভূত কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হয়। ফলে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার ৩৮৪ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সপনস ভ প রকল প দরপত র র জন য মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
‘লোকদেখানো’ টেন্ডার, অনিয়মের অভিযোগ জনসংযোগ প্রশাসকের বিরুদ্ধে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের দেয়াল ও টেবিল ক্যালেন্ডার (এক পৃষ্ঠা করে) মুদ্রণের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরপত্র গ্রহণের পরদিনই সেই ক্যালেন্ডারের মুদ্রণ কপি বিভিন্ন দপ্তরে বিতরণ করা হয়েছে। তবে দরপত্রের কোটেশন (ঠিকাদারদের দামের প্রস্তাব) বাক্স এখনো খোলাই হয়নি। দরপত্র যাচাই-বাছাই না করেই ‘পছন্দের’ ঠিকাদারকে আগেই কাজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদারের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর দেয়াল ও টেবিল ক্যালেন্ডার (এক পৃষ্ঠা করে) মুদ্রণের দরপত্র আহ্বান করে একটি কোটেশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩০ জুন বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। ওই দিনই বেলা ১২টায় দরপত্রদাতাদের উপস্থিতিতে (যদি কেউ থাকেন) কোটেশন খোলার কথা ছিল। তবে সেই টেন্ডারের বাক্স এখন পর্যন্ত খোলা হয়নি। অথচ মুদ্রিত ক্যালেন্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে বিতরণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ দপ্তরের উপরেজিস্ট্রার মো. আনোয়ারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবছর জুলাই মাসের শুরুতে ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয়। এবার ক্যালেন্ডার মুদ্রণে দরপত্র জমা দেওয়ার ও ঠিকাদার নির্বাচনের শেষ সময় ছিল ৩০ জুন। প্রতিবার সাধারণত আরও আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়। জনসংযোগ দপ্তরকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তাঁরা সাড়া দেয়নি। সেই দরপত্র জমার বাক্স এখনো আমাদের দপ্তরে পড়ে আছে।’ টেন্ডারের বাক্স না খুলে এবং যাচাই-বাছাই না করেই কীভাবে কাজ শেষ হলে—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করতে বলেন।
দরপত্রের বাক্স না খুলেই পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাক্সটি পড়ে আছে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে