দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী
Published: 20th, May 2025 GMT
সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী (ফালু)। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এই রায় ঘোষণা করেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীর আইনজীবী বোরহান উদ্দিন।
আইনজীবী বোরহানউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৮ জুলাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ওই বছরই আদালত মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীকে হাজির করা হয়। দুদকের আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মোসাদ্দেক আলীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে। একই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ১১ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মোসাদ্দেক আলীর আইনজীবী বোরহান উদ্দিন বলেন, হয়রানি করার জন্য ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন তাঁর মক্কেল মোসাদ্দেক আলী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স দ দ ক আল র
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল