সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী (ফালু)। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এই রায় ঘোষণা করেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীর আইনজীবী বোরহান উদ্দিন।

আইনজীবী বোরহানউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৮ জুলাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ওই বছরই আদালত মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীকে হাজির করা হয়। দুদকের আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মোসাদ্দেক আলীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে। একই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ১১ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

মোসাদ্দেক আলীর আইনজীবী বোরহান উদ্দিন বলেন, হয়রানি করার জন্য ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন তাঁর মক্কেল মোসাদ্দেক আলী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম স দ দ ক আল র

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতায় নুসরাতের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী

ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনায় নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক।

সোমবার নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজিরের পর শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নুসরাত ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে ছিলেন। তিনি একজন ফ্যাসিস্টের সমর্থক। অনেকের মতো তিনিও নাটক সিনেমার মাধ্যমে, অভিনয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টের পক্ষ নিয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেন অন্যদের মতো। বিভিন্ন ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক।

এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা দশটার পর তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এসময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবীরা।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২২ মে ফের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নয়
  • রাজনৈতিক দল হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ কেন নয়
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে রিটে আদেশ কাল
  • মাধবপুরের ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়, দেবর শাহ আলমের মৃত্যুদণ্ড
  • বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ মূল্যায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ
  • পুলিশের ওপর হামলা: খালাস পেলেন সাবেক এমপিসহ বিএনপির ২৮ নেতাকর্মী
  • নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত প্রশ্ন
  • নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে রিটের ওপর আদেশ ২৬ মে
  • ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতায় নুসরাতের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী