রাজনীতিকে ঘিরে ধরছে অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা
Published: 21st, May 2025 GMT
দেশের রাজনীতি উদ্বেগজনক মাত্রায় ঘোলাটে হয়ে পড়েছে অথবা পরিকল্পিতভাবেই তা করা হয়েছে। এর মানে, কোনো না কোনো পক্ষ এই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে।
সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটছে, তাতে মানুষের মনে নানা উদ্বেগ, অজানা আশঙ্কা ও ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মনে হচ্ছে, রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনীতির দায়িত্বশীল পক্ষগুলো দায়িত্বশীল আচরণ করছে না।
গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যে মাত্রায় জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় বসেছে, তার নজির বাংলাদেশে নেই। পতিত ও পরাজিত পক্ষ ছাড়া দেশের সব রাজনৈতিক দল এই সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে যে সরকারের হওয়ার কথা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার—আজ সরকার যখন মেয়াদের ১০ মাসের দিকে এগোচ্ছে, তখন এর উল্টোটাই মনে হচ্ছে।
জনগণ এখন সরকারকে দুর্বল ভাবতে শুরু করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর মানুষের মনে যে আশা জেগেছে, তার বাস্তবায়ন তারা দেখছে না। সরকার সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, সরকারি কাজকর্ম ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সবচেয়ে বড় কথা, একই সঙ্গে নির্বাচনের জন্য দরকারি সংস্কার এবং গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার কাজেও অগ্রগতি দৃশ্যমান থাকবে—এসবই মানুষ দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ দেখছে, দেশে এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মবের কর্তৃত্ব।
আরও পড়ুনরাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরির পেছনে কী২৫ মার্চ ২০২৫আমরা দেখছি, কেউ ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার করে মব তৈরি করছে, হুমকি দিচ্ছে এবং বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলছে আর সরকার নানাভাবে তাদের চাওয়া পূরণ করছে। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক নানা গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে নানা দাবি তুলছে, সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছে এবং তাদের চাপের কাছেও সরকার আত্মসমর্পণ করছে।
এখানে দেশ ও জনগণের স্বার্থ, দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বা পরিণতি কতটা বিবেচনা করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন উঠছে। এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী এখন এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে শুরু করেছে।
সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যদের কর্মসূচি নিয়ে যা ঘটেছে, তা নজিরবিহীন। রাষ্ট্র ও সমাজে যেহেতু অশুভ শক্তিও আছে, তারাও এই সুযোগে তৎপর হয়ে উঠেছে, সেই লক্ষণ পরিষ্কার।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে এখন ঘোলাটে হয়ে পড়েছে বা কোনো পক্ষ যদি ইচ্ছা করে ঘোলাটে করে থাকে, তা সরকারের দুর্বলতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া সরকারের মধ্যে গ্রুপিং ও বিভক্তির কথাও শোনা যায়।
সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত কোথা থেকে এসেছে কিংবা কে বা কারা নেয় তা বোঝা যায় না। এমনকি উপদেষ্টাদের কেউ কেউ নানা সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁদের অন্ধকারে থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি যেন একটা উদ্বেগজনক সীমায় এসে হাজির হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে—এমন কথাও আলোচনায় আছে। সরকারের মধ্যেও কেউ কেউ যে এমনটি চান, তা অনেকটাই স্পষ্ট।
অন্তর্বর্তী সরকারের শাসন যদি জনগণকে স্বস্তি দিতে পারত, পরিবর্তনের লক্ষণগুলো যদি স্পষ্ট হতে শুরু করত, মানুষ যদি সুশাসনের সুফল ভোগ করতে শুরু করত, সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে যদি আশার সঞ্চার করা যেত, তাহলে মানুষ প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অপেক্ষা করত। কিন্তু যেহেতু সরকার তা পারেনি, তাই দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে।গণ-অভ্যুত্থানের পর যখন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়, তখন থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল, এই সরকারের মেয়াদ কত দিন? তখন অনেকেই বলেছিলেন যে এই সরকারের মেয়াদ নির্ভর করবে তার কাজের ওপর। কাজগুলো কী?
জনগণের চাওয়া অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কার, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এই কাজগুলো যদি অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারত, তাহলে একটি নতুন গণতন্ত্রে যাত্রার পথ তৈরি পর্যন্ত তাদেরকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে জনগণ প্রস্তুত ছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ‘প্রয়োজনীয় সময়’ কত দিনের? কত মাসের বা কত বছরের?
দায়িত্ব নেওয়ার একেবারে শুরুতে না হলেও যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তী সরকারের এটা পরিষ্কার করা উচিত ছিল যে গণতন্ত্রে উত্তরণ, ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের উত্থান রোধ, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য এই সংস্কার প্রয়োজন এবং তা করার জন্য এই সময় (নির্দিষ্ট মাস বা বছর) লাগবে।
গণ-অভ্যুত্থানই যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেট এবং এসব চাওয়া যেহেতু গণ-অভ্যুত্থানেরই চাওয়া; তাই সরকারের এই স্বচ্ছ অবস্থানের বিরোধিতা করা তখন কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য কঠিন হয়ে যেত। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এই কাজ না করে তার মেয়াদ নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি করে রেখেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কথায় এমন মনে হয়েছে যে তিনি আড়াই থেকে তিন বছরের একটি সময়সীমা ধরে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনহাসিনার পতন নিয়েই কি খুশি থাকতে হবে১৫ জানুয়ারি ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের শাসন যদি জনগণকে স্বস্তি দিতে পারত, পরিবর্তনের লক্ষণগুলো যদি স্পষ্ট হতে শুরু করত, মানুষ যদি সুশাসনের সুফল ভোগ করতে শুরু করত, সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে যদি আশার সঞ্চার করা যেত, তাহলে মানুষ প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অপেক্ষা করত। কিন্তু যেহেতু সরকার তা পারেনি, তাই দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে।
এটা পরিষ্কার যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে চাপ তৈরি হওয়ায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জুন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল এখন বিএনপি, তারা এই ডিসেম্বর-জুনের বিভ্রান্তিকে মেনে নিতে পারছে না। তারা সময়ের স্পষ্ট ঘোষণা এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবিতে এখন সোচ্চার হয়ে উঠছে।
বিএনপির এই অবস্থানের সঙ্গে কিছু সমমনা দল রয়েছে। জামায়াতের অবস্থান খুব পরিষ্কার নয়। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দল এনসিপির দ্রুত নির্বাচনের ব্যাপারে খুব আগ্রহ নেই। তারা নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষে অটল।
সরকারের দুর্বলতা যেহেতু স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, তাই বিভিন্ন মহল থেকে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদ সবকিছুকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
সরকারের ভেতরে একটি অংশও যেহেতু দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পক্ষে, তাই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। শুধু রাজনৈতিক দলগুলো নয়, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মূল অংশী হিসেবে আমরা যাদের বিবেচনা করতে পারি (সরকার, সশস্ত্র বাহিনী, বিএনপি, এনসিপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি), বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যেও বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। এই ঘোলাটে পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার জন্য কোনো না কোনো পক্ষ যে ওত পেতে আছে, সেই শঙ্কার কথা আগেই বলেছি।
এমন একটি বাস্তবতায় সরকার, সশস্ত্র বাহিনী, বিএনপি ও এনসিপি—কোনো একটি পক্ষের ভুল পদক্ষেপ পরিস্থিতি শোচনীয় করে তুলতে পারে। এতে চূড়ান্ত বিচারে লাভবান হবে গণ-অভ্যুত্থানের পরাজিত ও পতিত শক্তি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে ইশরাক হোসেনের পুনর্বহাল নিয়ে বিএনপি ও সরকারের এক উপদেষ্টা এবং সেই সূত্রে এনসিপির বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। ইস্যুটি বড় না হলেও দুই পক্ষই সম্ভবত একে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে। অনেকেই এ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন।
দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীর যৌক্তিক-অযৌক্তিক ও বিচিত্র দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হওয়া, মব সৃষ্টি, কথায় কথায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি বা কর্মসূচির হুমকি, বন্দরের পরিচালনা বিদেশিদের দেওয়া না দেওয়া, রাখাইন রাজ্যের জন্য করিডর ইস্যু, ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক—সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি যে জটিল হয়ে পড়েছে, তা দেশের মানুষ টের পাচ্ছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কি এখন বিএনপি ও এনসিপির বিরোধ বা এ নিয়ে কোনো সংঘাতের ভার গ্রহণ করার মতো অবস্থায় রয়েছে?
গণ-অভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো ক্ষুদ্র বা গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠবে, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দেবে, সে আশা কি আমরা করতে পারি না? বর্তমান উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কাটাতে এবং সম্ভাব্য সংঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সরকার, সেনাবাহিনী, বিএনপি ও এনসিপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি—এই অংশীগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার কোনো বিকল্প নেই।
দেশের এই ক্রান্তিকালীন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী যেন সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সবার।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে গতকাল সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠক সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করুক, সেটাই প্রত্যাশিত।
● এ কে এম জাকারিয়া প্রথম আলোর উপসম্পাদক
[email protected]
* মতামত লেখকের নিজস্ব
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সশস ত র ব হ ন ন শ চ ত কর ই সরক র র সরক র র ম পর ষ ক র পর স থ ত উপদ ষ ট অবস থ ন র র জন ক র কর র জন য এনস প ব এনপ সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনী আচরণবিধির নীতিগত অনুমোদন করেছে ইসি
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এসব নীতিমালা এখনই চূড়ান্ত করবে না নির্বাচন কমিশন। এসব নীতিমালা নিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরও কিছু সুপারিশ আছে। আইন সংশোধনের বিষয়ও আছে। নীতিমালাগুলো চূড়ান্ত করতে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত ইসিকে অপেক্ষা করা লাগতে পারে।
আজ দুপুরে ইসির সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সভায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা–২০২৫; সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫–এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় বিধিমালা ও নীতিমালা বিশদভাবে আলোচনা করে খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি এ নিয়ে কাজ করে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে।
এই নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির তত্ত্বাবধানে নির্বাচনী প্রচার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার, দল ও প্রার্থীর প্রত্যয়নসহ নানা ধরনের নতুন বিষয় প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে যুক্ত করা হয়েছে।
বিদ্যমান ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়েও প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তা, ইসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি করার কথা বলা আছে। ইসি এই কমিটির বিধান বাদ দিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল তা বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা কমিশনের অধীন আনা হয়েছে। দ্বিতীয়ত ইভিএম–সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও বাদ দেওয়া হয়েছে নীতিমালা থেকে।
আরও পড়ুনরাজনৈতিক বক্তব্যে মন্তব্য নয়, ইসি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে: কমিশনার আবুল ফজল৩ ঘণ্টা আগে