আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের বিদ্যমান চারটি মূল্যস্তর কমিয়ে তিনটি আনা এবং মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন দেশের তরুণ চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত শতাধিক তরুণ চিকিৎসক অংশ নেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চিকিৎসকরা বলেন, বাংলাদেশে তামাকপণ্য সহজলভ্য হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ এর ত্রুটিপূর্ণ ও জটিল কর কাঠামো। ফলে তরুণ ও নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সিগারেটের সহজলভ্যতা রোধে কার্যকর করারোপ ও মূল্যবৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে খাজনা আদায়ে ভূমি অফিসে হালখাতা 

কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে রাজস্ব আয় ৪ কোটি টাকা

তারা বলেন, সিগারেটের চার স্তরের মূল্যব্যবস্থা—নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম, যা তামাক কর নীতিকে দুর্বল করছে। বিশেষত, নিম্ন ও মধ্যম স্তরের দামের ব্যবধান কম হওয়ায় ভোক্তারা সহজেই এক স্তর থেকে অন্য স্তরে চলে যেতে পারছেন। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে সেগুলোর দাম বাড়ানো হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও তরুণ প্রজন্ম ধূমপান থেকে বিরত থাকবে, পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।

তরুণ চিকিৎসকরা আসন্ন বাজেটের জন্য কর ও মূল্য কাঠামো প্রস্তাব করেন। তাদের প্রস্তাবিত মূল্য কাঠামোতে রয়েছে, নিম্ন ও মধ্যম স্তর একত্র করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ; উচ্চ স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা; প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকার খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণ। একই সঙ্গে সিগারেটের খুচরা মূল্যের ওপর ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ অপরিবর্তিত রাখা।

তামাক নিয়ন্ত্রণে বিড়ি ও অন্যান্য তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিরও সুপারিশ করা হয়। ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের দাবি জানানো হয়। জর্দা ও গুলের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১০ গ্রামে খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা ও ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের দাবি তোলা হয়।

সন্ধানী ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল অ্যান্ড আপডেট ডেন্টাল কলেজ ইউনিটের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো.

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার (৩৫.৩ শতাংশ) সবচেয়ে বেশি। কারণ অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম অনেক কম। ফলে সহজেই তরুণরা ক্ষতিকর এই নেশায় আসক্ত হচ্ছে। তাই তরুণদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিতে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধি করা জরুরি।”

তিনি বলেন, “২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকার আমাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলে ধূমপান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লাখ তরুণসহ মোট ১৭ লাখের বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।”

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম কপণ য প রক শ র খ চর

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগেই গণভোটের দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতির জন্য যে গণভোট, সেটা আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই হতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত  মানববন্ধনে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান একথা বলেন।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ রাজধানীর গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মানববন্ধন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ কর্মসূচিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ছিলেন।

এ সময় মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি নির্ধারণ না হলে জুলাই সনদ গুরুত্বহীন হয়ে যাবে। জাতীয় নির্বাচনটাও সংকটাপন্ন হওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হবে।

নির্বাচন কমিশন একটি দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি অতীতের নির্বাচন কমিশনগুলোর মত এ নির্বাচন কমিশনও একটি দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য মেকানিজম করছে।’

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে যেন–তেন নির্বাচনের দিকে যাওয়া যাবে না, মৌলিক সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না এবং জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে হত্যা করা যাবে না।’

আরও পড়ুনইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন জরুরি: চরমোনাই পীর১০ অক্টোবর ২০২৫

পিআর পদ্ধতির আলোকে নির্বাচন হতে হবে উল্লেখ করে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘এটা জনগণের দাবি। ইসলামী আন্দোলনের দাবি।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পাঁচ দফা দাবিহলো—জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড নিশ্চিত করা, গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার, বিশেষ ট্রাইবুনালে জাতীয় পার্টিরসহ ১৪ দলের বিচার এবং নিষিদ্ধ করা।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাউয়ুম প্রমুখ।

আরও পড়ুনকোনো অবস্থাতেই দেশকে আগের পরিস্থিতিতে যেতে দেওয়া হবে না: চরমোনাই পীর০৮ অক্টোবর ২০২৫আরও পড়ুন’৭২–এর সংবিধান টিকিয়ে রাখতে ভারতের ইশারায় মরিয়া বিএনপি: গাজী আতাউর রহমান০৪ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পিরোজপুরে কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন জামায়াত নেতা, পথে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত
  • আমি আয়নাঘরে ছিলাম: আমির হামজা
  • অর্থনীতিতে কি মন্দা ঘনিয়ে আসছে
  • ৫ দাবিতে নওগাঁয় জামায়াতের মানববন্ধন
  • এক শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সহপাঠীদের বিক্ষোভ
  • চলতি বছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮% হতে পারে: আইএমএফ
  • অস্ত্র মামলায় বহিষ্কৃত ছাত্রের শাস্তি প্রত্যাহার দাবিতে শাবিপ্রবি
  • জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগেই গণভোটের দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের
  • ‘হেনী কলেজের টেঁয়া লই চুদুরবুদুর চইলত নঅ’ স্লোগানটি কেন আবার প্রাসঙ্গিক
  • স্বামীকে ২১ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিচ্ছেন স্ত্রী