সতীর্থের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা করলেন ভারতের ক্রিকেটার
Published: 23rd, May 2025 GMT
ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা তারই সতীর্থ ক্রিকেটার আরুশি গোয়েলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চুরির অভিযোগে মামলা করেছেন। আগ্রার সদর থানায় দায়ের করা এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, আরুশি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করেছেন এবং বেআইনিভাবে দীপ্তির ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেছেন।
দীপ্তির পরিবারের অভিযোগ, জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে আরুশি গোয়েল দীপ্তির আগ্রার বাসায় প্রবেশ করে সোনার ও রূপার গয়না, প্রায় ২ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা ও আরও কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি করেন।
এফআইআরে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলায় দীপ্তি ও আরুশির মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আরুশি ও তার পরিবারের সদস্যরা আর্থিক অনটনের কথা বলে দীপ্তির কাছ থেকে অর্থসাহায্য গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা সেই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।
দীপ্তির ভাই সুমিত শর্মা বলেন, ‘এই দুই বছরে আমার বোন প্রায় ২৫ লাখ রূপি দিয়েছে আরুশিকে। যখন ফেরত চাইতে যায়, আরুশি সাফ জানিয়ে দেয়—টাকা ফেরত দেবে না।’
অভিযোগে সুমিত আরও দাবি করেন, এপ্রিলের ২২ তারিখে আরুশি দীপ্তির ফ্ল্যাটে ঢুকে আগের তালা খুলে নতুন তালা লাগিয়ে দেন! এরপর গয়না আর প্রায় ২ হাজার ৫০০ ডলারের বিদেশি মুদ্রা নিয়ে হাওয়া হয়ে যান। পরে সুমিত ওই ফ্ল্যাটে ঢুকতে গিয়ে ব্যাপারটা টের পান। তালা বদলে ফেলায় তিনি আর বাসায় ঢুকতে পারেননি। সুমিতের দাবি, ঘটনাটা দীপ্তিকে প্রচণ্ড মানসিক ধাক্কা দিয়েছে। এখন সে ইংল্যান্ড সফরের আগের ভারতীয় দলের ক্যাম্পে ট্রেনিং নিয়ে ব্যস্ত।
বিষয়টি নিয়ে আগ্রা সদর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) সুকন্যা শর্মা বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। এফআইআরের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বি.
২৮ বছর বয়সী দীপ্তি ভারত নারী দলের হয়ে ৫টি টেস্ট, ১০৬টি ওয়ানডে ও ১২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ২৭ বছর বয়সী আরুশির এখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। খেলেন উত্তর প্রদেশ নারী ক্রিকেট দলে, একই সঙ্গে তিনি ভারতীয় রেলের আগ্রা বিভাগের জুনিয়র কেরানি। এই মৌসুমে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে দীপ্তি ইউপি ওয়ারিয়র্সের অধিনায়কত্ব করেছেন, একই দলে খেলেছেন আরুশিও।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণমাধ্যম সংস্কারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ, ১২ নতুন সিদ্ধান্ত
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে বেশ কিছু সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর আলোকে নেওয়া ১২টি নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যম সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়।
নতুন গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে স্বল্প সময়ের মধ্যে এই অধ্যাদেশ জারি করা হবে। পাশাপাশি সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা নিরীক্ষাপদ্ধতি সংস্কারের লক্ষ্যে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত এবং পত্রিকার বিজ্ঞাপন হার যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, গণমাধ্যম সম্পর্কে শ্রোতা, দর্শক ও পাঠকের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে বার্ষিক জরিপ পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনশিল্পে কোনো ধরনের যোগসাজশ এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিপন্থী কৌশল চর্চা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এফএম রেডিও লাইসেন্সের বিপরীতে জামানত ফি যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা ছাড়াও এফএম রেডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে রেডিও কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত হারে ফি প্রদান, বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ২ শতাংশ সরকারি ফি হিসেবে যেটা কেটে নেওয়া হয়, তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিনা মূল্যে প্রচার করতে হবে সরকারি ঘোষণা।
এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শক্রমে গণমাধ্যমের কলাম লেখক, প্রদায়ক, শিল্পী ও অতিথি উপস্থাপক–আলোচকদের সম্মানীর ওপর অগ্রিম কর রহিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কমিশনের সুপারিশের আলোকে টেলিভিশন চ্যানেলের আপ-লিংক এবং ডাউন-লিংকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পাঠ্যধারা যুগোপযোগী করাসহ প্রতিষ্ঠান দুটির সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়েও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।