ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা তারই সতীর্থ ক্রিকেটার আরুশি গোয়েলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চুরির অভিযোগে মামলা করেছেন। আগ্রার সদর থানায় দায়ের করা এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, আরুশি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করেছেন এবং বেআইনিভাবে দীপ্তির ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেছেন।

দীপ্তির পরিবারের অভিযোগ, জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে আরুশি গোয়েল দীপ্তির আগ্রার বাসায় প্রবেশ করে সোনার ও রূপার গয়না, প্রায় ২ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা ও আরও কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি করেন।

এফআইআরে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলায় দীপ্তি ও আরুশির মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আরুশি ও তার পরিবারের সদস্যরা আর্থিক অনটনের কথা বলে দীপ্তির কাছ থেকে অর্থসাহায্য গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা সেই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।

দীপ্তির ভাই সুমিত শর্মা বলেন, ‘এই দুই বছরে আমার বোন প্রায় ২৫ লাখ রূপি দিয়েছে আরুশিকে। যখন ফেরত চাইতে যায়, আরুশি সাফ জানিয়ে দেয়—টাকা ফেরত দেবে না।’

অভিযোগে সুমিত আরও দাবি করেন, এপ্রিলের ২২ তারিখে আরুশি দীপ্তির ফ্ল্যাটে ঢুকে আগের তালা খুলে নতুন তালা লাগিয়ে দেন! এরপর গয়না আর প্রায় ২ হাজার ৫০০ ডলারের বিদেশি মুদ্রা নিয়ে হাওয়া হয়ে যান। পরে সুমিত ওই ফ্ল্যাটে ঢুকতে গিয়ে ব্যাপারটা টের পান। তালা বদলে ফেলায় তিনি আর বাসায় ঢুকতে পারেননি। সুমিতের দাবি, ঘটনাটা দীপ্তিকে প্রচণ্ড মানসিক ধাক্কা দিয়েছে। এখন সে ইংল্যান্ড সফরের আগের ভারতীয় দলের ক্যাম্পে ট্রেনিং নিয়ে ব্যস্ত।

বিষয়টি নিয়ে আগ্রা সদর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) সুকন্যা শর্মা বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। এফআইআরের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বি.

এন.এস ৩০৫(ক) (চুরি), ৩৩১(৩) (অনুপ্রবেশ), ৩১৬(২) (বিশ্বাসভঙ্গ) ও ৩৫২ (উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপমান) ধারায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।’

২৮ বছর বয়সী দীপ্তি ভারত নারী দলের হয়ে ৫টি টেস্ট, ১০৬টি ওয়ানডে ও ১২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ২৭ বছর বয়সী আরুশির এখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। খেলেন উত্তর প্রদেশ নারী ক্রিকেট দলে, একই সঙ্গে তিনি ভারতীয় রেলের আগ্রা বিভাগের জুনিয়র কেরানি। এই মৌসুমে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে দীপ্তি ইউপি ওয়ারিয়র্সের অধিনায়কত্ব করেছেন, একই দলে খেলেছেন আরুশিও।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দুই জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা

অতিবৃষ্টির কারণে ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বন্যা ও তৎপরবর্তী গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের মতামত ও করণীয় তুলে ধরেন।

বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মুসাপুর রেগুলেটর ও বামনি ক্লোজারের নকশা চূড়ান্ত করা ফেনীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্ত করা এবং নোয়াখালীর খাল ও ড্রেনেজ অবমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুনঘরে হাঁটুপানি, ভেলায় করে অন্তঃসত্ত্বাকে নেওয়া হলো হাসপাতালে৫ ঘণ্টা আগে

এর পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ দুই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, তীর প্রতিরক্ষা ও পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলেও উপদেষ্টামণ্ডলীকে অবহিত করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দুই জেলায় চলমান বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আরও পড়ুনফেনীতে ভিড় বাড়ছে আশ্রয়কেন্দ্রে, শুকনা খাবার ও পানির সংকট৫৩ মিনিট আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ