হাইতিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় শিশুসহ ৫০ জন নিহত
Published: 24th, May 2025 GMT
কারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতির একটি শহরে একটি গ্যাং হামলায় শিশুসহ অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ মে) মধ্য হাইতির প্রেভাল শহরে এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এই হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, একটি গির্জায় হামলা চালায় এবং বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে।
নিহতদের মধ্যে ৮৬ বছর বয়সী যাজক জোকেস ব্রুটাসও ছিলেন, যাকে মারানাথা গির্জায় হামলাকারীরা শিরশ্ছেদ করেছিল বলে জানা গেছে।
স্পেনের ইএফই সংবাদ সংস্থাকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, “কমপক্ষে ৫০টি মরদেহ পাওয়া গেছে। গণহত্যার স্থানে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব, কারণ ঘটনাস্থল এখনো সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মরদেহের মধ্যে চৌদ্দটি শিরশ্ছেদ এবং পুড়িয়ে ফেলা অবস্থায় পাওয়া গেছে।”
প্রাথমিক তথ্যানুসারে, ‘সেলফ ডিফেন্স কোয়ালিশন’ নামে একটি সশস্ত্র দল এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাইতির ক্যাথলিক বিশপদের সম্মিলিত সংস্থা (সিইএইচ) এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘গভীর শোক’ প্রকাশ করেছে এবং কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
হাইতিতে ক্রমশ সংকট তৈরি হচ্ছে, রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গ্যাং নিয়ন্ত্রণে এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ হুমকির মুখে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালে হাইতিতে গ্যাং সহিংসতায় ৫ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লোহাগড়ার ইতনার গণহত্যা দিবস আজ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনার গণহত্যা দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৩ মে ভোরে ফজরের আজানের সময় পাকিস্তানি বাহিনী গানবোট করে এসে ইতনা গ্রামে ইতিহাসের এক জঘন্যতম গণহত্যা চালায়। গণহত্যায় শিশুসহ ৩৯ জন নারী-পুরুষ হত্যার শিকার হয়। তাদের বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
বিষাদময় সেদিনের কথা মনে করে এ অঞ্চলের মানুষেরা আজও আঁতকে ওঠেন। এইদিনে নিহতদের স্মরণে ১৯৯৪ সালের ২৩ মে ইতনা স্কুল ও কলেজের পাশে ‘নামফলক’ নির্মাণ করা হয়েছে।
নামফলকে হত্যাযজ্ঞের শিকার হওয়া তালিকাভুক্তরা হলেন- ইতনা গ্রামের শেখ হাফিজুল হক হিরু মিয়া, সৈয়দ শওকত আলী, সৈয়দ কাওছার আলী, সৈয়দ এসমত আলী, সৈয়দ মোশাররফ আলী, শেখ তবিবর রহমান তবি, সিকদার ওয়ালিয়ার রহমান, সিকদার হাবিবুর রহমান, মোল্লা মকলেসুর রহমান, রাশেদ গাজী, বাদল শেখ, বানছারাম মন্ডল, হারেজ ফরির, তরু মিনা, হেমায়েত হোসেন, রবি মোল্লা, আব্দুস সামাদ মোল্লা চুন্নু, পাচু মিয়া খদগির, মতলেব শেখ ওরফে কালমতে, নালু খাঁ, শেখ রফিউদ্দিন লেংটা, নুরুদ্দিন শেখ, কেয়ামদ্দিন ওরফে কিনু ফকির, মির্জা মোবারক হোসেন, নুরু মোল্লা, কুটি মিয়া মোল্লা, কানাই স্বর্ণকার, মোল্লা আব্দুর রাজ্জাক, মোল্লা সফিউদ্দিন আহমেদ, মোল্লা মানসুর আহম্মেদ, মালেক শেখ, শিকাদার হাদিয়ার রহমান, নবীর শেখ, ফেলু শেখ, মোহন কাজী ওরফে পাগলা কাজী, আতিয়ার শেখ, জহির শেখ, ছরোয়ার রহমান লেংটা ও বাকু শেখ।
এ ছাড়াও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইতনা গ্রামের আরো ১১ জন শহীদ হন। এরা হলেন-শিকদার হেমায়েতুল ইসলাম ধলু, অতুল পাল, পেনু ঘোষ, শেখ আতিয়ার রহমান খোকা, মির্জা রফিকুল ইসলাম, সরদার সামসুর রহমান বাঁশি, মিনা আব্দুর রাজ্জাক, ছরোয়ার রহমান ভূঁইয়া, আতিয়ার রহমান ভূঁইয়া, হাসেম শেখ ও এসএম রেজাউল ইসলাম।
এ উপলক্ষে ইতনায় বিকালে আলোচনা সভা ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/শরিফুল/টিপু