কারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতির একটি শহরে একটি গ্যাং হামলায় শিশুসহ অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ মে) মধ্য হাইতির প্রেভাল শহরে এই ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা এই হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, একটি গির্জায় হামলা চালায় এবং বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে।

নিহতদের মধ্যে ৮৬ বছর বয়সী যাজক জোকেস ব্রুটাসও ছিলেন, যাকে মারানাথা গির্জায় হামলাকারীরা শিরশ্ছেদ করেছিল বলে জানা গেছে।

স্পেনের ইএফই সংবাদ সংস্থাকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, “কমপক্ষে ৫০টি মরদেহ পাওয়া গেছে। গণহত্যার স্থানে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব, কারণ ঘটনাস্থল এখনো সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মরদেহের মধ্যে চৌদ্দটি শিরশ্ছেদ এবং পুড়িয়ে ফেলা অবস্থায় পাওয়া গেছে।”

প্রাথমিক তথ্যানুসারে, ‘সেলফ ডিফেন্স কোয়ালিশন’ নামে একটি সশস্ত্র দল এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

হাইতির ক্যাথলিক বিশপদের সম্মিলিত সংস্থা (সিইএইচ) এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘গভীর শোক’ প্রকাশ করেছে এবং কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

হাইতিতে ক্রমশ সংকট তৈরি হচ্ছে, রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গ্যাং নিয়ন্ত্রণে এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ হুমকির মুখে।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালে হাইতিতে গ্যাং সহিংসতায় ৫ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামবিদ্বেষ এখন ক্ষমতার রাজনীতির নতুন মুদ্রা

আমরা যে পৃথিবীতে বাস করছি, সেটাকে সবচেয়ে সৎ ভাবে বর্ণনা করা যায় এভাবে—ইসলামবিদ্বেষ এখন বৈশ্বিক ক্ষমতার নতুন মুদ্রা। রাজনীতিবিদদের বক্তৃতায়, কূটনীতিকদের চুক্তিতে, সংবাদপত্রের পাতায় এবং নিরাপত্তা বা সন্ত্রাসবিরোধী ভাষ্যে এই মুদ্রা বেশ ভালোভাবেই চলে। এই মুদ্রা গণহত্যার দায়মুক্তি দেয়, স্বৈরশাসককে দেয় বৈধতা, আর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের নতুন বাজার গড়ে তোলে। গাজার গণহত্যা দেখিয়েছে, মুসলমানের রক্ত শুধু সস্তা নয়; বরং বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর অর্থনীতির জন্য বিনিয়োগযোগ্য পুঁজি।

গাজার দিকে তাকান। দুই বছর ধরে বিশ্ব দেখছে, অবরুদ্ধ একটি জাতিকে কীভাবে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে পরিবারগুলোর কবর রচিত হচ্ছে, হাসপাতালে বোমা হামলা হচ্ছে, শিশুরা ক্ষুধায় যন্ত্রণায় তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানে ইসরায়েলের দায় মুক্তি নয়: স্পেন
  • ইসলামবিদ্বেষ এখন ক্ষমতার রাজনীতির নতুন মুদ্রা