বাংলা একাডেমির সংস্কারে ১৯ সদস্যের কমিটি
Published: 8th, July 2025 GMT
বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে বাংলা একাডেমির কার্যক্রমে গুণগত পরিবর্তন এবং সময়োপযোগী সংস্কারের লক্ষ্যে ১৯ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
লেখক, গবেষক ও অনুবাদক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীকে কমিটির সভাপতি এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মহাম্মদ আজমকে সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নজরুলের কবিতা সব আন্দোলনে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে: ড.
বইমেলায় বাংলা একাডেমির ‘গুণিজন স্মৃতি’ পুরস্কার ঘোষণা
কমিটিকে বাংলা একাডেমির আইন, প্রবিধানমালা, সাংগঠনিক কাঠামো এবং সার্বিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যকর সংস্কার এবং আধুনিকীকরণই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। কমিটি প্রয়োজনে অতিরিক্ত সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং একাডেমির মহাপরিচালক কমিটিকে সব ধরনের প্রশাসনিক ও সচিবালয় সহায়তা দেবেন।
একইসঙ্গে, তিন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে কমিটিকে তাদের সুপারিশ পেশ করতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই কমিটি আলোচনা, বিশ্লেষণ ও প্রয়োজনীয় খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।
এ কমিটিতে যুক্ত দেশের সাহিত্য, সাংবাদিকতা, গবেষণা ও অনুবাদ ক্ষেত্রে খ্যাতিমান ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, অধ্যাপক সালিমুল্লাহ খান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সুমন রহমান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, কবি ও সংস্কৃতিকর্মী ব্রাত্য রাইসু, কবি ও চিত্রনির্মাতা মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) মহাপরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, লেখক অধ্যাপক আ আ মামুন, প্রাবন্ধিক ও গবেষক সাখাওয়াত টিপু কবি, লেখক ও বুদ্ধিজীবী রিফাত হাসান, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, কবি ও সাংবাদিক কাজী জেসিন, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আহমাদ মোস্তফা কামাল, লেখক ও অনুবাদক জাভেদ হুসেন, পিআইবির গবেষণা বিশেষজ্ঞ সহুল আহমদ মুন্না।
বাংলা একাডেমিকে কেবল সাহিত্য চর্চার কেন্দ্র নয়, বরং একটি প্রাণবন্ত গবেষণা ও সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস এই উদ্যোগের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য। বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি একাডেমির বর্তমান কাঠামোর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে ভবিষ্যতের জন্য একটি সুসংগঠিত ও সময়োপযোগী রূপকল্প উপস্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বাংলা একাডেমিকে যুগোপযোগী এবং কার্যকর প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। একাডেমির অভ্যন্তরীণ কাঠামো, কর্মপরিকল্পনা ও সাংগঠনিক গতিশীলতা নিশ্চিত করতেই এ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তি।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল এক ড ম এক ড ম র গঠন ক সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।