তালেবানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাসহ গোষ্ঠীটির দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি বলেছে , আখুন্দজাদা এবং তালেবানের প্রধান বিচারপতি আব্দুল হাকিম হাক্কানি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। নারী, মেয়ে এবং লিঙ্গ পরিচয় বা অভিব্যক্তি সম্পর্কিত তালেবানের নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন অন্যান্য ব্যক্তির উপর লিঙ্গগত কারণে নির্যাতন চালানো হয়েছে।

হেগভিত্তিক আদালত জানিয়েছে, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আব্দুল হাকিম হাক্কানি নারী ও মেয়েদের প্রতি তাদের আচরণে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে বিশ্বাস করার ‘যুক্তিসঙ্গত কারণ’ রয়েছে। ওই সময়ে তারা ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এবং নারীদের চাকরিতে বাধা দেওয়ার মতো একাধিক বিধিনিষেধ কার্যকর করেছেন। পুরুষ সহচর ছাড়া একজন নারী কতদূর ভ্রমণ করতে পারবেন তার উপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে এবং জনসমক্ষে নারীদের উচ্চ আওয়াজে কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে এএসআইয়ের ব্যাখ্যা

“সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে গুনতে হলো অতিরিক্ত টাকা” শিরোনামে আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর)  নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই সুলতান মাহমুদ। 

 

তিনি জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রতিবেদন দিতে আমি মাহমুদুল নামে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কোন অর্থ দাবি করিনি। তাকে কোনভাবে হয়রানিও করিনি। ক্লিয়ারেন্সের জন্য থানায় আসলে মাহমুদুল হাসানের কাগজপত্রে অসঙ্গতি থাকায় আমি তাকে এগুলো সংশোধন করে আনতে বলি। যার ফলে তার কাজে কিছুটা সময় বিলম্বিত হয়েছে। পরবর্তীতে সে প্রয়োজনীয় সকল সঠিক কাগজপত্র নিয়ে আসলে আমি নিয়ম অনুযায়ী তার ক্লিয়ারেন্সের প্রতিবেদন সঠিকভাবে প্রদান করি। এ বিষয়টিকে সাংবাদিকদের কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুর আলম বলেন, প্রতিটি পুলিশকে স্বশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে যে পুলিশ কি কোনো টাকা দাবি করেছিল কিনা। এবং যেকোনো ধরনের অনৈতিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি কোনো ভুক্তভোগীর কাছে কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা আদেশ অমান্য করে কোনো ধরনের অর্থের দাবী করেন তাহলে সরাসরি তাকে জানানোর অনুরোধ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে অন্যায়কারীর কোনো আলাদা পরিচয় নেই, যে অন্যায় করবে তার পরিচয় শুধুই একজন অন্যায়কারী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ