আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারীর ৪ মামলায় গ্রেপ্তার
Published: 8th, July 2025 GMT
সাবেকমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে নীলফামারীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে নীলফামারীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চার মামলায় পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আসাদুজ্জামান নূর ঢাকার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি আদালতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান নূর রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সিয়াম ও মামুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সিয়াম হত্যা মামলায় এবং ২৯ সেপ্টেম্বর মামুন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরো পড়ুন:
লাল জামা ও কমলা ট্রাউজার পড়া শিশুর মরদেহ ভাসছিল নদীতে
ফেসবুকে পরিচয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তরুণীর প্রেম, থানায় সমাপ্তি
নীলফামারীর চার মামলার মধ্যে বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী ও জামায়াতকর্মী আবু বক্কর সিদ্দিক হত্যা মামলা; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা-ভাঙচুর ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক আইনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা রয়েছে।
নীলফামারী পুলিশের আদালত পরিদর্শক জিন্নাত আলী জানান, চার মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচিত হন।
ঢাকা/সিথুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আস দ জ জ ম ন ন র
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ