দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করার দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তি‌নি বলেন, ‘‘দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সময়ের দাবি। অবিলম্বে জাতীয়করণ করতে হবে। সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি আমি সমর্থন জানাচ্ছি।’’

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তি‌নি।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে এমপিওভুক্ত করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়ে বলেন, ‘‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার জন্য সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্যপরিষদের শিক্ষকদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সরকারের উচিত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা।’’

আরো পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবেই: জবি উপাচার্য

জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে ছাত্র সংসদ চায় শাবিপ্রবি শিবির

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.

কোরবান আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লস্কর মো. তাসলিম, কারিগরি শিক্ষক পরিষদের সভাপতি সৈয়দ আব্দুল আজিজ, সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ নাজমুস শাহাদাত আজাদী ও অধ্যক্ষ দবিরুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালে ২ ডিসেম্বর সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন ইসলামী ও সমমনা ৮ দলের

বরিশালে আগামী ২ ডিসেম্বর স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসলামী ও সমমনা ৮টি দল। এরই অংশ হিসেবে শহরের বেলসপার্ক ময়দান পরিদর্শন করেছেন দলগুলোর বরিশাল জেলা ও মহানগরের নেতারা। তারা স্টেজ, প্যান্ডেল, মাইক স্পট, মিডিয়া স্পট, শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি সমাবেশকে কেন্দ্র করে যানজট এড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নেতারা।

নেতারা জানান, ২ ডিসেম্বর ইসলামী ও সমমনা ৮টি দলের বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ হবে স্মরণকালের বৃহৎ লোকসমাগম। প্রত্যেক দলের কর্মী-সমর্থকরা সমাবেশ সফল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। মাঠের শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও যানজট এড়াতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে দেশের আগামী দিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

আরো পড়ুন:

ববি প্রেসক্লাবের দায়িত্বে আরিফ ও উবাইদা

ববি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ সংবাদ প্রচারের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন বাবর বলেন, “২ ডিসেম্বর আট দলের সমাবেশে আট থেকে ১০ লাখ মানুষে সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবেশে জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির রেজাউল করীমসহ আট দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল জেলার মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এইচ এম সানাউল্লাহ বলেন, “আগামীকালের সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫ লাখ নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন। বরিশাল জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে অংশ নেবেন।”

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির প্রফেসর মাহমুদ হোসাইন দুলাল, সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান, জেলা আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুন্নবী তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন বরিশাল মহানগর সভাপতি প্রফেসর মো. লোকমান হেকিম, বরিশাল জেলা সভাপতি মাওলানা মো. সিরাজুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বরিশাল জেলা সভাপতি মাওলানা মো. জুবায়ের গালিব, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বরিশাল জেলা সভাপতি মো. মনির হোসেন, জেলা সেক্রেটারি নান্নু হাওলাদার।

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ