জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিমের হাতে এসব দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেন শিবিরের শাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ।

এ সময় শাখা শিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার ও সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

সিকৃবির প্রধান ফটকের নাম ‘জুলাই ৩৬’

শাবিপ্রবিতে ২০৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

স্মারকলিপিতে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে আন্দোলনের শহীদ ও সাহসী অংশগ্রহণকারীদের স্মরণে ক্যাম্পাসে ‘জুলাই কর্নার’ নামে একটি স্থায়ী কর্নার স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়।

শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু আবাসিক হল এখনো ফ্যাসিবাদপন্থি ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের নামে রয়েছে, যা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। তারা এসব হলের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি নির্মাণাধীন হলগুলোর নামকরণের ক্ষেত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও সিলেট অঞ্চলের সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এসব নির্বাচনের আয়োজনকে অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে সংগঠনটি।

ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ