বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে কৌশলগত ও সংবেদনশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। 

মঙ্গলবার রাজধানীর সুফিয়া কামাল ভবনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা: নারী সাংবাদিকদের ভাবনা’ শীর্ষক এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। 

ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারী আন্দোলন ও গণমাধ্যম একে অন্যের পরিপূরক। জেন্ডার বৈষম্য দূর করতে না পারলে সহিংসতা বন্ধ হবে না। পরিবর্তনের জন্য গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে, সহিংসতার ধরনেও পরিবর্তন এসেছে। আইন থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ অপ্রতুল। এই পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে নারী আন্দোলনকে সংগঠিত করার সময় এসেছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, গণমাধ্যম কেবল তথ্য পরিবেশন করে না, তা সমাজে দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখে। সহিংসতার ঘটনার প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি গণমাধ্যমকে আরও সংবেদনশীল হতে হবে।

সংগঠনের প্রচার ও গণমাধ্যম উপপরিষদের সদস্য ও দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর বিশেষ প্রতিনিধি মুনিমা সুলতানা জানান, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে অন্তত ১৫৫৫ নারী ও কন্যা সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সংগঠনের সিনিয়র প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কর্মকর্তা আফরুজা আরমান জানান, সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার পরিসংখ্যানে কন্যাশিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হারই বেশি। 

সভায় উপস্থিত নারী সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, সহিংসতার শিকার নারীরাই বারবার নিগৃহীত হচ্ছেন। অনেক সময় বিকৃত তথ্য উপস্থাপিত হওয়ায় তাদের সম্মান ও নিরাপত্তাকে আরও ঝুঁকিতে ফেলে। গণমাধ্যকর্মীদের মধ্যে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন নাদিরা কিরণ, শাহনাজ মুন্নী, আজকের পত্রিকার সেলিনা আক্তার, সমকালের দ্রোহী তারা, সংবাদের নাসরিন গীতি, ভোরের কাগজের সেবিকা দেবনাথ, দেশ রূপান্তরের উম্মুল ওয়ারা সুইটি, কালবেলার রীতা ভৌমিক, দ্য প্রেসেঞ্জারের জাহিদা পারভেজ, ফ্রিল্যান্সার রাফিয়া চৌধুরী, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জান্নাতুল রুহি প্রমূখ। 

দ্রোহী তারা বলেন, নারীর প্রতি বিদ্বেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক মাহফুজা জেসমিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণম ধ যমক স গঠন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে সহায়তার আশ্বাস তুরস্কের

বাংলাদেশ সফররত তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধান হালুক গরগুন মঙ্গলবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস এ তথ্য জানায়।

বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে সম্ভাব্য কারিগরি ও কৌশলগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধান হালুক গরগুন মঙ্গলবার সকালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এই আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পোস্টে জানানো হয়েছে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধান সেনা সদরে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। হালুক গরগুন বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে সম্ভাব্য কারিগরি ও কৌশলগত সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। সেনাপ্রধান তুরস্কের সহযোগিতায় দেশে বিভিন্ন আধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম তৈরি এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়নের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, হালুক গরগুনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তাঁরা পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে কারিগরি সহায়তা এবং প্রযুক্তি আদান-প্রদানসংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিদলের এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে এবং দুই রাষ্ট্রের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ