ক্রীড়া প্রতিবেদক, কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দেয় বাংলাদেশ। আজ পাল্লেকেলেতে আবার একাদশে ফিরে দারুণ বোলিং করছিলেন বাংলাদেশের পেসার। প্রথম ৯ ওভারে ৪০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। তবে নিজের শেষ ওভারে ১১ রান দিয়ে বোলিং বিশ্লেষণটাকে একটু ‘খারাপ’ বানিয়ে ফেলেছেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় ওয়ানডেতে তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ ১০-০-৫১-২।

ইকোনমি ৫.

১০। মারকাটারি ব্যাটিংয়ের এই যুগে তাসকিনকে মোটেই খরুচে বলার উপায় নেই। সর্বশেষ দুই বছরে ওয়ানডেতে তাসকিন ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৫.০৯। এই সময়ে ওয়ানডেতে যেসব বোলার কমপক্ষে ১৫০ ওভার বল করেছেন তাঁদের মধ্যে ইকোনমিতে তাসকিনই সেরা।

২০২৩ সালের ৮ জুলাই থেকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তৃতীয় ওয়ানডে পর্যন্ত ২৩ ম্যাচে ১৯৫.৫ ওভার বল করেছেন তাসকিন। এ সময়ে ওভারপ্রতি ৫.০৯ রান দেওয়া তাসকিন নিয়েছেন ৩৮ উইকেট।

এ সময়ে ইকোনমিতে তাসকিনের পরের নামটা একটু অপরিচিতই। কানাডার ডিলন হেইলিগার ২১ ম্যাচে বল করেছেন ১৬০.৪ ওভার, ৫.২২ ইকোনমিতে উইকেট নিয়েছেন ৩৬টি। তালিকার তিনেও একজন সহযোগী সদস্য দেশের পেসার—পল ফন মিকেরেন। ডাচ পেসার ২৬ ম্যাচে ২১৪.৫ ওভার বল করেছেন। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৫.২৮, নিয়েছেন ৪৬ উইকেট। শীর্ষ পাঁচের অন্য দুজন নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি (৫.৩৫) ও অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউড (৫.৩৮)।

পেসার-স্পিনার ভেদাভেদ তুলে দিলে অবশ্য তাসকিন নেমে যান ১৭ নম্বরে। সর্বশেষ ২৪ মাসে ওয়ানডেতে কিপটেমিতে সবচেয়ে সেরা নামিবিয়ার বার্নার্ড শোলৎজ। এই বাঁহাতি স্পিনার ২০ ম্যাচে ৩৬ উইকেট নেওয়া পথে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৩.২৫ করে। শীর্ষ পাঁচে একজনই টেস্ট খেলুড়ে দলের। আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ৪.২৯ ইকোনমি নিয়ে আছেন পাঁচে।

সরাসরি: বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা ৩য় ওয়ানডে

ওভার সংখ্যাটাকে ১০০-তে নামিয়ে আনলে ইকোনমির হিসাবে পেসারদের মধ্যে তাসকিন নেমে যান সাতে। সর্বশেষ দুই বছরে কমপক্ষে ১০০ ওভার বোলিং করাদের মধ্যে সবচেয়ে কিপটে পেসার কানাডার কলিম সানা। ১৮ ম্যাচে ১৪৭.৪ ওভার বোলিং করা বাঁহাতি পেসার ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৪.২০।

সর্বশেষ দুই বছরে ওয়ানডেতে বুমরার ইকোনমি ৪.৪০

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চললেও জোরদার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। চিকিৎসা সূত্র ও স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, রবিবার (৬ জুলাই) গাজা উপত্যকায় ধারাবাহিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

একটি চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, গাজা সিটিতে, শেখ রাদওয়ান এবং আল-নাসর পাড়ায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আশ্রয় দেওয়া দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গভীর রাতে পরিবারগুলো যখন ঘুমে ছিল, তখন বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন।

আরো পড়ুন:

গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠালেন জবি শিক্ষার্থীরা

গাজায় যুদ্ধ বিরতির আলোচনায় প্রতিনিধি পাঠাবে ইসরায়েল 

আল-আওদা হাসপাতালের এক বিবৃতি অনুসারে, মধ্য গাজায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আরো ২৫ জন আহত হয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গাজা সিটি এবং মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে দুটি বেসামরিক সমাবেশে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলায় ছয়জন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

উত্তর গাজা সিটির আল-সাফতাউই পাড়ায় একটি বেসামরিক গাড়িতেও একটি ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালিয়ে তিন ভাইকে হত্যা করেছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, শেখ রাদওয়ানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে আরেকটি ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পশ্চিম গাজা সিটিতে, শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

গাজা সিটির অন্যত্র, আল-তুফাহ পাড়ার একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিপজ্জনক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে চিকিৎসা দল তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।

উত্তর গাজা সিটিতে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, রাতে গাজা সিটির আল-দারাজ পাড়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের তিনজন নিহত এবং আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন।

দক্ষিণ গাজায়, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য তৈরি অস্থায়ী তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশু ও একজন গর্ভবতী নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন, নাসের ও কুয়েত ফিল্ড হাসপাতালের মেডিকেল টিম এ তথ্য জানিয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খান ইউনিসের আল-আলবানি মসজিদের কাছে তাঁবুতে আরেকটি ড্রোন হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে তিন শিশুসহ আরো চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী রাতভর পূর্ব গাজা শহর এবং ছিটমহলের উত্তর অংশে আবাসিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে বোমাবর্ষণ করেছে, বাসিন্দারা সারা রাত ধরে ক্রমাগত বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।

মধ্য গাজায়, দেইর আল-বালাহ উপকূলে কাজ করার সময় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে একজন ফিলিস্তিনি জেলে আহত হয়েছেন।

মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একই পরিবারের আটজন নিহত হয়েছেন।

আরেকটি হামলায়, একই শরণার্থী শিবিরে তিনজন নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের অভিযান এখনও চলছে।

আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান সামরিক অভিযানে ৫৭ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় মাসে ৫২৯ ‘রাজনৈতিক সহিংসতায়’ ৭৯ জন নিহত
  • সোনারগাঁও হোটেলে চাকরির সুযোগ
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত