জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অতি দরিদ্রদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির (ভিজিডি) কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে পৃথক তিনটি চিঠির মাধ্যমে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুনভিজিডির কার্ডধারীদের কাছ থেকে বিএনপি নেতার টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল২১ মে ২০২৫

বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা হলেন পোগলদিঘা ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক মো.

আক্তারুজ্জামান (রিপন), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুজন শেখ ও যুবদলের সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মো.মোস্তাফিজুর রহমান (বাবু)।

বহিষ্কারবিষয়ক তিনটি চিঠিতে একই কথা লেখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘দলীয় নীতি–আদর্শ ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পোগলদিঘা ইউনিয়ন শাখার প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করা হলো।’

উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভিজিডি উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও গত বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (ভাইরাল)।

জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন নেতাকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কেউ জড়িয়ে পড়লে যাচাই-বাছাই করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই জায়গায় কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ