ইবিতে দেশের প্রথম ফাউন্ডেশন কর্ণার হবে: আ. ছালাম
Published: 2nd, July 2025 GMT
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান বলেছেন, “দেশের প্রথম ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্ণার হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)। আমরা চিন্তা করছি, কিভাবে ইসলামের প্রচার-প্রসার করা যায়। ইবির স্কলাররা আমাদের বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেন। আমার দাবি, ভবিষ্যতেও তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।”
বুধবার (২ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ একাডেমিক ভবনের ২৩৭ নম্বর কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ইবির আইন বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা সবসময় পড়াশোনা করবেন। মৌখিক পরীক্ষায় যেন সব প্রশ্নের সুন্দর উত্তর দিতে পারেন। অ্যালামনাইদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। বিভাগে মুট কোর্ট করা প্রয়োজন। এতে তারা পূর্ব থেকে শিখতে পারবে।”
আরো পড়ুন:
ইবিতে ফের শিক্ষকের বিরূদ্ধে ছাত্রী হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ
ইবির সেই শিক্ষককে অপসারণ
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.
এ সময় আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষকবৃন্দসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল করিম অর্নব ও খানম নূহা বিনতে করিমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন ও স্মৃতিচারণ করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুন নাহার।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “তোমাদের সিনিয়র ভাই মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা বড়দের দেখে বড়ো হই। ছালাম খান তোমাদের জন্য অনুপ্রেরণার।”
তিনি বলেন, “গত শাসনামলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অপমান করা হত, টুপি থাকলে বাদ দেওয়া হত। এখন অবশ্যই পরিবর্তন ঘটবে। এই পরিবর্তনের জন্য যারা জীবন দিয়েছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। পরিবর্তন না হলে আমরা এখানে আসতে পারতাম না। এই বিপ্লব আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে। তাই তোমাদের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।”
কোনো বিভাগ অ্যাক্সিলেন্স তৈরি করতে কোনো প্রোগ্রাম করলে উপাচার্য তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে মহা-পরিচালককে ও অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য অন ষ ঠ ন আম দ র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরের ঝিকরগাছায় কুপিয়ে আহত করার পর পাল্টা হামলায় একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম (৫০) ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
তবে স্থানীয়দের দাবি করেন, তিনি মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া আগেও তিনি বিভিন্ন মানুষকে কারণে-অকারণে মারধর করে আহত করেন।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার সকালে সোনাকুড় গ্রামের আজগার আলীর বাড়ি থেকে তার জামাতা জহর আলী (৪০) মোটরসাইকেলযোগে বাঁকড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে শ্বশুরের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম তার মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে রফিকুল ইসলামকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণপিটুনি দেন। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
জহর আলীর স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রফিকুলের ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক কোনো শত্রুতা ছিল না। টাকা-পয়সারও কোনো লেনদেন নেই। কি কারণে আমার স্বামীকে কুপিয়েছে বুঝতে পারছি না।’ তিনি জানান, কিছুদিন আগে মাদকসেবী রফিকুল সোনাকুড় গ্রামের হিন্দুপাড়ায় একজনের ঘাড়ে কোপ দেন। তবে ঘাড়ে না লেগে তার একটি আঙুল কেটে যায়।
নিহত রফিকুল ইসলামের জামাতা বাপ্পারাজ বলেন, ‘জহর আলীর সঙ্গে আমার শ্বশুর বাড়ির কোনো বিরোধ ছিল না। লোকমুখে শুনলাম আমার শ্বশুর নাকি জহর আলীকে কুপিয়েছে। পরে গ্রামবাসী তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটালে তিনি মারা যান। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।’
বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সোনাকুড় থেকে রফিকুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে দড়ি পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানান।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘নিহত রফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তিনি জহর আলী নামে এক ব্যক্তিকে দা দিয়ে আঘাত করায় উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি দেন। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’