জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ রোববার এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.

শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করেন। বিস্তারিত শোনার পর ট্রাইব্যুনাল বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার কারণ রয়েছে। তাই তা আমলে নেওয়া হলো।

আজই ট্রাইব্যুনালে এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে এটিই প্রথম কোনো মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর তা ট্রাইব্যুনাল আমলে নিলেন।

চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করে গত ২১ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে আজ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।

মামলার আট আসামি হলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। আট আসামির মধ্যে শেষের চারজন এখন কারাগারে, অন্যরা পলাতক। কারাগারে থাকা চার আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম প রস ক অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে অপহরণের ৭ দিনেরও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি   

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বাইসটেকি এলাকা থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর বাবা সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার সাত দিন পার হলেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। 

এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শারমিনকে (১৫)  স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে একই এলাকার রমজান মিয়া উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান হয়। স্থানীয়রা রমজান মিয়া x তার সহযোগীদের ডেকে শাসিয়ে দেন। এর জের ধরে গত ৩ জুলাই স্কুলছাত্রী প্রতিদিনের মতো সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাইসটেকি বাছেদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার পৌঁছলে রমজান আলী, তার সহযোগী মমতু মিয়া, শাহ আলম মিয়া, শাহপরান মিয়া সিএনজি অটোরিকশায়  তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।

ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘কতদিন হয়ে গেল মেয়ের খোঁজ পাচ্ছি না। আমার নাবালক মেয়েকে আমি ফেরত চাই। আমি ন্যায় বিচার চাই।’’ 

আরো পড়ুন:

শতভাগ পাস ৯৮৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, ফেল ১৩৪

সিলেট বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে

এ অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার ও জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। 

ঢাকা/রুবেল/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ