ইসরায়েলে হামলা শুরুর পর প্রথমবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বুধবার খামেনি তার ভাষণে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে তার ভুলের জন্য শাস্তি দেওয়া হবে। ইরান চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে, ঠিক তেমনি এটি চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে।”
ইরানি নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “ চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের মুখে ইরান কারো কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। ইরান, ইরানি জাতি এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞানী বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা কখনো এই জাতির সাথে হুমকির ভাষায় কথা বলবে না। কারণ ইরানি জাতি আত্মসমর্পণ করবে না। আমেরিকানদের জানা উচিত যেকোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তেহরানের কাছের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা
ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে অবস্থিত খোজির ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রকে নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই কেন্দ্রটিকে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-সম্পর্কিত অবকাঠামোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। গত বছরের অক্টোবরেও এটি ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
প্রসঙ্গত, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত ক্রমে তীব্রতর হচ্ছে। প্রতিদিন অব্যাহতভাবে দুই পক্ষ একে অপরের ওপর জোরালো হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দুপক্ষের ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়টি ফুটে উঠছে। এতদিন ইরানকে চুক্তিতে আসার আহ্বান জানালেও গতকাল মঙ্গলবার তেহরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করার দাবি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বিষয়ে ইঙ্গিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, “আমরা ঠিক জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদ - কিন্তু ‘এই মুহূর্তে’ তাকে হত্যা করবো না।”
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।’
এর কিছুক্ষণ আগে দেওয়া আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইরানের আকাশসীমা আমাদের নিয়ন্ত্রণে’। এই পোস্ট দুটির পরপরই তৃতীয় আরেকটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!’ (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!)
ঠিক এর পরপরই ট্রাম্পের হত্যার হুমকির পর প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় তিনি লিখেছেন— ‘মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো।’
ইংরেজিতে আরেক পোস্টে আয়াতুল্লাহ খামেনি লিখেছেন, ‘আমাদের সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। আমরা ইহুদিবাদীদের কোনও দয়া দেখাব না।’