রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এলাকায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৪৩) হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার মো. টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো.

নাসির উদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি টিটন গাজী ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। সে ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিাের পরিচিত। এজাহারনামীয় অন্যান্য পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্তের লক্ষ্যে তাকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মামলার ঘটনার ধারাবাহিকতা পরিকল্পনা প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে এবং ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ট য় হত য স হ গ হত য

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার গুম-খুন ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস আচরণ করবেন না: মজিবুর রহমান

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু) বলেছেন, আর যা-ই করেন, হাসিনার আমলের গুম-খুনের কথা ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস আচরণ করবেন না। তিনি বলেছেন, আওয়ামী-হাসিনার আমলের নৃশংস গুম-খুনের কথা মানুষ তখনই ভুলতে পারে, যখন একই রকম খুন-খারাবি এবং পাশবিক আচরণ আগেকার ‘মজলুমদের’ দ্বারা সংঘটিত হতে থাকবে।

সম্প্রতি পুরান ঢাকায় নৃশংসভাবে ভাঙারি পণ্যের ব‍্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক পক্ষগুলোর প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যোগে ‘ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘কয়দিন আগেও আমরা সব রাজনৈতিক দল এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। কে ছোট, কে বড়—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলি নাই। সবাই একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। তাহলে আজ কেন এত বিভেদ? আজ কেন আমরা একে অপরের দিকে আঙুল তুলছি?’

আফসোস জানিয়ে এ বি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বারবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কিন্তু পরক্ষণেই আবার ক্ষুদ্র স্বার্থে বিরোধে লিপ্ত হয়েছি। বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলবাজির রোগ কোনো সংস্কার দিয়ে সারবে বলে মনে হয় না। ক্ষমতা পেলেই অন্যের অধিকার হরণের প্রবণতা পেয়ে বসলে কোনো দলের পক্ষেই দেশ পরিবর্তন সম্ভব না। হাসিনার শাসনামলের পুনরাবৃত্তিই যদি হয় তাহলে আমাদের সকলকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। জুলাইয়ের শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ কেউ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

বাবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও শেখ আব্দুন নুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ জাতীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ