জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি ভাষা কোর্স, আবেদন শেষ ১৭ জুলাই
Published: 12th, July 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষাকেন্দ্রে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে নিচের ১২টি ভাষা কোর্সে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি ছয় মাস ও পাঁচ মাস মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স। ভর্তির আবেদন ফরম বিতরণ চলছে, জমার শেষ তারিখ ১৭ জুলাই।
১২টি সার্টিফিকেট কোর্স—
১. কমিউনিকেশন স্কিল ইন ইংলিশ (লিসেনিং, স্পিকিং, রিডিং ও রাইটিং)—৬ মাস (৭০ ঘণ্টা ক্লাস)
২.
৩. সার্টিফিকেট কোর্স ইন জাপানিজ—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
৪. সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফ্রেঞ্চ—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
৫. সার্টিফিকেট কোর্স ইন জার্মান—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
৬. সার্টিফিকেট কোর্স ইন চায়নিজ—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
৭. সার্টিফিকেট কোর্স ইন স্প্যানিশ—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
৮. সার্টিফিকেট কোর্স ইন কোরিয়ান—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
৯. সার্টিফিকেট কোর্স ইন সংস্কৃত—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
১০. সার্টিফিকেট কোর্স ইন অ্যারাবিক—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
১১. সার্টিফিকেট কোর্স ইন পারসিয়ান—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
১২. সার্টিফিকেট কোর্স ইন মালয়—৫ মাস (৬০ ঘণ্টা ক্লাস)
আরও পড়ুনপাস করা সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও খালি থাকবে ১৩ লাখ আসন ৯ ঘণ্টা আগেভর্তির যোগ্যতা—
সব শিক্ষার্থীকে এইচএসসি পাস হতে হবে। প্রতিটি কোর্সে ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
ভর্তির বিস্তারিত ফি—
অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন ফি ৩ হাজার ২০০ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন। বহিরাগত ছাত্রছাত্রীর জন্য এককালীন ফি ৫ হাজার ২০০ টাকা।
আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ, মাসিক হাতখরচের অর্থও মিলবে০৯ জুলাই ২০২৫ভর্তির প্রক্রিয়া—
আবেদনপত্র ছাত্র–শিক্ষক কেন্দ্র ভবনে অবস্থিত ভাষা শিক্ষাকেন্দ্রের অফিসে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২.৩০ পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট বা প্রশংসাপত্র এবং এইচএসসি পাসের নম্বরপত্রের প্রত্যয়িত কপি জমা দিতে হবে।
ভর্তির বিস্তারিত তথ্য—
১. ভর্তির আবেদন জমার শেষ তারিখ: ১৭ জুলাই ২০২৫
২. ক্লাস শুরুর তারিখ: ভর্তি শেষ হলে জানানো হবে
৩. ক্লাসের নিয়ম: প্রতিটি কোর্সের ক্লাস সপ্তাহে দুই দিন। বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪.৩০ মিনিট পর্যন্ত
বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রস্তাব, অনুদান তিন লাখ টাকা১ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স র ট ফ ক ট ক র স ইন ব শ বব দ য ভর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
এইচএসসির ফলাফল: টাঙ্গাইলের ৭ কলেজে শতভাগ ফেল
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় ১০৭টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের কেউই এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফলাফল প্রকাশের পর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
এইচএসসির ফলাফল: রংপুরের ৪ কলেজে পাস করেনি কেউ
এইচএসসির ফলাফল: নীলফামারীর ১০ কলেজে পাস করেনি কেউ
শিক্ষাবিদরা বলছেন, নিয়মিত ক্লাশ না হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছে।
শতভাগ অকৃতকার্য কলেজগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আল্লামা ইয়াকুব আলী কলেজ, টাঙ্গাইল কলেজ, টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ, মির্জাপুরের ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মধুপুরের মধুপুর মহিলা কলেজ ও গোপালপুরের হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ।
জেলার ১০৭ কলেজ থেকে ২৫ হাজার ১৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ১১৯ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। সে হিসাবে পাসের হার ৪৪.২৫ শতাংশ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৭৩ জন।
আলীম পরীক্ষায় ১ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯৯৭ জন পাস করেছে। পাসের হার ৬৬.৯১ শতাংশ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৩ জন।
বিএম পরীক্ষায় দুই হাজার ২৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ হাজার ৩৯৫ জন পাস হয়েছে। পাসের হার ৬১.৫৯ শতাংশ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচজন। ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৫৩৮ জন অংশ নিয়ে ২৪০ জন পাস হয়েছে। পাসের হার ৪৪.৬১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন।
শতভাগ ফেল করা কলেজগুলোর মধ্যে আল্লামা ইয়াকুব আলী কলেজ থেকে ১৬ জন, গোপালপুরের হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ থেকে ১৬ জন, টাঙ্গাইল কলেজ থেকে ৯ জন, টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ ও মধুপুর মহিলা কলেজ থেকে ২ জন করে, মির্জাপুরের ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
শতভাগ অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এসএম সাইফুল্লাহ বলেন, “অভ্যুত্থানের পর শিক্ষাব্যবস্থাকে অনেক গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে।”
তিনি বলেন, “কলেজে না গিয়ে বাসায় নামমাত্র পড়াশোনা করলে পাস করা যায় না। নিয়মিত শ্রেণী কক্ষে গিয়ে ক্লাস করতে হবে। কলেজ বা শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষাদানের আমুল পরিবর্তন আনতে হবে।”
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাওছার/মেহেদী